শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ : তানভীর তারেক

স্মৃতিগুলো বাঁধাই করে রাখার মতো

শোবিজ প্রতিবেদক

স্মৃতিগুলো বাঁধাই করে রাখার মতো

তানভীর তারেক তরুণ উপস্থাপক, সংগীতশিল্পী ও সাংবাদিক। সম্প্রতি মার্কিন মুল্লুক সফর করে এলেন। উদ্দেশ্য ছিল একাধিক কনসার্ট। তার এই সাংস্কৃতিক সফর এবং অন্যান্য প্রসঙ্গে আজকের ইন্টারভিউ

মার্কিন মুল্লুকে সাংস্কৃতিক সফর। কেমন ছিল?

আমার জীবনের স্মরণীয় সফর এটি। পুরো সফরে ১৫টি টিভি শো এবং ৮টি কনসার্ট করেছি। আমার বন্ধু কণ্ঠশিল্পী তানভীর শাহীনই আয়োজন করেছেন। প্রায় প্রতিটি অনুষ্ঠানে আমরা দুজন একসঙ্গে পারফর্ম করেছি। অধিকাংশ স্টেজে আমি আমার নিজের গানের পাশাপাশি প্রচলিত কিছু ফোক গেয়েছি। শ্রোতারা খুবই এনজয় করেছেন। মুগ্ধকর সেই অনুভূতি।

কিন্তু স্মরণীয় কনসার্ট কোনটি ছিল?

নিউইয়র্কের ব্রোঞ্জে রবি চৌধুরী, তানভীর শাহীন, পড়শী এবং আমি একটি ঐতিহাসিক শোতে অংশগ্রহণ করি। এই শোতে প্রায় ১০ হাজার বাঙালি ছিলেন। সঙ্গে বিভিন্ন দেশের মানুষও ছিল। দর্শক ঢলে আমেরিকার মাটিতে হাজারো কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের একটি সেগমেন্টেও আমরা অংশ নিলাম। সে হিসেবে আরও একটি ইতিহাসের সাক্ষী হলাম আমরা।

আপনি তো নিউইয়র্কে টিভি অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন। কেমন ছিল সেই আয়োজন?

পরিচিত বড় ভাই-বন্ধুরাই ওখানে এখন বাংলা সংস্কৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। তাদের কারণেই অনুষ্ঠানগুলো করা হয়েছে। টিবিএন চ্যানেলে আমি ৭টি অনুষ্ঠান করেছি। প্রতিটিতে সঞ্চালনা ও গান গেয়েছি। এ ছাড়া টাইম টিভিতে আমরা প্রথমবারের মতো ফোনোলাইভ কনসার্ট শুরু করলাম। দর্শকদের যে রেসপন্স পেলাম তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

আপনি প্রভাবশালী টিভি চ্যানেল এবিসি ভিজিট করেছেন?

আমি খুবই সৌভাগ্যবান। পরপর দুই দিন চ্যানেলটি ভিজিট করতে পেরেছি। কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারা তাদের অত্যাধুনিক শুটিং প্রক্রিয়া দেখালেন। একই সঙ্গে এবিসির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনীত ‘কুইন্টিকো সিরিজের প্রেস শো ও প্রেস মিটে অংশ নিয়েছি। যেখানে বিশ্বের সব বরেণ্য বিনোদন সাংবাদিকদের সঙ্গে একমাত্র বাংলাদেশের বিনোদন সাংবাদিক হিসেবে আমি ছিলাম। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দীর্ঘ আড্ডা হয়েছে। এ ছাড়া আরও একটি অর্জন হচ্ছে আগামী ইউএস ট্যুরে এবিসি চ্যানেলের একটি ওয়ার্কশপে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে আমার।

সফর শেষে নিশ্চয়ই ক্লান্ত। নতুন কাজ কিছু করছেন কি?

কাজের ধ্যানে থাকলে আমি ক্লান্ত হই না। আমেরিকা থেকে ক্লান্তি নয়, উৎসাহ নিয়ে এসেছি। এসেই আবার ঝাঁপিয়ে পড়েছি নতুন কাজ নিয়ে। আমি কিন্তু আমেরিকাতে বসেও কাজ করেছি। তানভীর শাহীনের স্টুডিওতে একটি গান করেছি। এ ছাড়া নিউইয়র্কের প্রবাসী শিল্পী সোমা রহমানের সঙ্গে ‘ঘুম আসে না’ টাইটেলে আমার লেখা-সুরের একটি গানের রেকর্ডিং এবং মিউজিকি ভিডিওর কাজ করেছি। এ ছাড়া আমার ‘মুসাফির’ নামের একটি গানের ভিডিও করেছি নিউইয়র্ক, ফ্লোরিডা, ওয়াশিংটন ডিসি, নায়াগ্রার কিছু লোকেশনে। এখন সেগুলোর এডিটিং চলছে।

সর্বশেষ খবর