বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ : এম এ জলিল অনন্ত

চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাব

দেশীয় চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এম এ জলিল অনন্ত। ঢালিউডে প্রথম ডিজিটাল ছবি প্রবর্তনের পর এবার ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রম চালাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি আরও উদ্যোগ রয়েছে এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের। এসব বিষয়ে আজ তার ইন্টারভিউ—

চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাব

ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রম কেমন এগোচ্ছে?

বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছে। এখন ন্যাশনাল রাউন্ডের বাছাই চলছে। বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ ৩৬২ জনকে নিয়ে চলছে এই রাউন্ড। এখান থেকে ১০০ জন নির্বাচন করা হবে। এরপর ফাইনালে ১৫ ক্যাটাগরিতে ২৫ জনকে নির্বাচিত করা হবে। তারা আমার পরবর্তী ছবি ‘দ্য স্পাই’-এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন।

বিজয়ীরা কি শুধু আপনার ছবিতেই অভিনয় করবেন?

না, তারা ঢালিউডের সব ছবিতেই অভিনয় করতে পারবেন। আমি শিল্পী সংকট দূরীকরণের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছি। এর  মূল কারণ একদিকে আমাদের চলচ্চিত্রশিল্পে চলছে শিল্পী সংকট, অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ে আগ্রহীরা ঢাকায় এসে নানাভাবে প্রতারণার কবলে পড়ছেন। এ অবস্থার উন্নয়ন করতে নিয়মিত এই প্রতিযোগিতা চালিয়ে যেতে চাই।

দেশীয় চলচ্চিত্রে ‘খোঁজ-দ্য সার্চ’ দিয়ে প্রথম ডিজিটাল যুগের সূচনা করেন, এখন ট্যালেন্ট হান্ট দিয়ে শিল্পী সংকট উত্তরণের উদ্যোগ, এরপরের পরিকল্পনা কী?

আমি আসলে আমাদের চলচ্চিত্রশিল্পের উত্তরণে যা প্রয়োজন সবই করে যেতে চাই। এরপর চলচ্চিত্র নির্মাণে অত্যাধুনিক স্টুডিও এবং সারা দেশে বেশকিছু সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করার উদ্যোগ আছে। এককথায় এই শিল্পকে পূর্ণতা দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে চাই।

 

বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে সিনেমা হল বিমুখ দর্শকদের ফিরিয়েছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অসহায় মানুষের কল্যাণেও আপনার আকাশছোঁয়া সফলতা রয়েছে। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ‘আইক্যাপ’ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে কিছু বলুন—

আসলে আমি চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই। একই সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করতে কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য সরকার আমাকে টানা ৭ বার বাণিজ্য ও শিল্প খাতে সিআইপির সম্মান দিয়েছে। অসহায় মানুষের দুর্দশা লাঘবে এতিমখানা নির্মাণ করেছি, শিগগিরই চালু হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রম। এ ধরনের কল্যাণকর কার্যক্রম দেখে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১২তম আন্তর্জাতিক এইডস সম্মেলন আইক্যাপ-এর শুভেচ্ছাদূত নিযুক্ত করা হয়েছে আমাকে। এর আগে আইক্যাপ দূত নির্বাচিত হন আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, মাল্টিবিলিনিয়ার বিল গেটসসহ বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। আমার এই অর্জন নিঃসন্দেহে সেবাধর্মী কাজের জাতীয়-আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও মর্যাদা। আর আমার এই অর্জন দেশ ও দেশের মানুষের বলেই মনে করি। কারণ দেশ ও মানুষের প্রতিনিধি হিসেবেই আমি কাজ করে যাচ্ছি।

আলাউদ্দীন মাজিদ

সর্বশেষ খবর