শিরোনাম
সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ : পান্থ কানাই

অভিমানে গান থেকে দূরে ছিলাম

আলী আফতাব

অভিমানে গান থেকে দূরে ছিলাম

সংগীতশিল্পী পান্থ কানাই নগরবাউল ও সোলস-এর মতো ব্যান্ডে দীর্ঘদিন ড্রাম বাজিয়েছেন। বর্তমানে ‘অর্ণব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’র সদস্য। ড্রাম বাজানোর পাশাপাশি গানও করেন। গান ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে আজ তার ইন্টারভিউ-

 

মাঝে তো ডুব দিয়েছিলেন। এখন আবার দেখা যাচ্ছে। শুনছি আপনি নাকি নতুন অ্যালবাম করছেন?

অনেক দিন ধরেই অ্যালবামটির কাজ করছি। কিন্তু স্টেজ শো ও নানা ব্যস্ততার কারণে শেষ করতে দেরি হয়েছে। এখন কাজ প্রায় শেষ। নয়-দশ বছর পর নতুন অ্যালবাম করছি। আমি অ্যালবাম থেকে বিরত থাকলেও গানের সঙ্গেই ছিলাম। বিভিন্ন দেশের গান শুনেছি, ঘুরে বেড়িয়েছি। নতুন এ অ্যালবামে সেগুলোরই প্রতিচ্ছবি রাখার চেষ্টা করছি। মোট ৮ থেকে ১০টি গান থাকবে। গানগুলোর সুর আমার নিজের করা। সংগীতায়োজনে আছি আমি ও বুনো। এ ছাড়া অর্ণবের সঙ্গে একটি মিক্স অ্যালবামে কাজ করছি। ওখানে আমার কয়েকটি গান থাকছে।

২০০২ সালের শেষের দিকে ‘ওরে নীল দরিয়া’ আপনাকে এনে দিয়েছিল জনপ্রিয়তা। এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলুন।

হঠাৎ মনে হলো, অনেক দিন আগের গান একটু রিমেক করে গেয়ে দেখি। আমি ভাবতেই পারিনি, এই গান আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। এত বেশি সাড়া পেয়েছিলাম ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। কিন্তু এর পেছনে একটি ছোট কষ্টও ছিল। ওই সময়ে আমার বেশ কিছু মৌলিক কাজ ছিল। কিন্তু ‘ওরে নীল দরিয়া’ কিংবা ‘চুমকি চলেছে’ যে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, মৌলিক গানগুলো তেমনটা পায়নি। তখন মনে হলো, আগের গানগুলোর মধ্যে শ্রোতারা যে প্রাণ খুঁজে পাচ্ছে এখনকার গানগুলোর মধ্যে সেই প্রাণটা কম। আর তাই হয়তো দর্শক শ্রোতারা আমাদের মৌলিক গানগুলো শুনতে চায় না।

 

সংগীত জীবনের আসার গল্পটি কেমন ছিল?

সংগীতের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ২৫ বছরেরও বেশি।  প্রথম শ্রেণি থেকে তবলা বাজানো শুরু করি। প্রায় টানা ১৪ বছর এই সাধনা নিয়ে ছিলাম। স্কুলে থাকা সময় ‘ওসান’ শিরোনামের একটি ব্যান্ড ছিল আমাদের। খুব অল্প সময়ে চট্টগ্রামজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। বাংলাদেশে সংগীত অঙ্গনের বড় বড় শিল্পীর বাড়ি চট্টগ্রামে। সেই সুবাদে পার্থ বড়ুয়ার সঙ্গে আমার দেখা হয়। তার হাত ধরে ঢাকায় চলে আসি। ১৯৯১ সাল থেকে ড্রাম বাজানো শুরু করি। একদিন আমার ড্রামসে মুগ্ধ হন জেমস ভাই। জেমস ভাই আর আমি চট্টগ্রামের একই এলাকার মানুষ। তাই তিনি ভালোবেসে আমাকে ‘নগরবাউল’ দলে নিয়ে আসেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সালের শেষ পর্যন্ত আমি সেখানে বাজিয়েছি।

 

আপনার নতুন ব্যান্ডের কার্যক্রম শুরু করেন কবে থেকে?

২০০১ সালে ড্রামসের পাশাপাশি আমি গান গাইতে শুরু করি। তখন ‘তাণ্ডব’ শিরোনামের একটি ব্যান্ড গড়েছিলাম। এখান থেকে একে একে বাজারে আসে ‘মা’, আদম হাওয়া, মন কারিগর, নৌকা জমিন নাটাই অ্যালবাম।’

 

মাঝে অনেকটা সময় গানের ভুবনে ছিলেন না। কেন?

আমার সর্বশেষ অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। অনেকটা অভিমান ও ব্যক্তিগত কারণেই এতদিন দূরে ছিলাম। অর্ণব সেখান থেকে সরিয়ে এনেছে। এখন ‘অর্ণব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’র সঙ্গে আবার গান শুরু করেছি। নিয়মিত করব আশা করি। সেই লক্ষ্যেই অ্যালবাম করেছি। এখন প্রকাশ করব।

সর্বশেষ খবর