৩০ জুলাই, ২০১৮ ০০:৪১

খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বিএনপি নেতা-কর্মীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বিএনপি নেতা-কর্মীদের

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান মিনুকে সঙ্গে নিয়ে রাজশাহীর রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে অভিযোগ জানাতে এসে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেছেন, ‘আমার ২৩-২৪ জন পোলিং এজেন্টকে খুঁজে পাচ্ছি না। অন্যদেরও নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আমাদের জেলা বিএনপির সাবেক নেতা দেলওয়ারকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে পুলিশ।’ 

সোমবার রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে রবিবার দুপুরে তিনি রিটার্নিং অফিসারের কাছে চার দফা অভিযোগ করেন। শেষে বলেন, ‘কাফনের কাপড় পরে ভোট কেন্দ্রে যাব। আমরা সব নির্যাতন-জুলুম সহ্য করে এখন পর্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে নির্বাচনে আছি। কিন্তু সব কিছুর সীমা থাকা উচিত। প্রশাসন-পুলিশ যেভাবে আওয়ামী লীগের মতো কাজ করছে, তাতে নির্বাচন পরিস্থিতি সুষ্ঠু নয়। পুলিশ আমাদের নির্যাতন করছে।’

পোলিং এজেন্টদের জন্য বুলবুলের ১৭ দফা-

বিএনপির মেয়র প্রার্থীর এজেন্টদের সোমবার সকাল ৭টার মধ্যে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘আপনার দায়িত্ব ও শপথ’ শিরোনামের ওই নির্দেশনায় পোলিং এজেন্টদের ‘ইমান ও আখলাক’ এবং ‘দলের আদর্শের প্রতি’ শতভাগ অনুগত থাকতে বলা হয়েছে। রবিবার সকালে এই লিখিত নির্দেশনা চূড়ান্ত করা হয়। বুলবুলের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, রবিবার প্রতিটি ওয়ার্ডে পোলিং এজেন্টদের হাতে হাতে এই নির্দেশনা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি-

ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার সকালে প্রিসাইডিং অফিসারের হাতে ভোটগ্রহণের সরঞ্জাম তুলে দেন জেলা প্রশাসক এস এম আবদুল কাদের ও রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ আমিরুল ইসলাম। রাজশাহীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল মিলনায়তনে স্থাপিত রিটার্নিং অফিসারের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়। 

রাসিক নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার আতিয়ার রহমান জানান, রাজশাহীতে এবার মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৮টি এবং বুথের সংখ্যা রয়েছে এক হাজার ২৬টি। ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে প্রিসাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া প্রতিটি বুথে একজন করে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং দুজন করে পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। এবার নগরীর দুটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। এই সিটি করপোরেশনের ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। মোট ভোটারের মধ্যে এক লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন নারী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন। এবার মেয়র প্রার্থী পাঁচজন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১৬০ ও নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৫২ জন। 

সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট আশরাফুল আলম জানান, ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ-র‌্যাবের পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রে ১৪ জন করে আনসার সদস্য থাকবেন। সহকারী রিটার্নিং অফিসার আতিয়ার রহমান বলেন, সাধারণ একটি ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য সাতজন পুলিশ সদস্য ও ১৪ আনসার সদস্য থাকবেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোর প্রতিটিতে ১৬ জন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। 

এছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। আর সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডের জন্য ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য পুলিশের একটি করে মোবাইল টিম কাজ করবে। আর পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত দুটি করে ওয়ার্ডের জন্য একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।

 

বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর