বুধবার, ৪ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

জেএসসি পরীক্ষার পড়াশোনা

শারীরিক স্বাস্থ্য ও খেলাধূলা

সুধীর বরণ মাঝি, সাবেক শিক্ষক ডক্টর মালিকা কলেজ, ধানমন্ডি, ঢাকা

জেএসসি পরীক্ষার পড়াশোনা

১। এইচআইভি/এইডস বলতে কী বোঝায়? এইডসের লক্ষণসমূহ আলোচনা কর।

ভূমিকা : মানুষের জীবন ধ্বংসের জন্য যুগে যুগে বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগের প্রাদুর্ভাব হয়েছে। এইডস এর মধ্যে একটি। সারা বিশ্বে এই ঘাতক ব্যাধি এইডস আশঙ্কাজনক হারে বিস্তার লাভ করছে। ২০১০ সালের সরকারি তথ্য হিসাবে বাংলাদেশে এইচআইভিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৭ হাজার ৫০০ জন। আর বর্তমান বিশ্বে প্রতিদিন এই রোগে প্রায় ৬ হাজার ৮০০ জন আক্রান্ত হচ্ছে।        

এইচআইভি/এইডস : ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম এইডস শনাক্ত হয়। এইচআইভি একটি ভাইরাসের নাম। এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত রোগের নাম হলো এইডস। HIV এর পূর্ণ রূপ হলো Human Immune deficiency  Virus. এই ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশ করে ধীরে ধীরে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে স্থায়ীভাবে ধ্বংস করে দেয়। এই রোগের এখনো কোনো কার্যকর ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। অকাল মৃত্যুই এইডস রোগের শেষ পরিণতি। তাই একে ঘাতক ব্যাধি বা মরণব্যাধি বলা হয়।   

রোগ বিস্তার : এইচআইভি ভাইরাস মানবদেহের কয়েকটি তরল পদার্থে যেমন : রক্ত, রস, বীর্য ও মায়ের বুকের দুধে বেশি থাকে। ফলে মানবদেহের এই তরল পদার্থগুলোর আদান-প্রদানের মাধ্যমে এইচআইভি ছড়াতে পারে।  

এইডসের লক্ষণসমূহ : এইডসের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ নেই। তবে এইডস আক্রান্ত ব্যক্তি অন্য যে রোগে আক্রান্ত হয়, সে লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—     

১।   শরীরের ওজন দ্রুত হ্রাস পাওয়া।

২।   অজানা কারণে দুই মাসের অধিক সময় জ্বর থাকা।                                                                                    

৩।   দীর্ঘদিন ধরে শুকনো কাশি থাকা।

৪। দুই মাসের অধিক সময় ধরে পাতলা পায়খানা।                                                               

৫।   শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছত্রাকজনিত সংক্রমণ দেখা দেওয়া।                                                  

৬। লসিকা গ্রন্থি ফুলে যওয়া।

৭। নিদ্রা কম ও দেহ দুর্বল হয়ে যায়।                                                                                    

৮। স্নায়ু আক্রান্ত হয়ে স্মরণশক্তি ও বুদ্ধিমত্তা লোপ পায়।                              

যবনিকা : পরিশেষে আমরা বলতে পারি এইডস একটি মরণব্যাধি। উপরে বর্ণিত কোনো লক্ষণ দেখা গেলেই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না তিনি এইডস আক্রান্ত। তবে কোনো ব্যক্তির এসব লক্ষণ দেখা দিলে বিলম্ব না করে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রক্ত পরীক্ষা করে এই বিষয়ে নিশ্চিত হবে।

২। এইচআইভি/এইডস থেকে রক্ষা পেতে আমাদের কী কী করা উচিত?                                        

ভূমিকা : বাঁচতে হলে জানতে হবে। এইডস একটি মরণব্যাধি। অকাল মৃত্যই যার শেষ পরিণতি। তবে এটা কোনো ছোঁয়াছে রোগ নয়। আমরা সচেতন হলেই এইচআইভি/এইডস থেকে রক্ষা পেতে পারি।

এইচআইভি/এইডস থেকে রক্ষা পেতে করণীয় বা উপায়                                                        

১। অপরীক্ষিত রক্ত গ্রহণ করা যাবে না।                                                                                      

২। অন্যের ব্যবহূত সিরিঞ্জ ব্যবহার করা যাবে না।                                                                                        

৩। অন্যের ব্যবহূত ব্লেড বা রেজার ব্যবহার করা যাবে না।                                                              

৪।  অনিয়ন্ত্রিত, অনিরাপদ ও অনৈতিক যৌনমিলন করা যাবে না।                                                       

৫। অপারেশনে পরিশুদ্ধ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হবে।

৬। শিশুকে এইচআইভি জীবাণুবাহী বা এইডসে আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে না।    

  ৭। এইচআইভি  বা এইডস বিষয়ে মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে  সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

পরিশেষে আমরা বলতে পারি এইডস একটি ঘাতক ব্যাধি। এইচআইভি/এইডস কী, কীভাবে সংক্রমিত হয়, লক্ষণ, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কী প্রভৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা ও সবাইকে সচেতন করা প্রয়োজন। আমরা সচেতন হলেই এবং এর কারণগুলো থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারলেই, এইচআইভি/ এইডস থেকে রক্ষা পেতে পারি।                                                                        

৩। এইচআইভি/এইডসকে ঘাতক ব্যাধি বলা হয় কেন- আলোচনা কর।

ভূমিকা : বাঁচতে হলে জানতে হবে। এইডস একটি মরণব্যাধি। অকাল মৃত্যই যার শেষ পরিণতি। তবে এটা কোনো ছোঁয়াছে রোগ নয়। আমরা সচেতন হলেই এইচআইভি/এইডস থেকে রক্ষা পেতে পারি।

রোগ বিস্তার : এইচআইভি ভাইরাস মানবদেহের কয়েকটি তরল পদার্থে যেমন : রক্ত, রস, বীর্য ও মায়ের বুকের দুধে বেশি থাকে। ফলে মানবদেহের এই তরল পদার্থগুলোর আদান-প্রদানের মাধ্যমে এইচআইভি ছড়াতে পারে।                                                     

ঘাতক ব্যাধি : ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম এইডস শনাক্ত হয়। এইচআইভি একটি ভাইরাসের নাম। এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত রোগের নাম হলো এইডস। ঐওঠ এর পূর্ণ রূপ হলো Human Immune deficiency Virus. এই ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশ করে ধীরে ধীরে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে স্থায়ীভাবে ধ্বংস করে দেয়। এই রোগের এখনো কোনো কার্যকর ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। অকাল মৃত্যুই এইডস রোগের শেষ পরিণতি। তাই একে ঘাতক ব্যাধি বা মরণব্যাধি বলা হয়।                                       

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারি এই রোগের এখনো কোনো কার্যকর ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, তাই এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য আমাদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

[চলবে[

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর