রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

এবার বাংলায় ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’

শোবিজ প্রতিবেদক

এবার বাংলায় ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘চিলড্রেন অব ওয়ার : নাইন মান্থস টু ফ্রিডম’ এবার বাংলা ভাষায় দেখা যাবে। বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে ছবির নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ছবিটিকে বাংলায় ডাবিং করেছে। পুরো ছবি বাংলাকরণ শেষে এইর মাঝে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে ছবিটি পাঠিয়েও দিয়েছে। এর আগে ছবিটি যখন মুক্তি পেয়েছিল, তখনও বাংলানামকরণ করা হয়েছিল। ভারতের পাশাপাশি ‘যুদ্ধশিশু’ শিরোনামে ছবিটি বাংলাদেশে মুক্তি পায়। কিন্তু এবার পুরো ছবিটিই বাংলা ভাষায় দেখা যাবে। প্রাথমিকভাবে ছবিটি বিজয় দিবস উপলক্ষে চলমান ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’-এ প্রদর্শিত হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে সারা দেশের ৬৪টি জেলায় এ উৎসব একযোগে চলছে। সেই ধারাবাহিকতায় ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’ বা ‘যুদ্ধশিশু’ ছবিটিও ৬৪ জেলায় প্রদর্শিত হবে। তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘যুদ্ধশিশু’ ছবিটির প্রদর্শনী পর্যায়ক্রমে নানাভাবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এর মধ্যে উলে­খযোগ্য উদ্যোগ হচ্ছে- প্রজেক্টরের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে সবখানে ‘যুদ্ধশিশু’র প্রদর্শনী হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ [বিটিভি] বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেলে ছবিটি একাধিকবার প্রদর্শন হবে।

এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ছবিটিতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা গভীরভাবে উঠে এসেছে। পাকিস্তানিরা কতটা নির্মম এবং বর্বর ছিল- ছবিটি দেখলে তা বোঝা যায়। বিশেষ করে ন্যক্কারজনক নারী নির্যাতনের চিত্র রয়েছে। আমরা চাই ছবিটি নতুন প্রজম্ম দেখুক। তারা জানুক, পাকিস্তানিরা কতটা অমানবিক, কতটা পাষণ্ড ছিল।’

তথ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে ছবিটি বাংলায় ডাবিং প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ছবিটি ভারতীয় হলেও প্রেক্ষাপট আমাদের। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ছবির যে সংগ্রহ, তাতে আরও একটি ভালো ছবি যোগ হলো।’

‘চিলড্রেন অব ওয়ার’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন ভারতীয় নির্মাতা মৃত্যুঞ্জয় দেবব্রত। প্রথমে এই চলচ্চিত্রের শিরোনাম ছিল ‘দ্য বাস্টার্ড চাইল্ড’। পরে নাম পরিবর্তন করা হয়। বাংলাদেশে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর এটি ‘যুদ্ধশিশু’ নামে মুক্তি পায়।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দেশে-বিদেশে অনেক চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু ‘যুদ্ধশিশু’ নারী নির্যাতনের দিকটি মর্মস্পর্শীরূপে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এতে রাইমা সেন অভিনয় করেন বীরাঙ্গনা চরিত্রে। মূলত এক সাংবাদিকের সহধর্মিণীর সংগ্রামী জীবনচিত্র উঠে এসেছে ‘যুদ্ধশিশু’ চলচ্চিত্রে। দৃশ্যগুলো দর্শকদের মেরুদণ্ডে কাঁপুনি ধরিয়ে দেবে।

‘যুদ্ধশিশু’ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশে মুক্তির পর ব্যাপকভাবে প্রসংশিত হয়।  কারণ ছবিটি মুক্তিযুদ্ধের ছবি হিসেবে খুবই উঁচুমানের। তাই এটি সংগ্রহে রাখার দাবি তখনই উঠেছিল। সেই দাবিই পূরণ হলো তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে।

সর্বশেষ খবর