রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

হাঙ্গেরির অর্কেস্ট্রায় বাজল আমার সোনার বাংলা

শোবিজ প্রতিবেদক

হাঙ্গেরির অর্কেস্ট্রায় বাজল আমার সোনার বাংলা

অর্কেস্ট্রায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মুহূর্ত

হাঙ্গেরির বিখ্যাত বুদাপেস্ট ফিলহারমোনিক অর্কেস্ট্রার ৩৪ জন যন্ত্রশিল্পী বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের সুর তুললেন নিজেদের বাদ্যযন্ত্রে। ২০ জন বেহালা শিল্পীর সঙ্গে চেলো, বেজ, সিমব্যাল আর ক্যারিনেটের মতো দুর্লভ বাদ্যযন্ত্রগুলো ছিল অন্য ১৪ জন শিল্পীর হাতে। তারা সুর তুললেন জাতীয় সংগীতের। আর সেই সুরে মোহিত করলেন এদেশের সংগীতপিপাসুদের। বেটোফেন, মোজার্টের মতো বিশ্বখ্যাত সিম্ফনি অর্কেস্ট্রাগুলো এতদিন ধরে সারা বিশ্বের শ্রোতারা শুনে এসেছে। এবার সেই সুর অর্কেস্ট্রায় বাজিয়ে শোনালেন ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’। অর্কেস্ট্রশনে জাতীয় সংগীতটির স্থায়িত্ব ছিল মাত্র আড়াই মিনিট। কিন্তু এ আড়াই মিনিটেই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সব শ্রোতা ও দর্শকের হূদয়ের মানচিত্রে বাংলাদেশের মানচিত্রটা যেন নতুন করেই অঙ্কিত হয়েছে। বিদেশি এ শিল্পীদের এমন পরিবেশনা পিনপতন নীরবতায় মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেছেন দেশপ্রেমে উজ্জীবিত সংগীতানুরাগীরা। জাতীয় সংগীতের এ স্টাফ নোটেশনের পাশাপাশি সিম্ফনিটির নির্দেশনায়ও ছিলেন এদেশেরই শিল্পী সানী জুবায়ের।

রং-বেরঙের আলোর ঝলকানির চোখ ধাঁধানো লেজার শোর মধ্য দিয়েই ব্যতিক্রমী এই সুরের সন্ধ্যার সূচনা ঘটে।

ক্রাউন সিমেন্টের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় ভিন্নধর্মী এ সুরের সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।

ক্রাউন সিমেন্টের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন ক্রাউন সিমেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খবিরুদ্দিন মোল্লা, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলমগীর কবির প্রমুখ। 

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পাশাপাশি এ আয়োজনে বুদাপেস্ট ফিলহারমনিক অর্কেস্ট্রার সঙ্গে সংগীত পরিবেশন করে এলআরবি ব্যান্ড। তারা একসঙ্গে ‘চলো বদলে যাই’সহ বেশ কয়েকটি গান পরিবেশন করেন। অন্যদিকে মাহমুদুজ্জামান বাবু,  অর্ণব এবং ফোকসম্রাজ্ঞী মমতাজও ফিলহারমনিকের সঙ্গে সংগীত পরিবেশন করেন।

সর্বশেষ খবর