শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

নবম দশম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্র

মেহেরুন্নেসা খাতুন

[পূর্ব প্রকাশের পর]

 

৭.‘শিল্পী, কবি, দেশি কি বিদেশি সাংবাদিক

খদ্দের শ্রমিক, ছাত্র, বুদ্ধিজীবী, সমাজ সেবিকা

সবাই এলেন ছুটে, পল্টনের মাঠ শুনবেন

দুর্গত এলাকা প্রত্যাগত বৃদ্ধ মৌলানা ভাসানী

কী বলেন। রৌদ্রালোকে দাঁড়ালেন তিনি দৃঢ়, ঋজু,

শোনালেন কিছু কথা, যেন নেতা নন,

অলৌকিক স্টাফ রিপোর্টার।’

ক. ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতাটি কোথা থেকে সংকলিত?

খ. ‘মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ. উদ্ধৃত কবিতাংশে ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’—কবিতার যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তার বর্ণনা দাও।

ঘ. উদ্দীপকের মৌলানা ভাসানী এবং নির্মলেন্দু গুণের ‘কবি’ এক সূত্রে গাঁথা—বিশ্লেষণ কর।

গ অংশ উপন্যাস

৮. গ্রামের পর গ্রাম কাল-কলেরায় উজাড়। নিরীহ তালেব মাস্টারের বুকেও বাজ  পড়ল! কলেরায় ছেলেটি মারা গেল বিনাপথ্যে, বিনা শুশ্রূষায়। কাফনের কাপড় জোটেনি, তাই বিনা কাফনে বাইশ বছরের বুকের মানিককে কবরে শুইয়ে দিয়েছি এখানে!

(ক) আহাদ মুন্সীর সঙ্গে কয়জন রাজাকার ছিল?

(খ) ‘বানরের আবার চাঁদে যাওয়ার সাধ’—মধুরে কথা বলার কারণ কী?

(গ) উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের সঙ্গে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর।

(ঘ) “উদ্দীপকে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের মূলভাব উপস্থাপিত হয়নি”—মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর।

৯. তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা,

সাকিনা বিবির কপাল ভাঙল।

সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল হরিদাসীর

তুমি আসবে বলে শহরের বুকে

জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক এলো

 দানবের মতো চিৎকার করতে করতে

ছাত্রাবাস, বস্তি উজাড় হলো

ছাই হলো গ্রামের পর গ্রাম

(ক) বুধার মা-বাবার কবর কে পরিষ্কার করে?

(খ) ‘আল্লাহ মাফ করুক। এখানে থাকার ভাগ্য যেন আমাদের না হয়।’ কথাটি ফজু মিয়া কেন বলেছিল।

(গ) উদ্দীপকে ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের যে বিশেষ দিকের ইঙ্গিত রয়েছে, তা ব্যাখ্যা কর।

(খ) সাকিনা, হরিদাসী আর বুধার জন্যই আজকের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ—মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

ঘ অংশ নাটক

১০। ছেলেবেলায় বাপ-মা হরিয়ে মামার বাড়িতে মানুষ হয় সুমি। টাকার লোভে তার মামা শরিফ মিয়া সুমিকে সতিনের ঘরে বিত্তবান হারুণের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে। এর প্রতিবাদ করে স্ত্রী খালেদা বলে, ‘সুমিকে আমাদের ছেলে মাসুমের বউ কইরা নিমু, তবু সতিনের ঘরে বিয়া দিমু না।’ কিন্তু শরিফ মিয়া বলে, ‘মাসুমকে অন্য জায়গায় বিয়া করাইলে বহুত টাকা পাওয়া যাইত, সেই বুদ্ধিটাও নাই তোমার।’ ‘হইছে, হইছে, আমার অত বুদ্ধিরও দরকার নাই, টাকারও দরকার নাই, কয়দিনের জীবন মানুষের, অ্যাঁ?’

 (ক) কত বছর যাবৎ হকিকুল্লাহ বহিপীরের খেদমত করছে?

 (খ) জমিদার হাতেম আলীর মনে শান্তি নেই কেন?

 (গ) ‘বহিপীর’ নাটকের হাতেম আলীর চরিত্রের সঙ্গে উদ্দীপকের শরিফ মিয়ার চরিত্রের পার্থক্য নিরূপণ কর।

 (ঘ) “উদ্দীপকের খালেদা চরিত্রটি ‘বহিপীর’ নাটকের ‘খেদেজা’ চরিত্রকে ছাড়িয়ে গেছে”—মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

১১. সাবিকুন নাহার পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে পড়াশোনায় বরাবরই ভালো ছিল। ওর ইচ্ছা অনেক দূর পর্যন্ত পড়ালেখা করবে। সাবিকুনের বাবা মেয়ের পেছনে টাকা খরচ করতে রাজি নন। তাই মেয়েকে এক ধনী বুড়োর সঙ্গে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেন। জীবনপিপাসু সাবিকুন এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি বলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

(ক) ‘বহিপীর’ নাটকটি কত সালে প্রকাশিত হয়?

(খ) ‘হয় এটি ধ্বংস, না হয় ওটি ধ্বংস হবে’—উক্তিটির কী বোঝানো হয়েছে?

(গ) ‘বহিপীর’ নাটকের যে চরিত্রের সঙ্গে সাবিকুন নাহারের মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তা ব্যাখ্যা কর।

(ঘ) ‘সাবিকুন নাহার জীবনপিপাসু এক প্রতিবাদী নারী’—বহিপীর নাটকের আলোকে উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

সর্বশেষ খবর