বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

এফডিসির উন্নয়নে ফের জটিলতা

শোবিজ প্রতিবেদক

এফডিসির উন্নয়নে ফের জটিলতা

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) উন্নয়ন কাজে ফের জটিলতা তৈরি হয়েছে। এবার উঠেছে লেন্স ক্রয়ে কারসাজির অভিযোগ। টেন্ডারসংক্রান্ত প্রি-বিড সভার সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে অধিক দামে অন্য লেন্স ক্রয়ের অভিযোগটি মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়িয়েছে।

সূত্র জানায়, এফডিসির আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ‘ডিজিটাল ক্যামেরা, এক্সেসরিজসহ বিভিন্ন প্রকার ক্যামেরা লেন্স  (লট-১, লট-২, লট-৩) ক্রয়ের জন্য গত ৬ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। আহ্বানকৃত দরপত্রের ওপর গত ৪ অক্টোবর এক প্রি-বিড সভায় সর্বসম্মতিক্রমে লোয়ার রেঞ্জ ৪৫ মি.মি. [সর্বোচ্চ], হায়ার রেঞ্জ ২৫০ মি.মি. [সর্বনিম্ন] এবং জুম রেসিও ৫ এক্স করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। একই বৈঠকে ওই রেঞ্জের তিনটি জুম লেন্স সংগ্রহের কথা বলা হয়। সভায় প্রকল্প পরিচালক লক্ষণ চন্দ্র দেবনাথ, চিফ অব ক্যামেরা অ্যান্ড লাইট ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশীদ, নির্বাহী প্রকৌশলী মোশারফ আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। অথচ গত ১২ অক্টোবর হঠাৎ করেই সহকারী প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জুম লেন্স ক্রয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেক্ষেত্রে প্রি-বিড সভার সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে লোয়ার রেঞ্জ ২৪/২৫ মি.মি. [সর্বোচ্চ], হায়ার রেঞ্জ ২৫০ মি.মি. [সর্বনিম্ন] এবং জুম রেসিও ১০ এক্স [সর্বনিম্ন] ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে অনেকেই টেন্ডারে অংশগ্রহণের সুযোগ হারান। প্রি-বিড বৈঠকের সিদ্ধান্তের পর টেন্ডারে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠান ফিল্ম ট্রাস্টের ম্যানেজিং পার্টনার সাজ্জাদ হোসাইন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতেই সভার সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে এই সংশোধনী আনা হয়েছে। এতে করে সব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে টেন্ডারে অংশ নেওয়া সম্ভব হবে না। তার অভিযোগ, এখন ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে যে তিনটি লেন্স আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, একই অর্থ দিয়ে ৬টি আধুনিক লেন্স আনা সম্ভব। নতুন আদেশের কারণে সরকারি অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই হবে না। ফিল্ম ট্রাস্ট বিষয়টি সরকারের নজরে আনতে ১৩ অক্টোবর তথ্যমন্ত্রী বরাবর এক লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। অভিযোগ পাওয়ার পর মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে এফডিসির আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক লক্ষণ চন্দ্র দেবনাথ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রি-বিড সভায় এফডিসির ব্যবহারিক শাখা উপস্থিত ছিল না। পরে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে টেন্ডারে সংশোধনী আনা হয়। অর্থ বেশি লাগলেও এখন আরও ভালো ক্যামেরা কেনা হচ্ছে। আর এফডিসির স্বার্থে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কর্তৃপক্ষের আছে। এটা দরপত্রেই উল্লেখ থাকে।

 

 

সর্বশেষ খবর