শিরোনাম
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাণিজ্যে বিসংবাদ

আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করুন

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিশ্চয়তার লু হাওয়া বইছে প্রায় দুই বছর ধরে। গত অর্থবছরে বন্ধ হয়েছে ২৭৫টি কলকারখানা। গত দুই মাসে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের দেড় শতাধিক ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে গত তিন মাসে ৮৩টি কোম্পানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা শিল্প কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া মানেই সে সব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের বেকার হওয়া। এমনিতে দেশে বেকারত্বের হার আকাশ ছুঁতে চলেছে। বিনিয়োগ আকর্ষণের নতুন কোনো উদ্যোগ না থাকায় দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন না। দেশের অর্থনীতির জন্য যা একটি অশনিসংকেত। দেশের কলকারখানা শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গভীর সংকট চলছে দীর্ঘদিন ধরে। বিগত সরকারের আমলে যেনতেন করে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লাগাতার লোকশানের ঘানি টানা থেকে নিষ্কৃতি পেতে বিপুল সংখ্যক কোম্পানি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থায়ীভাবে ব্যবসা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেই অবসারণের পথে হাঁটছে তারা। সহযোগী দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত ১৬০টি কোম্পানি বন্ধের প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে। এর মধ্যে বড় গ্রুপের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। রয়েছে যৌথ মূলধনী কোম্পানি। নতুন বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে নিবন্ধন নেওয়া কোম্পানিও রয়েছে বন্ধের তালিকায়। বন্যা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, ডলারের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে ওঠার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যে সংকট চলছে। ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, করোনাকাল মোকাবিলা করে কাহিল হয়ে উঠেছিল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। তারপর ডলার সংকট ব্যবসা পরিচালনাকে কঠিন করে তুলেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতারও শিকার হয়েছেন ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থা মোকাবিলায় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে হবে সরকার ও প্রশাসনকে। রাজনৈতিক দলগুলোরও কর্তব্য হবে তাদের সাহস জোগানো। ব্যবসা-বাণিজ্যকে রাজনীতি বিমুক্ত করারও উদ্যোগ নিতে হবে। কলকারখানার নিরাপত্তার প্রশ্নে নিতে হবে জিরো টলারেন্স নীতি। শ্রমিক অসন্তোষের প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। সৃষ্টি করতে হবে আস্থার পরিবেশ।

সর্বশেষ খবর