শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

পর্যটনে সম্ভাবনা

অবকাঠামো উন্নয়ন ও নিরাপত্তা জরুরি

পর্যটন শিল্প এখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বড় খাত। বিভিন্ন দেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রধান শক্তি হিসেবে বিবেচিত ও ব্যবহৃত হচ্ছে দ্রুত বর্ধনশীল পর্যটন শিল্প। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশেরও সম্ভাবনা অসীম। সুজলা-সুফলা দেশটির পাহাড়-নদী-ঝরনা, বন-উপবন-সমুদ্র, আদিগন্ত ফসলের মাঠ, ইতিহাস-ঐতিহ্য-প্রত্নতত্ত্ব, বর্ণাঢ্য রূপবৈচিত্র্য বিশ্বের ভ্রমণপিয়াসীদের আকর্ষণ করে। পৃথিবীর বৃহত্তর ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন, দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, তার পাশে দীর্ঘ মেরিনড্রাইভ, তিন পাহাড়ি জেলার অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য, সিলেটের হাওর-বাঁওড়, চা বাগান, সবুজ অরণ্য দেশের উজ্জ্বল সব পর্যটন সম্পদ। এ ছাড়াও পুণ্যভূমি সিলেটে রয়েছে বেশ কজন বিশিষ্ট পীর-আউলিয়ার সমাধি-মাজার। এ ছাড়াও অসংখ্য পর্যটন আকর্ষণ ছড়িয়ে আছে জেলায় জেলায়। তারপরও তুলনামূলকভাবে এ শিল্পে আমরা পিছিয়ে আছি। অথচ ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও লাভজনক বিনিয়োগের ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে পর্যটন। বহুমাত্রিক সম্ভাবনাময় এ শিল্প থেকে প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক প্রবাহের সুফল ঘরে তোলার জন্য প্রয়োজন সঠিক ও সমন্বিত পরিকল্পনা। আমাদের পর্যটন আকর্ষণগুলো বিশ্বমঞ্চে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরতে হবে, যেন তা বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে সক্ষম হয়। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনগুলো ভূমিকা পালন করতে পারে। বিদেশিদের স্বচ্ছন্দ বিচরণ ও তাদের আনন্দদায়ক ভ্রমণ উদযাপনের জন্য কক্সবাজার-কুয়াকাটা সৈকতসহ আকর্ষণীয় স্থানে পৃথক পর্যটন এলাকা চিহ্নিত করা যেতে পারে। পাশাপাশি যাতায়াত ও আবাসন অবকাঠামো উন্নয়ন জরুরি। সবচেয়ে জোর দিতে হবে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে। পর্যটকবান্ধব পরিবেশ পেলে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা উৎসাহিত হবেন- সেটাই স্বাভাবিক। এই মৌলিক বিষয়গুলো পূরণ করা পর্যটন শিল্প বিকাশের পূর্বশর্ত। আশা করি সম্পৃক্ত সব পক্ষ দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর