বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৪ ০০:০০ টা

ভাইরাস আতঙ্কে বিদ্যালয় বন্ধ

ভাইরাস আতঙ্কে বিদ্যালয় বন্ধ

গাজীপুর জেলার কাশিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ২৪ শিক্ষার্থী হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার পর থেকে স্কুল এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

জানা যায়, গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী সামিয়া তামান্না মিশু স্কুলে আসার পর হঠাৎ মাথা ব্যথা ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে স্থানীয় হাজী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ২৪ আগস্ট রবিবার আবারও কয়েকজন ছাত্রী একই সমস্যায় অসুস্থ হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়। গত ২৫ আগস্ট সোমবার স্কুলে প্রথম ক্লাস শুরু হওয়ার পর ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী সাবিকুন নাহার, ফাতেমা, আয়েশা, তানজিলা ও মিনাসহ ১০ থেকে ১৫ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

এরপর গত ২৬ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে ক্লাশ শুরু হওয়ার পর জায়মা আক্তার, মনিদে, সূচনা, জিন্নাত, শাবনুর, সালমা, তামান্না, শরিফা, লতিফাসহ ২০/২৫ জন ছাত্রী হঠাৎ শ্বাসকষ্টের সমস্যা ও মাথা ব্যথা অনুভব করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ সময় তাদের স্থানীয় কাশিমপুর এমএম ক্লিনিক ও হাজী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অসুস্থতার ঘটনায় কাশিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করেন প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় কাশিমপুর এলাকায় জুড়ে ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এলাকাবাসী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ধারণা ভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রথমে মাথা ব্যথা শুরু হয়। পরে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। বাসায় এর আগে কোনদিন এমন হয়নি।

হাজী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, গত তিন দিন ধরে ছাত্রীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। চিন্তাভাবনা শারীরিক দুর্বলতা কারণে এমন হতে পারে। আবার কোনো ভাইরাসের কারণে এমন হতে পারে। ছাত্রীরা মাথাব্যথা অনুভব করে পরে শরীর শক্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। চিকিৎসার পর যারা সুস্থ হয়েছে তাদের আর এমন হয়নি। ভাইরাস পরীক্ষা করার কোনো যন্ত্র আমাদের হাসপাতালে নেই।

এ ব্যাপারে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান জানান, আমাদের স্কুলে এক হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে শুধু মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তবে বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে মঙ্গলবারের জন্য স্কুল ছুটি দিয়েছি। এ ঘটনায় অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
 

সর্বশেষ খবর