শিরোনাম
শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বন্ড, জেমস বন্ড

শোবিজ ডেস্ক

বন্ড, জেমস বন্ড

বন্ড, জেমস বন্ড। মনে পড়ে? আরেকটু পরিষ্কার করে বলি,মাই নেম ইজ বন্ড, জেমস বন্ড। এটা বন্ড সিরিজের নিয়মিত সংলাপ। আর সেই সংলাপ, সঙ্গে চোখ ধাঁধানো অ্যাকশন নিয়ে এলোজেমস বন্ড সিরিজের নতুন ছবিস্পেকটর। গতকাল এই সিরিজের ২৪তম ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। ছবির নির্মাণ ব্যয়, সবচেয়ে বেশি বয়সী বন্ড গার্ল’সহ নানা কারণে এবারের পর্বটি বেশ আলোচিত। তবে এই পর্বটি নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি! শুরু থেকেই নির্মাতা, অভিনেতা, সিনেমাটোগ্রাফার নিয়ে এতজনের নাম শোনা গেছে যে শুটিং শুরুর আগ পর্যন্ত এক জেমস বন্ড চরিত্রের জন্য ড্যানিয়েল ক্রেগ ছাড়া প্রায় কেউই চ‚ড়ান্ত ছিলেন না। নির্মাতা নিয়েও কানাঘুষা কম হয়নি। স্কাইফল’র পর স্যাম মেন্ডেস জানিয়েছিলেন, বন্ড পরিচালনায় আর তাকে দেখা যাবে না। সেই মতো প্রযোজনা সংস্থা আলাপ চালাচ্ছিল ক্রিস্টোফার নোলান, ড্যানি বয়েলসহ বেশ কয়েকজন নির্মাতার সঙ্গে। হঠাৎই কী হলো, মত বদলে ফিরে এলেন মেন্ডেস।

প্রতিবারই বন্ড সিরিজে সবার মনোযোগ থাকে বন্ড গার্লকে হচ্ছেন সেই দিকে। কিন্তু এবার সেই বন্ড গার্ল রূপে এক ডজনেরও বেশি অভিনেত্রীর নাম শোনা গেছে। শেষ পর্যন্ত চ‚ড়ান্ত হলেন ফরাসি অভিনেত্রী লিয়া সেদু আর ইতালিয়ান মনিকা বেলুচ্চি। এ ছবির মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি বন্ড গার্ল পর্দায় এসেছেন। আর তিনি হচ্ছেন মনিকা বেলুচ্চি। ৫১ বছর বয়সী এ অভিনেত্রীর আগে সবচেয়ে বয়স্ক বন্ড গার্ল ছিলেন অনার ব্লাকম্যান। ১৯৬৪ সালে গোল্ডফিঙ্গার’ মুক্তির সময় তার বয়স ছিল ৩৮। কাকতালীয়ভাবে ছবিটি মুক্তির বছরই জম্ন হয় মনিকা বেলুচ্চির।

খলনায়কের চরিত্রে গ্যারি ওল্ডম্যানসহ বেশ কয়েকজনের নাম শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত এটি করেছেন ক্রিস্টোফ ওয়াল্টজ। তৃতীয়বারের মতো অস্কারজয়ী কোনো অভিনেতাকে দেখা যাবে বন্ড ভিলেন হিসেবে।

সবার কথাই হলো, বন্ডের কথা হলো না। ড্যানিয়েল ক্রেগ সেই অভিনেতা, যিনি তৃতীয় সর্বোচ্চ বার বন্ড হলেন। এ ছবির মাধ্যমে চতুর্থবারের মতো পর্দায় বন্ড হয়ে এলেন তিনি। তার সঙ্গে প্রযোজকের পাঁচটি ছবি করার চুক্তি রয়েছে। তাই হিসাব অনুযায়ী আগামী পর্বেও ড্যানিয়েলই বন্ড হওয়ার কথা। কিন্তু সেটা নাও হতে পারে। কারণ ছবি মুক্তির আগেই তিনি বলেছেন, নিজেকে এ চরিত্রে আর দেখতে চান না।

এবার ‘স্পেকটর’ বৃত্তান্ত। গল্পে স্পেকটর’ নামের এক অপরাধী সংগঠনের রহস্য ফাঁস করতে মাঠে নামবে বন্ড। নানা ধরনের রাজনৈতিক চাপ আর বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সে এগিয়ে যাবে। বন্ডের স্রষ্টা আয়ান ফ্লেমিংয়ের আগের একটি গল্পের সূত্র ধরে নতুন করে লেখা হয়েছে স্পেকটর’র চিত্রনাট্য। তবে গল্পের চেয়েও বন্ড ছবিতে অ্যাকশন, গাড়ির চেজ, আর নায়কের ব্যবহৃত নানা প্রযুক্তিপণ্য নিয়ে মানুষের আগ্রহ থাকে বেশি। এবার যেমন বন্ড ব্যবহার করবে অ্যাস্টন মার্টিন ডিবি ১০ গাড়ি, যা শুধু এ ছবির জন্যই তৈরি করা হয়েছে। আর বন্ডকে পরতে দেখা যাবে ‘ওমেগা সিমাস্টার ৩০০ঘড়ি। বন্ডের ০০৭’  সঙ্গে মিল রেখে ঘড়িটির মাত্র সাত হাজার সাতটি কপি বানানো হয়েছে!

স্পেকটর’র শুটিং হয়েছে যুক্তরাজ্য, মেক্সিকো, ইতালি, অস্ট্রিয়া ও মরক্কোতে। তবে এবারের ছবির অনেক দৃশ্যের শুটিং হয়েছে বরফের মধ্যে। আইস ও স্কেটিং অ্যাকশন দৃশ্য ডাই অ্যানাদার ডে ওদ্য ওয়ার্ল্ড ইজ নট এনাফ’-এ দেখা গেলেও এত ব্যাপক মাত্রায় আসেনি। তবে অ্যাকশন দৃশ্যের চেয়ে ঝামেলার ছিল মেক্সিকোয় শুটিং। ছবির শুরুতেই স্থানীয় ডেড ফেস্টিভ্যাল দেখানো হয়। যার জন্য শুটিং করতে হয়েছে টানা চার দিন। আর উৎসবের হাজার মানুষের পোশাক তৈরিতে সময় লেগেছে ছয় মাস!

নির্মাণ খরচের দিক থেকে সব বন্ড ছবিকে ছাড়িয়ে গেছে স্পে’। ৩০ কোটি ডলারের ছবিটি পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান : অ্যাট ওয়ার্ল্ডস অ্যান্ড’র সঙ্গে যৌথভাবে ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যয়বহুল ছবি। এত খরচ কেন হলো তার ছোট একটা নমুনা দেওয়া যাক। ইতালিতে একটি অ্যাকশন দৃশ্যে প্রচুর ধ্বংস করতে হয়। যার মোট মূল্য প্রায় আড়াই কোটি ডলার।

দৈর্ঘ্যরে দিক দিয়েও সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে দুই ঘণ্টা ২৮ মিনিটের স্পেকটর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর