রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

নতুন ৮ শিল্পকলা একাডেমি ভবন

মোস্তফা মতিহার

৫ জেলা ও ৩ বিভাগীয় শিল্পকলা একাডেমিসহ মোট ৮টি শিল্পকলা একাডেমি ভবন নির্মাণ করছে সরকার। এর মধ্যে তিনটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমিও রয়েছে।

‘বিভাগীয় ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় উনিশ হাজার তিনশত ছাপ্পান্ন লাখ ঊননব্বই হাজার ছয়শ’ টাকা ব্যয়ে  একাডেমি ভবনগুলো নির্মাণ করবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের তিনটি বিভাগে ভবন নির্মাণের পর পর্যায়ক্রমে দেশের সবগুলো বিভাগে শিল্পকলা একাডেমি ভবন স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া নির্মিতব্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবনগুলো হলো- জামালপুর, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও পাবনা শিল্পকলা একাডেমি।

জিওবি অর্থায়নে ৫০০ (পাঁচশত) আসন বিশিষ্ট অডিটোরিয়ামসহ ৫ (পাঁচ)তলা ভবনগুলো নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। বর্তমান প্রকল্পের আওতায় তিনতলা পর্যন্ত সমাপ্ত হবে। জুন ২০১৭ মেয়াদে প্রকল্পটির চলমান কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এ ছাড়াও জুলাই ২০১৩ থেকে জুলাই ২০১৬ মেয়াদে ২৩৭৩.৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে হালুয়াঘাট, নওগাঁ ও দিনাজপুরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচারাল একাডেমি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৩টি ইউনিটে ৩০০ আসন বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম/মাল্টিপারপাস হল ও ৩তলা বিশিষ্ট প্রশিক্ষণ ভবন নির্মাণ করা হবে।

এ ব্যাপারে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘আমরা জেলা থেকে উপজেলা পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমীর কাজকে সম্প্রসারিত করেছি। ১৮ টি জেলায় এখনও শিল্পকলা একাডেমী ভবন নেই। ৮ টি জেলায় এখন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আরো ৮টি জেলায় শিল্পকলা একাডেমী ভবন নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় কাজ করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে চীন সরকার থেকে একটি প্রস্তাবনা আছে। সেটি বিবেচনাধীন আছে। বাকি থাকে রাঙামাটি, বন্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলা। এই তিনটি জেলার শিল্পকলা একাডেমী নির্মাণের জন্য একসাথে জমি আমরা এখনও পাচ্ছি না। আমাদের একসঙ্গে ৫০শতাংশ থেকে ৬০শতাংশ জমি প্রয়োজন। কিন্তু আমরার পাচ্ছি কোথাও ১৮ শতাংশ কোথাও ২০ শতাংশ। আমরা যদি ৪০ শতাংশ জমিও একসঙ্গে পেতাম তাহলেও একটু ছোট আকারে হলেও একাডেমী ভবন নির্মাণ করতে পারতাম।’ পুরনো শিল্পকলা একাডেমী ভবনগুলোতে মেরামত করা এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে আধুনিকায়ন করা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৪ বছরের মধ্যে এ ধরনের উদ্যোগ সত্যি আগে নেয়া হয়নি। আমরা পুরনো শিল্পকলা একাডেমী ভবন গুলোতে মেরামত কাজ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আধুনিকায়নের কাজও চালিয়ে যাচ্ছি। সেখানে নিয়মিত সিনেমা প্রদর্শন করার জন্য আমরা প্রজেক্টর পাঠাচ্ছি, পাঠাগার স্থাপনের জন্য বইয়ের ব্যবস্থা করছি। শুধু তাই নয় জেলার পাশাপাশি ১২টি উপজেলায়ও মুক্তমঞ্চ এবং একটি করে কমপ্লেক্সে নির্মাণের কাজেও হাত দেয়া হয়েছে।’

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বাংলাদেশের সবকয়টি জেলায় যদি শিল্পকলা একাডেমী ভবন না থাকে তাহলে সেটা একরকম অন্যায় হবে। নতুন শিল্পকলা একাডেমী ভবনের কাজ বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। এতে করে সে এলাকাগুলোতে শিল্প সংস্কৃতি চর্চায় নতুন মাত্রা যোগ হবে।’

প্রসঙ্গত: সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর অধীনে বাস্তবায়নের জন্য নির্মাণ হচ্ছে গত ২১ মে ২০১৪ তারিখে একনেক সভায় এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।

সর্বশেষ খবর