[পূর্বে প্রকাশের পর]
৪. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ :
ক. দাঁড়কাকের অহংকার হলো কেন? সে আত্মীয়-স্বজনদের ডেকে কী বলল? চারটি বাক্যে লেখ। ১+৪=৫খ. নিজের জাতভাইদের হেনস্তা করার পরিণামে দাঁড়কাক কী শাস্তি পেল? পাঁচটি বাক্যে লেখ। ৫
গ. তুমি কেন অহংকার করবে না পাঁচটি বাক্যে লেখ। ৫
উত্তরমালা: ১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. জলপানি;
খ. খামাখা অযথা;
গ. মাছ মৎস্য
ঘ. বর-মেয়ের জামাই;
ঙ. অন্যায় অপরাধ
চ. বিবেচনা ভেবেচিন্তে;
ছ) মশাই জনাব
২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. পথিক ঝুড়িওয়ালার কাছে মশাই, একটু জলপাই কোথায় বলতে পারেন? বলে খাবার জলের কথা জানতে চাইল।
উত্তরে ঝুড়িওয়ালা বলল এতো জলপাইয়ের সময় নয়। কাঁচা আম চান তো দিতে পারি।
খ. ঝুড়িওয়ালা পথিককে জল না দেওয়ার পক্ষে যেসব যুক্তি দেখাল তা হলো
i. পথিক সরাসরি ‘জল’ না চেয়ে ‘জলপাই কোথায়’ বলেছে।
ii. জল আর জলপাই কখনো এক নয়।
iii. আলু আর আলুবোখারা যেমন সমান নয়, তেমনি মাছ আর মাছরাঙাও আলাদা।
iv. বরকে কেউ যেমন বরকন্দাজ বলে না, তেমনি চাল কিনতে গিয়ে কেউ চালতার খোঁজ করে না।
গ. আমি কোনো অসহায় পথিককে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে পারি যেমন
i. তিনি যদি কোনো ঠিকানা জানতে চান, আমার চেনা-জানা থাকলে তার পথ নির্দেশ করব।
ii. ব্যস্ত রাস্তা পারাপারে তাকে সাহায্য করব।
iii. তিনি যদি ক্লান্ত তৃষ্ণার্ত পথিক হন, তাহলে তাকে আমি পানি পান করাব।
iv. দরিদ্র, অসহায় পথিকের আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন হলে, আমার মা-বাবাকে সে কথা জানিয়ে সাহায্য করতে চেষ্টা করব।
৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. অহংকার খ. বুদ্ধিমান
গ. অবজ্ঞা ঘ.কদাকার
ঙ) অতিথি চ) জুড়ি
ছ) গবেট
৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. i. জাতভাইদের মধ্যে রূপে-গুণে দাঁড়কাকের জুড়ি নেই। এই ভেবে তার খুব অহংকার হলো।
ii. দাঁড়কাক অহংকারে ডগমগ হয়ে তার আত্মীয়-স্বজনদের ডেকে বলল, তোমাদের সঙ্গে আর মেলামেশা করা যায় না।
iii . যা চাল-চলন সবার, দিনভর শুধু কোলাহল।
iv. এক টুকরো খাবারের জন্য সবাই মিলে কাড়াকাড়ি করছ।
v. না, না, আমি তোমাদের সঙ্গে নেই।
খ.i. নিজের জাতভাইদের হেনস্তা করার পরিণামে দাঁড়কাক দল ছাড়া বন্ধুহীন হয়ে ঘুরতে লাগল।
ii. দাঁড়কাক তার জাতভাইদের ছেড়ে পাতিকাকদের কাছে উড়ে গেল।
iii. দাঁড়কাক পাতিকাকদের ডেকে বলল, তোমাদের দেখেশুনে আমার নিজের মতোই মনে হচ্ছে, তাই তোমাদের সঙ্গে থাকতে এলাম।
iv. দাঁড়কাকেরা বলল, তোমার কর্কশ গলার শব্দ শুনে মনে হচ্ছে, স্বভাবও ভালো হবে না, এখুনি পালাও, নইলে সবাই মিলে ঠুকরে ছাল-ছামড়া তুলে নেব।
v) নিরুপায় হয়ে দাঁড়কাক নিজের জাতভাইদের মধ্যে ফিরে গেলেও সেখানে তার জায়গা হলো না।
গ. যেসব কারণে আমি অহংকার করব না তা হলো
i. অহংকার মানুষের স্বভাব থেকে সৎ গুণাবলি নষ্ট করে দেয়।
ii. নিজেকে অন্য সবার থেকে বড় মনে করায় সে প্রকৃতপক্ষে বন্ধুহীন হয়ে পড়ে।
iii. কেউ তাকে শ্রদ্ধা-সম্মান করে না।
iv. বিনয়, নম্রতা এসব গুণ ব্যক্তির স্বভাব থেকে দূরীভূত হয়ে তাতে দুর্বিনীত রুক্ষ ও কর্কশ করে তোলে।
v. অহংকারী ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে বড় হওয়ার স্বীকৃতি তো পায়ই না, বরং সবার কাছে ছোট হয়।