শিরোনাম
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

জেনারেল আজম খানের দেবী দুর্গাচর্চা

সুমন পালিত

জেনারেল আজম খানের দেবী দুর্গাচর্চা

দুর্গাপূজা বসন্তকালের। কিন্তু সে পূজা বাঙালি হিন্দুরা পালন করেন শরৎকালে। অন্তত সাড়ে ৫ শ বছর ধরে। বাংলা ছাড়া হিন্দি তামিল গুজরাটি মারাঠিসহ অন্য সব ভাষাভাষী হিন্দুদের কাছে দেবী দুর্গার তেমন গুরুত্ব নেই। অনেকে দুর্গা দেবীর নামও জানেন না। বলা হয় অযোধ্যার রাজা ছিলেন দশরথ। তার কোনো পুত্র ছিল না। দেবতার আশীর্বাদে তিন স্ত্রীর গর্ভে তিনি চার পুত্র সন্তানের বাবা হন। রানি কৌশল্যার গর্ভে জন্ম নেন রাম। কৈকেয়ীর গর্ভে ভরত এবং ছোট রানি সুমিত্রার গর্ভে জন্ম নেন যমজ সন্তান লক্ষণ ও শত্রুঘ্ন।

দশরথের তিন রানির সম্পর্ক ছিল বেশ ভালো। একে অপরের সহযোগী ছিলেন তারা। কিন্তু রানি কৈকেয়ী তার দাসীর কথায় রাজা দশরথের কাছে দুটি বর চান। রাজা তাতে রাজি হন। রানি কৈকেয়ী বলেন, প্রথম বর হলো দশরথের পর ভরত হবেন অযোধ্যার রাজা। আর দ্বিতীয় বর রামকে ১৪ বছর বনবাসে পাঠাতে হবে। দশরথ অনিচ্ছা সত্ত্বেও তা মেনে নেন। রামকে স্ত্রী সীতাসহ পাঠানো হয় বনবাসে। পুত্র শোকে ছয় দিনের মধ্যে রাজা দশরথ মৃত্যুমুখে পতিত হন।

রাম বনবাসে গিয়ে পড়েন মহা বিপদে। লঙ্কার রাক্ষস রাজ রাবণ সীতাকে অপহরণ করেন। রাবণ ছিলেন অসীম সাহসী বীর ও শক্তিশালী রাজা। তাকে বধ ছাড়া রামের পক্ষে সীতাকে উদ্ধার করা সম্ভব ছিল না। কীভাবে স্ত্রীকে উদ্ধার করবেন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় ব্রহ্মা তাকে শিবের স্ত্রী পার্বতীর পূজা করার পরামর্শ দেন। ব্রহ্মার পরামর্শে অসময়ে শরৎকালে পার্বতীর দুর্গতিনাশিনী রূপের মহাপূজার আয়োজন করেন রাম।

মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী ও সন্ধি পূজা করেও দুর্গার আবির্ভাব না ঘটায় ১০৮টি নীল পদ্ম দিয়ে মহানবমী পূজার পরিকল্পনা করেন তিনি। হনুমান রামকে ১০৮টি নীল পদ্ম জোগাড় করে দেন। কিন্তু পূজার আগেই ঘটে মহাবিপত্তি। মহামায়া রামকে পরীক্ষা করতে একটি পদ্ম লুকিয়ে রাখেন। সে পদ্মের বদলে রাম নিজের চোখ উপড়ে দেবী দুর্গাকে নিবেদন করতে গেলে তিনি নিজে এসে কাক্সিক্ষত বর দেন।

দেবী দুর্গার পূজা করে বর আদায় এবং সে শক্তি বলে রাবণ বধের কেচ্ছাকাহিনি নিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে মতভেদ আছে। ভগবান রামচন্দ্রের জীবনী বলে বিশ্বাস করা হয় বাল্মিকীর রামায়ণকে। রামায়ণ অনুবাদ হয়েছে ৩৮টি ভাষায়। এর মধ্যে ৩৭টিতে রামের দুর্গাপূজা করে বর আদায়ের কেচ্ছা নেই। আছে শুধু কৃত্তিবাস ওঝার অনূদিত রামায়ণে। কৃত্তিবাস রামায়ণের পদ্যানুবাদের সময় মনের মাধুরী মিশিয়ে রামের দুর্গাপূজার বিষয়টি যে সংযোজন করেছেন তা স্পষ্ট। বলা যায় রামের নয়, বাঙালি হিন্দুর দুর্গোৎসবের সব কৃতিত্ব কৃত্তিবাস ওঝার। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি, রাম নামের কেউ ছিলেন কি না এমন সন্দেহভাজন হিন্দুর সংখ্যাও খুব একটা কম নয়। পশ্চিম বাংলার প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু তাদেরই একজন। অযোধ্যার রামমন্দির বাবরি মসজিদ বিতর্কের সময় তিনি বলেছিলেন, যেখানে রাম নামের কেউ কখনো ছিলেন না সেখানে রামমন্দির থাকার প্রশ্ন ওঠে না।

রাম সম্পর্কে আরেকটি তথ্য বেশ চমকপ্রদ। শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, লওস ও তিব্বতের লোক কাহিনিতে রয়েছে রামের উপস্থিতি। যেসব দেশের মানুষের কাছে তিনি শ্রদ্ধার পাত্র। তবে অযোধ্যায় রামের সঙ্গে ওইসব দেশের রাম কাহিনির পার্থক্য রয়েছে।

থাক সে কথা। দুনিয়ার সব ধর্মের ক্ষেত্রে অভিন্ন একটি মত হলো বিশ্বাসে মেলে বস্তু তর্কে বহুদূর। কোটি কোটি বাঙালি হিন্দু যে শারদীয় দুর্গাপূজার জন্য সারা বছর মুখিয়ে থাকেন তা একটি মহাসত্যি। দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দুর সর্বজনীন উৎসবের নাম। এই উৎসব নিয়ে বিতর্ক অনুদারতার শামিল। ব্রিটিশ আমলে ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিপ্লব পর্যন্ত কলকাতা ছিল ভারতবর্ষের রাজধানী। সারা ভারতের অভিজাত পরিবারের বসবাস ছিল কলকাতায়। সপ্তাদশ শতাব্দীতে কলকাতার ধনিক শ্রেণি বিশেষত জমিদারদের মধ্যে ঘটা করে দুর্গাপূজার প্রচলন শুরু হয়। এ ব্যাপারে এগিয়ে ছিল জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি। ১৭৮৪ সালে নীলমণি ঠাকুরের হাত ধরে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয়। ঠাকুরদের পূর্বপুরুষরা খুলনার অধিবাসী। ঘটা করে দুর্গাপূজার শুরু নীলমণি ঠাকুরের সময়ে। তবে দুর্গাপূজা ঠাকুরবাড়িতে রাজসিক রূপ নেয় প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের কৃতিত্বে।

নীলমণি ঠাকুরের পৌত্র দ্বারকানাথের জীবনাচার ছিল রাজা-মহারাজার মতো। দেব-দেবীর পূজাও করতেন ভক্তিভরে। ইংরেজদের সঙ্গে দ্বারকানাথের হরহরি আত্মার সম্পর্ক গড়ে ওঠে অচিরেই। আগে থেকেই ঠাকুররা ছিলেন ফরাসি ও ইংরেজদের সঙ্গে নানা ব্যবসায় জড়িত। সাহেবী জীবনে অভ্যস্ত ছিলেন তারা। দ্বারকানাথ ছিলেন তার বাবা ও ঠাকুরদার চেয়ে অনেক এগিয়ে। ফলে ধার্মিকরা তাদের দেখতেন বাঁকা চোখে। ধর্ম বিশ্বাসে উদার হলেও দ্বারকানাথের সময় ঠাকুরবাড়িতে দুর্গাপূজা হতো রাজকীয় কায়দায়। এ বাবদ যে খরচ হতো তা ভিরমি খাওয়ার মতো। দুর্গাপূজা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হতো ঠাকুরবাড়িতে। কর্মচারীদের সবাইকে নতুন পোশাক কেনার অর্থ দেওয়া হতো। ঠাকুরবাড়ির ছেলেদের জন্য ছিল প্রতিদিন নতুন পাঞ্জাবি আচকান ও জরির টুপি। আর মেয়েদের জন্য ছিল প্রতিদিন নতুন শাড়ি। দেবী দুর্গার মাথায় শোভা পেত সোনার মুকুট। গতর ভরা সোনার অলংকার। সে অলংকার আনা হতো ফ্রান্স থেকে। সাজসজ্জার পিছনে যে ব্যয় হতো তা ছিল অকল্পনীয়। দুর্গাপূজায় ঠাকুরের ভোগ দেওয়া হতো ৫১ রকমের। সোনার থালা ও বাটিতে দেওয়া হতো সেই ভোগ। তবে এ উপলক্ষে পশু বলি দেওয়া হতো না। কারণ জোড়াসাঁকোর ঠাকুররা ছিল বৈষ্ণব। পশুর বদলে দেওয়া হতো কুমড়ো বলি। সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের ভ্রাতুষ্পুত্রী বিনয়িনী দেবী লিখেছেন, রুপোর প্রদীপ দানিতে এক হাজার একটি ঘিয়ের প্রদীপ দিয়ে, রুপোর ঘণ্টা বাজিয়ে আরতি শুরু হতো। প্রতিমার দুই পাশে জ্বলত ঘিয়ের প্রদীপ। তিন দিন তিন রাত ধরে প্রদীপ জ্বলত।     

