শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

জলাবদ্ধতা

ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন

রাজধানী ঢাকায় জলাবদ্ধতার সমস্যা নতুন নয়। বর্ষাকালে মহানগরবাসীকে এ নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় অনেক রাস্তাঘাট। ভারী বৃষ্টি হলে হাঁটু ছাড়িয়ে কোমর ছোঁয় নালা-নর্দমা উপচে ওঠা দূষিত দুর্গন্ধ পানি। এ সমস্যা নগরবাসীর গলার কাঁটা হয়ে আছে যুগের পর যুগ। বুধবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে যথারীতি ডুবে যায় শহরের অনেক পাড়া-মহল্লার অলিগলি থেকে শুরু করে রাজপথ। তার প্রভাবে নগরজুড়ে সৃষ্টি হয় জটিল যানজট। মহাদুর্ভোগ সহ্য করতে হয় কর্মজীবী, শিক্ষার্থীসহ শ্রমজীবী সাধারণকে। এ থেকে যেন মুক্তি নেই! বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য- এ শহরে জলাবদ্ধতার একটা মূল কারণ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার দুর্বলতা। পানি বেরিয়ে যাওয়ার খালগুলো দখল-দূষণে বিলুপ্তপ্রায়। চারপাশের নদীগুলোও মরতে বসেছে। পানি নেমে যাওয়ার পথ এবং জায়গা পায় না। অপরিকল্পিত নগরায়ণে শহরের অসংখ্য পুকুর-জলাশয় এখন ইতিহাস। বৃষ্টির পানি জমে থাকারও জায়গা নেই। ত্রুটিপূর্ণ ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংকট উত্তরণে সহায় হতে পারছে না। সময়মতো এগুলো সংস্কার ও পরিষ্কার করা হয় না। তার ওপর রয়েছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নগরবাসীর দুঃখজনক দায়িত্বহীনতা। তারা পলিথিনসহ অপচনশীল বিভিন্ন বর্জ্য নির্বিচারে ফেলছেন আস্তাকুঁড়ে, নর্দমায়। এগুলো নালায় আটকে জলাবদ্ধতার জট পাকাচ্ছে। সার্বিক বিষয়ে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। গভীর প্রশস্ত পর্যাপ্ত ড্রেন নির্মাণ এবং শহরের খাল-ড্রেন, বক্সকালভার্টগুলোকে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে গতিশীলভাবে পানি পরিবহনের উপযুক্ত করে রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় ড্রেজিংয়ে নগরীর পার্শ্ববর্তী নদীগুলোর নাব্য বৃদ্ধি করতে হবে, যেন আপৎকালে সেগুলো অতিরিক্ত পানি ধারণ করে রাজধানীকে জলাবদ্ধতার কলঙ্কমুক্তি এবং নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ভূমিকা রাখতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর