অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. আলী কোজাই হজ করতে যেতে চাইলে সমস্যায় পড়লেন কেন? অথবা, আলী কোজাই কেন দুশ্চিন্তায় পড়লেন?
উত্তর : আলী কোজাই হজ পালন করতে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে তার সঞ্চিত মোহরগুলো নিরাপদ জায়গায় রাখা নিয়ে সমস্যায়/দুশ্চিন্তায় পড়লেন।আলী কোজাই নামে একজন বণিক বাগদাদে বাস করত। সারা বছর পরিশ্রম করে তিনি অনেক মোহর সঞ্চয় করেছিল। তার কয়েকজন প্রতিবেশী হজ করতে যাবে শুনে তারও মক্কায় যাওয়ার ইচ্ছা হলো। কিন্তু তার সমস্যা হলো সঞ্চিত মোহরগুলো নিয়ে। সঞ্চিত মোহরগুলো নিরাপদে কোথায় বা কার কাছে রেখে যাবে তা নিয়ে আলী কোজাই দুশ্চিন্তায় পড়লেন।
২. আলী কোজাই কেন কলসি কিনল?
উত্তর: আলী কোজাই তার সঞ্চিত অর্থগুলো নিরাপদে রাখার জন্য একটি বড় কলসি কিনল।
আলী কোজাই নামে একজন বণিক বাগদাদে বাস করত। সারা বছর পরিশ্রম করে তিনি অনেক মোহর সঞ্চয় করেছিল। তার কয়েকজন প্রতিবেশী হজ করতে যাবে শুনে তারও মক্কায় যাওয়ার ইচ্ছা হলো। কিন্তু সমস্যা হলো তার সঞ্চিত মোহরগুলো নিয়ে। প্রতিবেশীদের কথা শুনে আলী সিদ্ধান্ত নিল বন্ধু নাজিমের কাছে মোহরগুলো আমানত রাখবে। এই জন্য সে একটি কলসি কিনল এবং তার মধ্যে মোহরগুলো রেখে জলপাই দিয়ে পূর্ণ করে নাজিমের কাছে রেখে আসল।
৩. আলী কোজাই মোহরের উপর জলপাই রাখল কেন?
উত্তর: নাজিম যেন বুঝতে না পারে কলসের মধ্যে দামি মোহর আছে, এজন্য আলী কোজাই মোহরের উপর জলপাই রাখল।
আলী কোজাই মক্কায় যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে সমস্যায় পড়ে তার মোহরগুলো নিরাপদে রাখা নিয়ে। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিল যে, বিশ্বস্ত বন্ধু নাজিমের কাছে তার মূল্যবান মোহরগুলো আমানত রাখবে। কিন্তু নাজিম যেন বুঝতে না পারে যে, কলসের মধ্যে দামি মোহর আছে। অর্থাৎ নাজিমের কাছে মোহরের কথা গোপন রাখতেই আলী কোজাই মোহরের উপর জলপাই ভরে রাখল।
৪. আলী কোজাই কলসিটি বন্ধু নাজিমের কাছে রাখল কেন?
উত্তর: আলী কোজাই তার মোহরগুলো নিরাপদে রেখে হজ করতে যাওয়ার জন্য মোহরগুলো কলসিতে ভরে বন্ধু নাজিমের কাছে আমানত রাখল।
বাগদাদ শহরে আলী কোজাই নামে একজন বণিক বাস করত। তার কয়েকজন প্রতিবেশী হজ করতে যাবে শুনে তারও মক্কায় যাওয়ার ইচ্ছা হলো। কিন্তু তার সমস্যা হলো সঞ্চিত মোহরগুলো নিয়ে। তাই তিনি একটি কলসি কিনে তার মধ্যে মোহর ভরে মোহরের উপর জলপাই রেখে কলসিটি বন্ধু নাজিমের কাছে রেখে আসল। মূলত মোহরগুলো নিরাপদে রেখে হজ করতে যাওয়ার জন্যই তিনি কলসিটি বন্ধু নাজিমের কাছে রাখল।
৫. আলী কেন কাজির দরবারে নালিশ জানাল?
উত্তর: নাজিমের কাছ থেকে মোহরগুলো ফেরত না পেয়ে আলী কাজির দরবারে নালিশ জানাল।
আলী কোজাই হজ করতে মক্কায় যাওয়ার আগে তার সঞ্চিত অর্থগুলো বন্ধু নাজিমের কাছে রেখে যায়। দু’বছর পর আলী ফিরে এসে বন্ধু নাজিমের কাছ থেকে কলসিটি নিয়ে আসে। বাড়ি ফিরে কলসিটির মধ্যে কোন মোহর না পেয়ে আলী আবার নাজিমের বাড়ি যায়। আলী নাজিমের কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বললে, নাজিম মোহরের কথা অস্বীকার করে। আলী বহু অনুনয়-বিনয় করা সত্ত্বেও নাজিম মোহরগুলো ফেরত দিতে রাজি হলো না। মোহর ফেরত না পেয়ে আলী বাধ্য হয়ে কাজির দরবারে নালিশ জানাল।
৬. আলীকে হতাশ হয়ে ফিরতে হলো কেন?
