যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাকি রয়েছে সেগুলো এখন নিয়মিত পড়াশোনা করবে। পরীক্ষার রুটিন দেখে পড়াশোনা করবে। যেসব বিষয়ের পরীক্ষার আগে বেশিদিনের গ্যাপ আছে সেসব বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রথম দিন থেকেই পড়বে। বেশিদিন গ্যাপ আছে বলে পড়ায় বিরতি দেবে না। যেসব বিষয়ের পরীক্ষার আগে গ্যাপ আছে সেসব বিষয়ের উপর মডেল টেস্ট দিতে পার। পরীক্ষার দিন বেশ সময় হাতে রেখেই কেন্দ্রে পৌঁছাবে। প্রতি পরীক্ষার দিন অবশ্যই কমপক্ষে মোটকথা বাসা থেকে কেন্দ্রের দূরত্ব অনুযায়ী সময় নিয়ে কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। দূরত্ব বেশি হলে বেশি সময় হাতে রেখে বাসা থেকে বের হবে। বিশেষ করে যারা রাজধানীর পরীক্ষার্থী তাদের অবশ্যই যানজটের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কারণ যানজটে পড়লে ঠিকমতো কেন্দ্রে পৌঁছানো সম্ভব নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে পরীক্ষায় ব্যাঘাত ঘটবে। আর এবার থেকে যেহেতু নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর প্রথমে করতে হবে সেহেতু কেন্দ্রে দেরিতে পৌঁছালে বড় ধরনের ক্ষতি হবে। পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসবে যা শিখেছ তা যদি উত্তরপত্রে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পার। সামাজিক মাধ্যম যেমন ফেসবুকে প্রশ্ন আউট হবে এমন আশা এবং নকল করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মনে রাখবে, প্রশ্ন ফাঁস হবে এমন আশায় থাকলে পরীক্ষা নিশ্চিতভাবেই খারাপ হবে।
এছাড়া কথিত ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা কখনোই ভালো হয় না। ফেসবুকে প্রশ্ন পাওয়া যাবে ও নকল করে পাস করা যাবে এমন চিন্তা না করে পাঠ্যবই ভালো করে পড়তে হবে। আর অভিভাবকদের বলব, সন্তানদের চাপ না দিয়ে প্রেরণা দেন ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেন। পরীক্ষার দিন সন্তানদের নতুন জামাকাপড় পরিয়ে কেন্দ্রে পাঠাবেন না। এতে তাদের মধ্যে বিশেষ ধরনের অনুভূতি জাগতে পারে যা থেকে পরীক্ষা খারাপ হতে পারে। আরেকটা জিনিস, পরীক্ষার সময় সন্তানরা বাসায় কী করছে তার প্রতি নজর রাখতে হবে। যেন তারা বাজে জিনিসের খোঁজ না করে এ বিষয়টির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। শুভ কামনা।