[পূর্ব প্রকাশের পর]
নিচের উদ্দীপকগুলো পড়ে প্রশ্নের উত্তর দাও :
৬. অসীমকালের যে হিল্লোলে,জোয়ার-ভাটায় ভুবন দোলে,
নাড়ীতে মোর রক্তধারায় লেগেছে তার টান,
ঘাসে ঘাসে পা ফেলেছি,
বনের পথে যেতে,
ফুলের গন্ধে চমক লেগে,
উঠেছে মন মেতে
ছড়িয়ে আছে আনন্দেরই দান।
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বনফুল’ কাব্যগ্রন্থটি তার কত বছর বয়সে প্রকাশিত হয়?
খ. ‘জীবন্ত হৃদয় মাঝে যদি স্থান পাই’— কথাটির মাধ্যমে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘প্রাণ’ কবিতার আংশিক ভাব মাত্র, পূর্ণরূপ নয়। যুক্তিসহকারে বুঝিয়ে লেখ।
৭. বাদশা বাবর কাঁদিয়া ফিরিছে, নিদ নাহি চোখে তার—
পুত্র তাহার হুমায়ুন বুঝি বাঁচে না এবার আর।
চারিধারে তার ঘনায়ে আসিছে মরণ-অন্ধকার...
কহিল কাঁদিয়া— হে দয়াল খোদা, হে রহিম রহমান,
মোর জীবনের সবচেয়ে প্রিয় আমারি আপন প্রাণ,
তাই নিয়ে প্রভু পুত্রের প্রাণ, কর মোরে প্রতিদান’
ক. ‘পল্লী জননী’ কবিতার প্রথম চরণটি কী?
খ. পল্লী জননীর বাড়ি ও তার চারপাশের পরিবেশ কেমন?
গ. উদ্দীপকটিতে ‘পল্লী জননী’ কবিতার যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে, তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. প্রতিফলিত দিকটিই ‘পল্লী জননী’ কবিতার সামগ্রিক ভাবকে ধারণ করে কী? যুক্তিসহ প্রমাণ কর।
গ অংশ-উপন্যাস
৮. মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’ নাটকের মুর্দা ফকির লোকটা এমনিতেই ভালো লেখাপড়া জানে। ভালো আলেম। গ্রামের স্কুলে মাস্টারি করত। তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষে চোখের সামনে ছেলে-মেয়ে, মা-বউকে মরতে দেখেছে। কিন্তু কাউকে কবরে যেতে দেখেনি। মুর্দাগুলো পচেছে। শকুনে খুবলে দিয়েছে। রাতের বেলায় শিয়াল এসে টেনে নিয়ে গেছে। সেই থেকে পাগল। গোরস্তান থেকে কিছুতেই নড়তে চায় না। বলে, ‘মরে গেলে কেউ যদি কবর না দেয়। মরার সময় হলে কাছাকাছি থাকব, চট করে যাতে কবরে ঢুকে পড়তে পারি। ’
ক. আহাদ মুন্সিকে বুধা নিজের কোন নাম বলেছিল?
খ. মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন বুধাকে কোন কাজের দায়িত্ব দিয়েছিল?
গ. উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কোন ঘটনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের একমাত্র দিক নয়— যুক্তিসহ বুঝিয়ে লেখ।
৯. সাতই মার্চের ভাষণ শুনে গর্জে ওঠে কলেজপড়ুয়া শওকত। ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। তার নেতৃত্বে একের পর এক গেরিলা আক্রমণে অতিষ্ঠ পাকিস্তানি সেনারা। অপারেশন জ্যাকপটের সফল অভিযানের পর পাকিস্তানি সেনারা শওকতদের গ্রামে আক্রমণ করে। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। আর যাকে যেখানে পেয়েছে, সেখানেই নির্মমভাবে হত্যা করে। একসময় শওকত জানতে পারে তার স্বজন হারানোর খবর। কিন্তু সে আপসহীন। তার একটাই প্রতিজ্ঞা, এ দেশের মাটি থেকে ওদের তাড়াতেই হবে।
ক. আলীর মতে, কী খেলে বুধার মগজ ভরে?
খ. বুধার চাচি বুধাকে ‘কামাই’ করতে বলেছিল কেন?
গ. উদ্দীপকটির বর্ণিত কাহিনী ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের যে বিশেষ দিকটির ইঙ্গিত করে, তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের শওকতের মনোভাবই যেন ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের মূল বক্তব্য’। যুক্তিসহ প্রমাণ কর।
ঘ অংশ-নাটক
১০. স্তবক-১ : মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না?
স্তবক-২ : বলো কী তোমার ক্ষতি
জীবনের অথৈ নদী—
পার হয় তোমাকে ধরে—
দুর্বল মানুষ যদি?
ক. ‘বহিপীর’ নাটকের দ্বিতীয় অঙ্কের প্রথম সংলাপটি কার?
খ. ‘শাবাশ মেয়ে তুমি’— কথাটি কেন বলা হয়েছিল?
গ. জমিদারি হারাতে বসা হাতেম আলীর কাছে বহিপীরের প্রস্তাব স্তবক-১-এর ‘সহানুভূতি’ শব্দটির রূপক হতে পারে কি? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তাহেরার প্রতি হাশেমের মনোভাব স্তবক-২-এর আলোকে মূল্যায়ন করো।
১১. মা কেঁদে কয়, ‘মঞ্জুলী মোর ওই তো কচি মেয়ে
ওরই সঙ্গে বিয়ে দেবে, বয়সে ওর চেয়ে
পাঁচ গুণো সে বড়—
তাকে দেখে বাছা আমার ভয়েই জড়োসড়ো
এমন বিয়ে ঘটতে দেব নাকো। ’
বাবা বললে, ‘কান্না তোমার রাখো।
পঞ্চাননকে পাওয়া গেছে অনেক দিনের খোঁজে
জান না কী মস্ত কুলীন ও যে!
সমাজে তো উঠতে হবে,
সেটা কি কেউ ভাবে?
ওকে ছাড়লে পাত্র কোথায় পাব। ’
ক. ‘বহিপীর’ নাটকের প্রথম সংলাপটি কার?
খ. হাতেম আলীর মন বিষণ্ন কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘বহিপীর’ নাটকের কোন সামাজিক অসংগতি ফুটে উঠেছে, তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের মঞ্জুলীর বাবা কি তাহেরার বাবার সার্থক প্রতিনিধি? তোমার মতামত দাও।