উত্তর: প্রমাণের অভাবে নাজিমের কাছ থেকে মোহর ফেরত না পেয়ে আলী হতাশ হয়ে ফিরে আসল।
আলী কোজাই প্রতিবেশীদের সাথে মক্কায় যাওয়ার সময় তার সঞ্চিত মোহরগুলো কলসিতে ভরে বন্ধু নাজিমের কাছে গচ্ছিত রাখে। হজ করে ফিরে এসে কলসিটি ফেরত চাইলে নাজিম জলপাই ভর্তি কলসি ফেরত দেয় আর মোহরগুলো রেখে দেয়। পরে আলী নাজিমের কাছে মোহরের কথা বললে নাজিম তা অস্বীকার করে। অগত্যা আলী কাজির কাছে নালিশ জানায়। তখন কাজি আলীকে প্রমাণ নিয়ে আসতে বলে। আলী প্রমাণ জোগাড় করতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে আসে।
৭. বালকেরা কেন একজন জলপাই ব্যবসায়ীকে ডেকে এনেছিল?
উত্তর: নাজিম কলসিতে নতুন করে জলপাই রেখেছে তা প্রমাণ করার জন্যই বালকেরা একজন জলপায়ী ব্যবসায়ীকে ডেকে এনেছিল।
আলী তার সঞ্চিত মোহরগুলো কলসিতে ভরে উপরে জলপাই রেখে বন্ধু নাজিমের কাছে আমানত রেখে হজে যায়। হজ থেকে ফিরে এসে কলসিটি ফেরত চাইলে নাজিম মোহর রেখে নতুন জলপাইসহ কলসিটি ফেরত দেয়। পরে আলী মোহরগুলো ফেরত চাইলে নাজিম তা অস্বীকার করে। এ ঘটনা সব এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে একদল বালকেরা খেলার ছলে আলী নাজিমের বিচারকার্য পরিচালনা করে। খেলার ছলেই বালকেরা প্রমাণ করল যে, নাজিম কলসিতে নতুন জলপাই রেখেছিল।
৮. নাজিম কীভাবে মোহরের দেখা পেল?
উত্তর : নাজিমের স্ত্রী জলপাই খেতে চাইলে কলসির জলপাই নিতে গিয়ে নাজিম মোহরের সন্ধান পেল।
নাজিমের স্ত্রীর জলপাই খেতে ইচ্ছা করলে নাজিম আলীর রেখে যাওয়া কলসি থেকে কিছু জলপাই আনতে যায়। কিন্তু কলসির মুখ খুলে দেখে যে, উপরের সব জলপাই পচে গেছে। নিচের দিকে জলপাই ভালো থাকতে পারে এই ভেবে নাজিম কলসিটি উপুড় করে ঢেলে দিলে কলসি থেকে মোহর বেরিয়ে আসে। এভাবেই নাজিম মোহরের দেখা পেল।
৯. আলী কীভাবে তার মোহর ফেরত পেল?
উত্তর: বালকদের বিচক্ষণতায় আলী তার মোহর ফেরত পেল।
আলী ও নাজিমের ঘটনার সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল। একদিন খলিফা ভ্রমণে বের হয়ে দেখলেন, কতকগুলো বালক আলী ও নাজিমের বিচার খেলা খেলছে। আর এই বিচার খেলাই নাজিম দোষী বলে প্রমাণিত হলো। এই বিচারকার্য দেখে খলিফা মুগ্ধ হলেন। ফলে তার দরবারে বালকদের আমন্ত্রণ জানালেন এবং পুনরায় বিচারকার্য দেখাতে বললেন। আলী ও নাজিম সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এটি দেখে নাজিম তার দোষ স্বীকার করে এবং আলীকে তার মোহর ফেরত দিয়ে দেয়।
১০. খলিফা বালকটিকে কাজির পদ প্রদান করে পুরস্কৃত করলেন কেন?
উত্তর: বিচারকার্য পরিচালনার দক্ষতা ও বিচক্ষণতা দেখে খলিফা বালকটিকে কাজির পদ প্রদান করে পুরস্কৃত করলেন।
একদিন খলিফা ভ্রমণে বের হয়ে দেখলেন, কতকগুলো বালক আলী ও নাজিমের বিচার খেলা খেলছে। আর এই বিচার খেলাই নাজিম
দোষী বলে প্রমাণিত হলো। খলিফা মনোযোগের সাথে তাদের বিচারকার্য দেখলেন এবং মুগ্ধ হলেন। খলিফার নির্দেশে তারা পরদিন দরবারে গিয়ে আবার আলী ও নাজিমের বিচারকার্য পরিচালনা করল এবং নাজিম দোষ স্বীকার করল। ফলে খলিফা খুশি হয়ে বালকটিকে কাজির পদ প্রদান করে পুরস্কৃত করলেন।
১১. আলী কোজাই কেন মক্কায় গিয়েছিল?
উত্তর: হজ পালনের জন্য আলী কোজাই মক্কায় গিয়েছিল।
খলিফা হারুন-অর-রশীদের শাসনকালে বাগদাদে আলী কোজাই নামে একজন বণিক বাস করত। সারা জীবন পরিশ্রম করে তিনি অনেক টাকা সঞ্চয় করেছিল। তার কয়েকজন প্রতিবেশী হজ করতে যাবে শুনে তারও মক্কায় যাওয়ার ইচ্ছা হলো। অর্থাৎ হজ পালনের উদ্দেশ্যেই আলী কোজাই মক্কায় গিয়েছিল।