অভিনেত্রী তিন্নি বেখেয়ালি, অস্থির, অগোছাল- অনেক অভিযোগ ছিল। কিন্তু তিন্নিকে কেউ ভালোবাসত না- এমন মানুষ নেই। অল্প দিনেই তিনি অভিনয় দিয়ে জয় করেছেন দর্শকদের, আর আন্তরিকতা দিয়ে জয় করেছেন সহকর্মীদের। তাই তিন্নি ছিল শোবিজ অঙ্গনের প্রিয় মুখ। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করলেন অভিনেতা আদনান ফারুখ হিল্লোলকে। সবাই খুশি। জুটিকে মানিয়েছে বেশ- বলে সবাই আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন। এরপর দুজনের সংসারে এলো কন্যা ওয়ারিসা। সবাই আবারও খুশি। কিন্তু এরপর শুধু লণ্ডভণ্ডের গল্প। দুজনের সম্পর্ক ভাঙল। তিন্নি মাদকাসক্ত হয়ে এলোমেলো হয়ে গেল। মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে পর্যন্ত যেতে হলো। আর দুদিন পরপরই তিন্নি-হিল্লোলের যুদ্ধের খবর। যুদ্ধটা ওয়ারিসাকে নিয়ে। 

সবই একসময় শান্ত হলো। হিল্লোল আবার বিয়ে করলেন। নওশীনের সঙ্গে তিনি এখন সংসার করছেন। আর তিনি আড়ালে চলে গেলেন। একেবারেই আড়ালে। তবে ফেসবুকের কল্যাণে মাঝে-মধ্যে পর্দার ফাঁকা দিয়ে একটু উঁকি দিতেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার তিন্নি পুরোপুরি আড়াল ভাঙলেন। শুধু আড়ালই ভাঙেননি, খুশির খবর নিয়ে এসেছেন। নতুন জীবন শুরু করেছেন তিনি। বিয়ে করেছেন তিনি। বরের নাম আদনান হুদা সাদ। ফেসবুকে তিন্নি বিয়ের বিষয়টি নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে লিখেছেন, ‘আই গট ম্যারেড। অ্যান্ড হ্যাপিলি ম্যারেড টু মাই লাভ মিস্টার আদনান হুদা সাদ।’

তিন্নি বলেন, ‘বিয়েটা আমি ২০১৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি করেছি। একটু সময় নিয়েছি জানাতে।’

তিন্নি এখন সুখে আছেন। নিজের পছন্দের মানুষকেই সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন। ২০১৩ সালে বন্ধুমহল থেকেই সাদের সঙ্গে তিন্নির পরিচয়। এরপর তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সময় সেই সম্পর্ক ডালপালা মেলে। একসময় দুজনই ভাবেন, একসঙ্গে জীবন শুরু করা যায়। তাই করলেন তারা।

নতুন জীবন নিয়ে তিন্নি বলেন, ‘আমি আমার মতো হ্যাপি আছি। হ্যাপি থাকতে চাই। সাদ খুব আন্তরিক একজন মানুষ। যার সঙ্গে নিজের সবকিছু শেয়ার করা যায়। এমন কাউকেই তো আমি চেয়েছিলাম।’