বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

ডেঙ্গুর প্রকোপ

প্রতিরোধ ও প্রতিকারে পদক্ষেপ নিন

ডেঙ্গু এবারও আতঙ্ক ছড়াল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য, সোমবার পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুজ্বরে ১৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরেই মারা গেছেন ৮০ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজারের বেশি। এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি হন সহস্রাধিক মানুষ। এর মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকারই প্রায় পাঁচ শ জন। তথ্যানুুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হন। আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত হিসাব এর চেয়ে বেশি হওয়াই স্বাভাবিক, কারণ অনেকেই চিকিৎসক বা হাসপাতালের দ্বারস্থ হন না। সমস্যা হচ্ছে, ডেঙ্গু ভাইরাসের এখনো কোনো স্বীকৃত টিকা বা ভ্যাকসিন নেই। এর প্রতিরোধ নির্ভর করে জীবাণুবাহী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ এবং এর কামড় থেকে সুরক্ষার ওপর। গবেষণা বলছে, বিভিন্ন স্থানে ৪-৫ দিন জমে থাকা পরিষ্কার পানি এডিস মশার বংশ বিস্তারের স্থান। এদের বংশ বৃদ্ধি বন্ধ করা সম্ভব হলে রোগ বিস্তার কমবে নিশ্চয়। এ ব্যাপারে গণসচেতনতা, কার্যকর পদক্ষেপ এবং উপযুক্ত সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। এ বছর সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর, দেশের প্রায় সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপন করেন। স্বভাবতই অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় এগুলোর দৈনন্দিন কাজে। পরে প্রশাসকরা দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও কার্যক্রম চালুতে কালক্ষেপণ হয়। সময়মতো মশা মারা হয় না। এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির এটা একটা কারণ হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সব মহলের সক্রিয়তায় মশক নিধন কার্যক্রম কার্যকর এবং চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। পাশাপাশি, প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকেই এ রোগ থেকে নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষায় সচেষ্ট থাকা আবশ্যক। আশার বিষয়, সংক্রামক ব্যাধি ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিরাময়ের উপায় উদ্ভাবনে বিশ্ব পরিমন্ডলে গবেষণা চলছে। দ্রুত এ প্রচেষ্টা সাফল্য অর্জন করুক- এটা সবার ঐকান্তিক কামনা।

সর্বশেষ খবর