বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

ইউনূস-বাইডেন বৈঠক

আলোকিত ভবিষ্যতের হাতছানি

নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ সমর্থনের কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে কোনো রাষ্ট্র বা সরকার-প্রধানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠক এক বিরল ঘটনা। তবে তা সম্ভব হয়েছে নোবেলজয়ী বিশ্বনন্দিত ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারণে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই ছিল সোচ্চার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ রপ্তানি বাবদ সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে বন্ধুপ্রতিম দেশটির কাছ থেকে। কিন্তু গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের যে সংকট বিরাজ করেছে গত দেড় দশক ধরে সেদিকে নিজেদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে। স্বভাবতই বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা এবং রাষ্ট্র সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হওয়াকে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে অগ্রসর দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দুর্নীতি-অনিয়মে লাগাম টেনে ধরা হলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়বে। ড. ইউনূসের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠকে মার্কিন নেতা পতিত কর্তৃত্ববাদী সরকারের নিপীড়ন নির্যাতনের বিরুদ্ধে ছাত্রদের সাহসী ভূমিকা এবং বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন। এ ব্যাপারে যে কোনো সাহায্য সহায়তায় বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। ড. ইউনূস ও বাইডেনের বৈঠক দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে এমন আশাবাদ পোষণ করা হয়েছে দুই পক্ষ থেকেই। ভূরাজনৈতিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ থাকাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশি পণ্যের প্রধান আমদানিকারক হিসেবে তারা এ দেশের উন্নয়নে এবং মানুষের কর্মসংস্থানে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুনীতি নির্বাসনে যাওয়ায় বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেনের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকের পর কালো অধ্যায়ের ইতি ঘটিয়ে সম্পর্ক আলোকিত ভবিষ্যতের দিকে মোড় নেবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর