শিরোনাম
রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ : কনকচাঁপা

বইয়ের নাম ‘মেঘের ডানায় চড়ে’

বইয়ের নাম ‘মেঘের ডানায় চড়ে’

কনকচাঁপা। বেশ জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তিনি। তাই বলে শুধু গান নিয়েই ব্যস্ত নেই তিনি। গানের পাশাপাশি চলছে বই ও ছবি আঁকার কাজও। গান ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে আজ তার ইন্টারভিউ-

নতুন কোনো গানের কাজ শুরু করেছেন?

আমার ছেলের [মাশুক ইসলাম খান] একটি প্রজেক্টে কাজ করলাম। এখানে থাকছে তিনটি গান। এর মধ্যে আছে একটি নজরুল সংগীত, একটি পুরনো হিন্দি ছবির গান [মোহে ভুল গ্যায়ি সাবেরিয়া] আর আমার ওস্তাদজির একটি গান। শ্রুতি স্টুডিওতে এগুলোর রেকর্ডিং হয়েছে। পাশাপাশি ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। মাশুক গানগুলো ইউটিউবে ছাড়বে। সেটা হতে পারে আমার চ্যানেল বা ওর চ্যানেলে। আমি ওর সঙ্গে থেকে হেল্প করছি। একটু একটু করে মাশুক এগিয়ে যাচ্ছে। মা হিসেবে গাইড করা আমার দায়িত্ব।

বইমেলায় কিছু প্রকাশ করছেন?

সিলেটের এক ছেলে [রাশেদীন ফয়সাল] আমাকে মা বলে ডাকত। কিছুদিন আগে সে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। ও ফেসবুক থেকে আমার কবিতা নিয়ে একটি পাণ্ডুলিপি সাজিয়েছিল। ওর ইচ্ছে ছিল নিজের প্রকাশনী [নাগরী প্রকাশনী] থেকে বইটি বের করবে। এটি সে চমক হিসেবে রেখেছিল। কিন্তু ও এভাবে হারিয়ে যাবে- এমন চমকের জন্য আমি তৈরি ছিলাম না। এখন ভাবছি, ওর তৈরি করা পাণ্ডুলিপি দিয়েই বই করব। বইটির নামও সে-ই ঠিক করেছে, ‘মেঘের ডানায় চড়ে’। প্রচ্ছদও ওর। নাগরী প্রকাশনী থেকেই প্রকাশ করব বইটি। এ ছাড়া আরেকটি বই আসবে ওখান থেকে। বিভিন্ন পত্রিকায় আমি যে কলামগুলো লিখেছি, সেগুলোর সংকলন নিয়ে সাজানো হবে এটি।

শুনলাম শীতে আপনার আঁকা ছবি নিয়ে একটি প্রদর্শনী করবেন?

হ্যাঁ, সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে আর শখে নয়, পেশাদারী মনোভাব নিয়ে ছবি আঁকব। কারণ আমি আঁকতে জানি। ৪০-৪৫টি ছবি নির্বাচন করে রেখেছি। এই শীতে আমার আঁকা ছবির একটি প্রদর্শনী করব।

বর্তমানে নতুনরা কেমন করছে?

সত্যি বলতে, তরুণ প্রজন্মের প্রতি আমার আস্থা আছে। ওদের অনেকেই ভালো করছে। কারও মধ্যে কিছু ত্রুটি ধরা পড়লে, যতটা সুযোগ হয় সরাসরি বুঝিয়ে বলি আমি। বড়দের এভাবে, অভিভাবকের মতো ওদের পাশে থাকতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, সুন্দরভাবে বললে ওরা সবই গ্রহণ করবে। ওদের মধ্যে প্রচুর ট্যালেন্ট আছে। সেই ট্যালেন্ট কাজে লাগাতে হবে। তবেই আমাদের সংগীত ভবিষ্যতের পথে সমৃদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে পারবে।

লিখছেন, ছবি আঁকছেন- গান করছেন না?

গান তো করতে হবেই। গান দিয়েই সবাই আমাকে চেনে-জানে-মাপে। তাই গান ছাড়া তো থাকা যাবে না। বর্তমানে গান একটু ভেবে এবং বেছে করছি। অনেক তো হলো, এবার স্থিরতা দরকার। যদিও আমি সব সময়ই বেছে গেয়েছি। এখন থেকে আরেকটু বেশি যাচাই-বাছাই করছি। আর এতে আমার হাতে কিছু সময় থাকে। সেই সময় আমি লেখালেখি এবং চিত্রকর্মে ব্যয় করছি।      -আলী আফতাব

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর