শিরোনাম
শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

আর্থিক খাত

দ্রুত কাটুক নাজুক পরিস্থিতি

অনেক দিন ধরেই দেশের ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে নাজুক পরিস্থিতি চলছিল। জুলাই বিপ্লবের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। দেড় দশকের অনিয়ম-অনাচার, দুর্নীতি-দুঃশাসন, চুরি-দস্যুতার পাহাড়সমান পাপের বর্জ্য অপসারণই হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের প্রাথমিক কাজ। এটা অনুধাবন করেই তারা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্র সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। আর্থিক খাত সংস্কারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) জোরালো তাগিদ রয়েছে। দেশের ব্যাংক খাতের অনিয়ম-দুর্নীতিসংক্রান্ত অভিযোগের মীমাংসা এবং এ-সংক্রান্ত নীতিমালার সংস্কার সম্পন্নের সুপারিশ করেছে আইএমএফ। কেদ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সব ব্যাংকের প্রথাগত কাজে পরিচালকদের নাক গলানো বন্ধে শক্ত নীতি নিতে বলেছে সংস্থাটি। যেহেতু একটা নতুন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে, যাদের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই- সে কারণে এদের কাছে আইএমএফের প্রত্যাশাও বেশি। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকারী আইএমএফ প্রতিনিধি দল মত প্রকাশ করেছে, টেকসই উন্নয়নের জন্য আর্থিক খাতে কার্যকর সংস্কার বাস্তবায়নের এখনই উপযুক্ত সময়। আইএমএফ তার বিশাল অঙ্কের ঋণ কর্মসূচির আওতায় পরবর্তী কিস্তি পেতে যেসব শর্ত দিয়েছিল, সেসবের উল্লেখ করে রিজার্ভ বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো, রাজস্ব খাত সংস্কার ও রাজস্ব বৃদ্ধি এবং ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সংস্থাটি ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নীতি ও কাঠামোগত সংস্কার আগামী জুনের মধ্যে শেষ করতে বলেছে। এতে অতিরিক্ত তহবিলের প্রয়োজন হলে তাও দেবে। এসব বিষয়ে অগ্রগতি ও সংস্কারমূলক পদক্ষেপের বিস্তারিত তুলে ধরতে ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ মাসেই ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভায় আর্থিক খাত সংস্কারে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের বিস্তারিত তুলে ধরবে বাংলাদেশ। আশা করা যায় সেখানে বিষয়গুলোর যথার্থতা পর্যালোচনার মাধ্যমে এ দেশের আর্থিক খাত উন্নয়নে বিশ্বখ্যাত অর্থ-বিশেষজ্ঞদের মূল্যবান মূল্যায়ন ও পরামর্শ পাওয়া যাবে; যা এক্ষেত্রে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে প্রভূত সহায়তা জোগাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর