বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

ব্যবসাবাণিজ্য

সুরক্ষায় চাই সমন্বিত প্রচেষ্টা

বাণিজ্য সমৃদ্ধি নিশ্চিত করে। পৃথিবীর সবচেয়ে সম্পদশালী মহাদেশ ইউরোপ। ইউরোপের এ সমৃদ্ধি এসেছে ‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’ তত্ত্বের ওপর আস্থা রেখে। যদিও বাংলা ভাষার এ প্রবাদটি তাদের জানার কথা নয়, তারা ব্যবসাবাণিজ্যে উদ্বুদ্ধ হয়েছে নিজেদের গরজে। ১৪০০ বছর আগে আরবের লোকেরাও ছিল ব্যবসার দিক থেকে এগিয়ে। সে সময়েও মরুচারী আরবরা ব্যবসা করত ভারতবর্ষ ও চীনের মতো দূরবর্তী দেশের সঙ্গেও। বাংলা ভাষায় প্রবচনে ব্যবসাকে সমৃদ্ধির চাবিকাঠি হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এ ক্ষেত্রে অগ্রযাত্রার সিংহ ভাগই ঘটেছে স্বাধীনতার পরে। বড় মাপে নব্বইয়ের মহান গণ অভ্যুত্থানের পর। বাজার অর্থনীতিকে অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে গ্রহণের ফলশ্রুতিতে। এক সময়ের কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি মানুষ এখন নিয়োজিত শিল্প খাতে। কিন্তু গত দুই বছর ধরে ভালো নেই দেশের ব্যবসা খাত। এর আগে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশগুলোর একটি। তারপর থেকে বিশ্বমন্দা, করোনাঘাত, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনসহ নানা কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিসংবাদের ছায়া পড়েছে। দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে জনক্ষোভ দানা বেঁধে ওঠায় লুটেরা রাজনীতিক, আমলা ও তাদের সহযোগী অসৎ ব্যবসায়ী এবং ব্যাংক লোপাট করা ঋণখেলাপিরা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিদেশে অর্থ পাচার শুরু করে ব্যাপকভাবে দেশবাসীর ক্ষোভের বিষয়টি উপলব্ধি করে। পরিণতিতে ডলারের দাম রাতারাতি ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। এ প্রেক্ষাপটে দেশবাসীকে বাঁচাতে কর্তৃত্ববাদ পতনের আন্দোলনের নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ। দীর্ঘ ৩৭ দিন অচলাবস্থার মুখে পড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য। স্বৈরাচার পতনের পর গত প্রায় দুই মাসেও চলছে অস্বস্তিকর অবস্থা। পতিত স্বৈরাচারের এজেন্টদের ষড়যন্ত্রে শিল্প-কারখানায় অস্থিতিশীলতা ঝেঁকে বসেছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষের জীবিকা।  ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। এই ভয়াবহ বিপদ থেকে ব্যবসায়ীদের রক্ষায় সরকারকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। শিল্প কলকারখানায় শান্তি বজায় রাখতে হবে শক্ত হাতে। দেশের অর্থনীতিতে গতি ফিরিয়ে আনতে নিতে হবে সমন্বিত প্রচেষ্টা।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর