সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

তারকাদের পূজা উৎসব

তারকাদের পূজা উৎসব

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে আজ থেকে। ঢাকের তালে আনন্দে মেতে উঠেছে পূজামণ্ডপ। বাহারি রঙে সাজানো হয়েছে মণ্ডপগুলো। সুসজ্জিত প্রতিমাগুলো শোভা পাচ্ছে মন্দিরে মন্দিরে। পূজাকে ঘিরে নানা পরিকল্পনা আর ব্যস্ততা থাকে সবার। পিছিয়ে নেই রুপালি জগতের তারকারাও। লাইট-ক্যামেরা আর অ্যাকশনের ফাঁকে কেমন কাটবে তারকাদের পূজার আনন্দ। সে কথাই বলেছেন কয়েকজন তারকা। তাদের কথা তুলে ধরেছেন-আলাউদ্দীন মাজিদ

অপু বিশ্বাস

সুযোগ পেলেই পূজা উদযাপনে দার্জিলিং চলে যাই। পূজায় সেখানে যেতে খুব ভালো লাগে। এবার মামার সঙ্গে পরিবারের সবাইকে নিয়ে যাচ্ছি। সেখানে বেশির ভাগ নেপালি। তাদের ভাষা অত বুঝি না। আমি আর দিদি মিলে সেখানকার মণ্ডপে গিয়ে স্থানীয় মেয়েদের সঙ্গে গল্প করি। বলতে পারেন হিন্দি আর ইংরেজি মিশিয়ে কথা বলা হয় তাদের সঙ্গে। বেশ কিছু কেনাকাটা এরই মধ্যে করে ফেলেছি। বাকিটা সেখানে গিয়ে করব। কিন্তু কী কিনেছি তা বলব না। ছোটবেলা থেকেই ঈদের শপিং-এর কথা কাউকে বলি না। একসঙ্গে তিন-চারটে জামা তো কিনতামই, তবে কেউ যদি সেই জামা পূজার আগে দেখে ফেলত তা হলে তা আর পরতাম না। নতুন জামা কিনতাম। এখনো এই অভ্যাস রয়ে গেছে।

চঞ্চল চৌধুরী

প্রতিবারের মতো এবারও পূজায় পাবনায় প্রামের বাড়ি যাব।  গ্রামে বাবা-মা আছেন, তাই পরিবারের সবাই মিলে পূজার আনন্দ ভাগাভাগি করতে নবমীর দিন বাড়ি যাচ্ছি। দশমীটা পার করে ফিরব ঢাকায়। শুটিংয়ের ব্যস্ততায় কেনাকাটা করা আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। এ কাজটা বরাবরই আমার অর্ধাঙ্গিনী করে থাকেন। নানা ব্যস্ততায় সময় পার হচ্ছে, ঢাকের তালে তালে আগের মতো এখন আর প্রতিমা বিসর্জন দিতে নৌকায় ওঠা হয় না। তারপরেও পূজার আনন্দে এতটুকু ছেদ পড়েনি।

কুমার বিশ্বজিৎ

পূজা উদযাপন করি ঢাকাতেই। ব্যস্ততার কারণে গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম খুব একটা যাওয়া হয় না। শপিংয়ের কাজটা সারেন আমার স্ত্রী। ঢাকের শব্দ এখনো খুব প্রিয়। এ শব্দটি ছোটবেলা থেকেই আমার রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে, তাই ঢাকের শব্দ শুনলেই মন আনচান করে ওঠে। ছোটবেলায় পূজার সময়টা কাটত ঢোলবাদকদের সঙ্গে। নাওয়া-খাওয়া ভুলে পড়ে থাকতাম মণ্ডপে। বাড়ির পাশের মন্দিরে যিনি ঢোল বাজাতেন সারাদিন তার সঙ্গেই থাকতাম এবং তার দেওয়া খাবার খেতাম, বাসায় যেতাম না। এ নিয়ে অনেক মারও খেয়েছি। এখন কাজের ব্যস্ততায় অষ্টমীর দিন যেতে না পারলে নবমীতে অবশ্যই পরিবার নিয়ে মণ্ডপে যাই। সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব আনন্দ করে কাটাতে চাই।

জ্যোতিকা জ্যোতি

পূজায় থাকব গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। পূজায় আলতা পরি। লাল-সাদা শাড়ি পরা আর সিঁদুর দেওয়া খুব প্রিয়। এরই মধ্যে পূজার শাড়ি কিনে এর ছবি ফেসবুকে দিয়ে দিয়েছি। কোন দিন কখন কী পরব তাও ঠিক করে ফেলেছি। পূজা পরিবারের সঙ্গেই পালন করতে বেশি খুশি লাগে। এবারও পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করব। পাশাপাশি বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মণ্ডপে ঘুরে বেড়াব। মনে হচ্ছে, এবারের পূজায় আমার আনন্দটা একটু বেশিই হবে। কেন তার কারণ জানি না। শুধু জানি মন বলছে।

মৌটুসী বিশ্বাস

মিডিয়ায় আসার আগে গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামেই পূজা করতাম। এখন ঢাকাতেই করি। কারণ শুটিংয়ের জন্য বাড়ি যাওয়ার সময় বের করতে পারি না। কেনাকাটা অবশ্য এরই মধ্যে সেরে ফেলেছি। কী কিনেছি সেটা আগেভাগে বলে মজা নষ্ট করতে চাই না। এ অভ্যাস আমার ছোটবেলা থেকে। আগেভাগে কাউকে কিছু দেখিয়ে সারপ্রাইজ মাটি করতে চাই না। পূজার প্রতিটা দিন কাজের ফাঁকে ফাঁকে স্বামী-সন্তান আর বাবা-মাকে নিয়ে বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরে বেড়াব। প্রতিবারই এমনভাবে আনন্দঘন সময়টা পার করি। পূজার পর চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে অনেক আত্মীয়স্বজন আছেন। তবে কখন, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।

বিদ্যা সিনহা মিম

আগে পূজা এলেই গ্রামের বাড়ি রাজশাহী চলে যেতাম। বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে বেড়াতাম। এখন শুটিংয়ের কারণে তা আর সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই প্রায় সময় মন খারাপ থাকে।

এবার ঢাকাতেই পূজার সময়টা আনন্দ করে কাটাব। এরই মধ্যে শপিংটা সেরে ফেলেছি। শাড়ি খুব প্রিয়। সঙ্গে প্রিয় অনেক জিনিস তো কেনা হয়েছেই। সাদা রং খুব প্রিয়। তাই বুঝতেই পারছেন সাদা রঙের কিছু না কিছু তো কেনা হয়েছেই। প্রতিদিন বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরে বেড়াব। আর মজার মজার খাবার রাঁধব।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর