মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

সোনা চোরাচালান

সরকারকে কঠোর হতে হবে

সোনা চোরাচালান দেশের অর্থনীতির জন্য সর্বনাশ ডেকে আনছে। বিদেশ থেকে প্রবাসী কর্মজীবীরা দেশে যে অর্থ পাঠান তার একাংশ ব্যাংকিং চ্যানেলের বদলে হুন্ডির মাধ্যমে আসছে সোনা চোরাচালানিদের কারসাজিতে। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে যে সোনা পাচার হয়ে বাংলাদেশে আসে তা আবার পাচার হয়ে যায় ভারতে। বাংলাদেশ গত পাঁচ দশক ধরে চোরাচালানের ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর ফলে দেশ ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রিজার্ভ এবং ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউর এ তথ্য প্রমাণ করে দেশের অর্থনীতি কীভাবে সোনা চোরাচালানিদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনতে সোনা চোরাচালান বন্ধের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন অংশীজনরা। তাদের মতে, অর্থনীতি সুরক্ষায় চোরাচালান বন্ধের বিকল্প নেই। এজন্য প্রয়োজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বিএফআইইউকে সক্রিয়করণ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারি। চোরাচালান প্রতিরোধে পৃথকভাবে সরকারি মনিটরিং সেল গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রীসেবা উন্নত হয়েছে। প্রতিদিনই বিমানবন্দরগুলোতে চোরাচালানের মাধ্যমে আসা সোনা ধরা পড়ছে। বর্তমান সরকারের কঠোর মনোভাব সত্ত্বেও সোনা চোরাচালান হওয়া দুঃখজনক। দেশে সৎভাবে জুয়েলারি ব্যবসা পরিচালনার জন্য সরকারকে সোনা চোরাচালান বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে। বাজুসকে যুক্ত করে সোনা চোরাচালান রোধের তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের অংশীজনরা। সোনা চোরাচালান বন্ধ হলে হুন্ডি ব্যবসায় লাগাম পরানো সম্ভব হবে। দেশের অর্থনীতির বিকাশে তা অবদান রাখবে। বন্ধ হবে ভারত থেকে আসা অন্যান্য পণ্যের চোরাচালান। দেশের জুয়েলারি শিল্পের বিকাশেও তা অবদান রাখবে।

সর্বশেষ খবর