মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

সংলাপের অর্জন

সংস্কার ও নির্বাচনের পথ মসৃণ হবে

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সংলাপে দুই পক্ষের আস্থার সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংস্কার শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া হবে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির ভাষ্য, নির্বাচনই তাঁদের এক নম্বর অগ্রাধিকার। তবে নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে তাঁরা সরকারের কাছে কোনো মাস বা দিন-কালের কথা বলেননি। বিএনপি ১৮টি দাবি সামনে রেখে কথা বলেছে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে। দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো সংস্কার চেয়েছেন তাঁরা। বিএনপির পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে জামায়াতে ইসলামী। আলোচনায় জামায়াত নেতারা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। উভয় দলের ভাষ্য, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হোক তা তাঁরা চান না। সেজন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। দ্রুত নির্বাচন না দিলে অথবা সংস্কারে দীর্ঘ সময় লাগলে গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ অস্থির হয়ে উঠতে পারে। ভিন্ন পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হবে। কমিউনিস্ট পার্টি ও বাম জোটের নেতাদের ভাষ্য, নির্বাচিত সরকার ছাড়া সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যাবে না। এজন্য নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার জন্য প্রধান অংশীজন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এখনই আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসেছে জুলাই বিপ্লবের ফসল হিসেবে। তবে এ সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন তাদের যাত্রাপথকে মসৃণ করতে সাহায্য করবে। অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কার এবং নির্বাচন দুটিই সম্ভাব্য কম সময়ে সম্পন্ন করতে চায় তা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে সরকারের পেছনে দেশবাসীর আস্থাও বাড়বে। অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতেও তা অবদান রাখবে।

সর্বশেষ খবর