শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

নতুন বছরে নতুন চলচ্চিত্রের কাজে হাত দেব

মাহবুবা ইসলাম সুমি

আলী আফতাব

নতুন বছরে নতুন চলচ্চিত্রের কাজে হাত দেব

সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথের গল্প অবলম্বনে নতুন একটি চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করেছেন অভিনেত্রী ও পরিচালক মাহবুবা ইসলাম সুমি। পাশাপাশি চলছে নতুন চলচ্চিত্রের কাজ। অভিনয়, পরিচালনা ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে আজ তার ইন্টারভিউ

 

আপনার পরিচালনায় প্রথম চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করেছেন, কেমন লাগছে?

আমি এর আগে প্রায় ১০টি রবীন্দ্রনাথের নাটক নির্মাণ করেছি। আমার অনেক আগে থেকেই ইচ্ছা ছিল রবীন্দ্রনাথের একটি গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করব। ইমপ্রেস টেলিফিল্মকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার স্বপ্নটা পূরণ করার জন্য। অনেক ভালোভাবেই কাজটি শেষ করেছি। এই ছবিটি পরিচালনার পাশাপাশি আমি নিজেও অভিনয় করেছি। এতে আরও অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনেতা ভাস্কর। এ ছাড়া অমৃতা নামের আরও একজন অভিনেত্রীও অভিনয় করেছেন এখানে। আগামী বছরের মে মাসে ছবিটি মুক্তি পাবে।

শুনেছি এই ছবির বেশির ভাগ কাজ হয়েছে কলকাতায়।

হ্যাঁ, গল্পের প্রয়োজনেই আমাকে কলকাতায় শুটিং করতে হয়েছে। ভবানীপুর, বলপুর ও একটি স্টুডিওতে কাজ হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায়ও এই ছবির কিছু অংশের কাজ হয়েছে।

 

যেহেতু এটি আপনার প্রথম ছবি পরিচালনা, প্রত্যাশার জায়গাটি নিয়ে কিছু বলুন।

রবীন্দ্রনাথের গল্পের ধারা কিন্তু অন্য ধাঁচের। সব ধরনের দর্শক যে ছবিটি পছন্দ করবে তা কিন্তু নয়। আমি চেষ্টা করেছি অল্প সময়ে, স্বল্প বাজেটে ভালো একটি ছবি বানাতে। সব ধরনের দর্শকের কথা মাথায় রেখেই ছবিটি নির্মাণ করেছি। 

 

নতুন কোনো চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করছেন?

ইচ্ছা আছে নতুন বছরে নতুন একটি ছবির কাজে হাত দেব। আর প্রযোজনা করছে ‘গোল্ডেন গ্রিন’। যার মালিক আমার বড় বোন। এই ছবিতে অভিনেতা হিসেবে কাজ করার কথা আছে শাকিব খানের।

 

নাটক নির্মাণের কী খবর?

ছবির কাজের জন্য এই বছর তেমন বেশি কিছু কাজ করতে পারিনি। এরই মধ্যে কলকাতায় একটি নাটকের কাজ শেষ করেছি। ‘ফেসবুক ভালোবাসা’ শিরোনামের নাটকটি রচনা করেছেন আলী আফতাব। নাটকটি পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছি। একটি সত্য গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে নাটকটি। এ ছাড়া আমার রচনা ও পরিচালনায় ভালোবাসা দিবসের জন্য একটি নাটক নির্মাণ করব। 

 

শুনলাম আজ আপনার জš§দিন। এবার কীভাবে কাটাচ্ছেন দিনটিকে?

ইচ্ছা ছিল এবারের জš§দিনটি ভাইবোনদের সঙ্গে আমেরিকায় পালন করার। নানা ব্যস্ততার কারণে আর যাওয়া হয়নি। এখন বাসায় সাধারণভাবেই পালন করব দিনটি।

 

আবার দেশের বাইরে যাচ্ছেন কবে? 

ছোটবেলা থেকেই সবাই চেয়েছে আমি আমেরিকায় স্থায়ী হই। কিন্তু দেশের মায়ার টানে তা আর হয়নি। এবার আমার ইমিগ্রেশন হয়ে গেছে। এক-দুই মাসের মধ্যে আমাকে আমেরিকায় চলে যেতে হবে। তবে বছরে দু-একবার আমি আসব।

সর্বশেষ খবর