ঠাকুররা ছিল অভিজাত পরিবার। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে সাধারণ মানুষের অবাধ প্রবেশাধিকার ছিল না। তবে দুর্গাপূজার সময় তারা হতেন উদার। এ সময়ে সাধারণের প্রবেশাধিকার ছিল অবারিত। কলকাতার বিশিষ্টজনদেরও পূজা উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানানো হতো। আমন্ত্রণ পেত ইংরেজরাও। দেবী বিসর্জনের দশমীর দিন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে বর্ণাঢ্য মিছিল বের হতো। দেবী সঙ্গে নিয়ে বের হতেন ঠাকুরবাড়ির সদস্যরা। তার আগে নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে দেওয়া হতো ঠাকুরবাড়ি থেকে। তারা বিশ্বাস করতেন এই পাখি কৈলাসে গিয়ে মহাদেবকে পার্বতীর আগমন বার্তা জানিয়ে দেবে। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির দুর্গার গায়ে যে গহনা থাকত সেগুলোসহ বিসর্জন দেওয়া হতো। কেউ যাতে বিসর্জনের আগে তা খুলে না নেয় সে ব্যাপারে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের কড়া নির্দেশ ছিল। ঠাকুরবাড়ির প্রতিমার গয়নাগাটি নেওয়ার জন্য গঙ্গাতীরে অসংখ্য লোকের ভিড় হতো। শুরু হতো প্রতিমার গহনা লুটের প্রতিযোগিতা। দেবী বিসর্জনের পর ঠাকুরবাড়িতে চলত আরেক উৎসব। নাচ ও গান বাজনার জলসা। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনা হতো বাইজিদের। যাত্রার আয়োজন করা হতো ঘটা করে।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে যে অপচয়-অপব্যয়ের উৎসব চলত, তাতে ক্ষুব্ধ ছিলেন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সন্তানরা। বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথের বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ও তার ভাইয়েরা ব্রাহ্ম ধর্ম গ্রহণ করেন। যে ধর্ম ছিল মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে। একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করেন এই ধর্মের অনুসারীরা।

প্রিন্স দ্বারকানাথের রাজকীয় জীবনযাপনের খরচ মেটাতে ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়ে ঠাকুর পরিবার। রবীন্দ্রনাথের বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘাড়ে পরিবারের দায়িত্ব অর্পিত হওয়ার পর ধারদেনা শোধ করতে তিনি কৃচ্ছ্রতার আশ্রয় নেন। কঠোর পরিশ্রম করেন তিনি। নতুবা ঠাকুর পরিবারের অগ্রযাত্রা হয়তো তার আমলেই থেমে যেত।

জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির দুর্গাপূজা ছিল সারা বাংলার প্রধান আকর্ষণ। ১৮৬১ সালে সে পূজা বন্ধ হওয়ার পর হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব হারায় এ পরিবারটি। তবে ব্রাহ্মধর্মের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কারণে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি আলাদা মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হয়। নোবেল জয়ী কবি রবীন্দ্রনাথের কল্যাণে তা শুধু কলকাতা নয়, জগৎজুড়ে পরিচিত হয়ে ওঠে।

দুর্গাপূজা এক সময় ছিল ধনী বণিকের পূজা। তবে পরবর্তীতে তা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্বজনীন পূজায় পরিণত হয়। সমষ্টিগতভাবে দুর্গাপূজার আয়োজন শুরু হয় বাংলাজুড়ে। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভেঙে ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। আজকের বাংলাদেশ ছিল পাকিস্তানের পূর্ব অংশ। পশ্চিম অংশ ছিল হাজার মাইল দূরে আরেক প্রান্তে। যেটি এখন পাকিস্তান নামে পরিচিত। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পরও পূর্ব পাকিস্তানে দুর্গাপূজা পালিত হয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদায়। সাধারণ মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছিল দেখার মতো। আজকের লেখাটি শেষ করব শিরোনামে উল্লিখিত বিষয়টি নিয়ে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ১১ বছরের মাথায় জারি হয় সামরিক শাসন। মীরজাফরের বংশধর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা তখন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। সেনাপ্রধান জেনারেল আইয়ুব খানের যোগসাজশে তিনি সামরিক আইন জারি করেন। মাত্র ২০ দিন পরে ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর ইস্কান্দার মির্জাকে হটিয়ে নিজেই ক্ষমতা হাতে নেন আইয়ুব খান। নিজেকে ঘোষণা করেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও সামরিক আইন প্রশাসক। পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হন লে. জেনারেল আজম খান। আজম খানকে বলা হতো বেলুচিস্তানের কসাই। স্বাধীনতাকামী বালুচদের দমনে তিনি নৃশংসতার পথ বেছে নেন। লাহোরের কাদিয়ানী বিরোধী দাঙ্গা দমনে নিজের হাত লাল করেন তিনি। এহেন আজম খান পূর্ব বাংলায় আবির্ভূত হন এক ভিন্ন মানুষ হিসেবে। ঢাকার আজমপুর এবং খুলনার আজম খান কমার্স কলেজ এখনো এই পাকিস্তানি জেনারেলের নাম ধারণ করে আছে।

যা হোক জেনারেল আজম খান সম্পর্কে একটি গল্প বেশ প্রচলিত ছিল পাকিস্তান আমলে। গল্পটি মরহুম সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর কাছ থেকে শোনা। তিনি এটি শুনেছিলেন যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মোজহারুল ইসলামের কাছ থেকে। গল্পটি এরকম। গভর্নর গিয়েছেন দুর্গাপূজা মন্ডপ পরিদর্শনে। এ সময় পুরোহিতরা গভর্নরের কাছে হিন্দু ধর্মের মর্মার্থ ব্যাখ্যা করেন। একপর্যায়ে আজম খান অসুরকে দেখিয়ে বলেন- ইয়ে কোন হ্যায়? পুরোহিতের জবাব অসুর। প্রশ্ন করেন ইয়া কিয়া কর রাহা? পুরোহিতের জবাব ও দেবিকা সাথ ফাইট কর রাহা। গভর্নর কারোর কিছু বুঝে ওঠার আগেই- শালা বেতমিজ, আওরাত সাথ ফাইট কর রাহা বলেই হাতের বাঁকা লাঠি দিয়ে অসুরের গলা ধরে দেন টান। ভেঙে যায় অসুরের মুন্ডু। পুরোহিতরা হাতজোড় করে বলেন, হুজুর মূর্তি ভেঙে গেছে। ভাঙা মূর্তি দিয়ে তো পুজো হবে না। আজম খান বুঝলেন তার ভুল হয়ে গেছে। পকেট থেকে টাকা বের করে দিয়ে বললেন নয়া মূর্তি বানাও। মগার অসুর মতো বানাও। ও শালা বেতমিজ। আওরত সাথ ফাইট করতা।

ক্ষমা প্রার্থনা : গত বুধবারের ‘মাজার ভাঙার পিছনে কাদের কালো হাত’ শীর্ষক কলামে মরহুম মাঈনউদ্দিন খান বাদলের নাম ভুল করে মহিউদ্দিন খান বাদল ছাপা হয়েছে। বাদল ভাই আমাকে স্নেহের চোখে দেখতেন। তার নাম ভুলভাবে ছাপা হওয়ায় ক্ষমা চাচ্ছি পাঠক এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার কাছে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক

ইমেইল :[email protected]

সর্বশেষ খবর