মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি

নব্য নাৎসির ভূমিকায় ইসরায়েল

ইসরায়েলের নব্য নাৎসিরা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে। লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপ বানানোর পর লেবাননের বিরুদ্ধেও প্রতিহিংসা চরিতার্থে উঠে পড়ে লেগেছে তারা। লেবানন এশিয়ার কম আয়তনের দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। দেশটির জনসংখ্যা ৫৮ লাখ ১৬ হাজারের সামান্য বেশি। জনসংখ্যার ৬৭.৮ শতাংশ মুসলমান। শিয়া ও সুন্নির সংখ্যা প্রায় সমান। খ্রিস্টান জনসংখ্যা ৩৪.৪ শতাংশ। দ্রুজ মুসলমানের সংখ্যা সাড়ে ৪ শতাংশ। ধর্মীয় দিক থেকে বিভাজন থাকলেও লেবাননে আন্তসাম্প্রদায়িক সম্পর্ক বেশ ভালো। মুসলমানদের মধ্যে শিয়ারা বেশ শক্তিশালী এবং ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী হিজবুল্লাহর শক্তি সামর্থ্য লেবাননের সৈন্য বাহিনীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। দেশটিতে সুন্নি ও দ্রুজ মুসলিমদেরও আলাদা মিলিশিয়া রয়েছে। তবে মুসলিমদের তিন গ্রুপের মধ্যে ধর্মীয় বিরোধ থাকলেও তাদের সবাই যেমন ইসরায়েল বিরোধী তেমন খ্রিস্টানদের মনোভাবও অভিন্ন। যে কারণে ফিলিস্তিনি ভূমি অপদখলকারী ইসরায়েল তাদের অস্তিত্বের জন্য ক্ষুদ্র দেশ লেবাননকে হুমকি হিসেবে মনে করে। হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যাই শুধু নয়, প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তারা লেবানন সীমান্তে বিপুল সৈন্য মোতায়েন করেছে। লেবাননের পাশাপাশি ইসরায়েলবিরোধী আরেকটি দেশ সিরিয়ার ওপরও হামলা চালিয়ে ১২ জন হিজবুল্লাহ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে জায়নবাদীরা। হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার পর বিমান হামলা চালানো হয় অন্যতম শীর্ষনেতা আবু রিদাকে হত্যার জন্য। স্মর্তব্য, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ৬০ ফুট ভূগর্ভের শক্ত ঘাঁটিতে অবস্থান করছিলেন হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। সেখানে এমন শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় যে তা ৬০ ফুট অতিক্রম করে আঘাত হানে। ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হওয়ার পর ‘ব্লান্ট ট্রমায়’ হিজবুল্লাহ নেতার মৃত্যু হয়। ইসরায়েলের কান্ডজ্ঞানহীন আচরণ মধ্যপ্রাচ্য শান্তিকে যেমন প্রশ্নবিদ্ধ করছে তেমন বিশ্বশান্তির জন্য বিড়ম্বনা ডেকে আনছে। ইহুদিবাদের ছোবল থামাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই শক্ত হতে হবে। নইলে এর দায় তারা এড়াতে পারবেন না।

সর্বশেষ খবর