সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

না ফেরার দেশে দিতি

না ফেরার দেশে দিতি

মরণব্যধি ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘদিন লড়াই করে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি। গতকাল বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বার্স ত্যাগ করেন দিতি। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্রকাররা—

 

 

 

 

সুচন্দা : দিতি এভাবে অকালে চলে যাবে তা ভাবতেও পারছিনা। একটি প্রাণবন্ত মেয়ে কিভাবে হঠাৎ এমন একটি প্রাণঘাতি রোগে আক্রান্ত হয়ে চলে যেতে পারে। অভিনয় শিল্পী হিসেবে অল্প সময়ে কৃতিত্ব দেখিয়েছে সে। জাতীয় পুরস্কারও লাভ করেছে অল্প সময়ে। শুধু শিল্পী নয়, মানুষ হিসেবেও অসাধারণ ছিলো দিতি। তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে আমার।

ববিতা : প্রথম যখন তার অসুস্থতার কথা শুনি মনে করেছিলাম ভালো হয়ে দিতি আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবে। অভিনয়ে ফের নিয়মিত হবে। কিন্তু দিন যতই গেছে তার অসুস্থতা আরও বাড়ছিলো। তখন আর কোনো আশার আলো দেখতে পাইনি। শংকা শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো। এমন বিদায় কারও কাম্য নয়। দিতি তার কাজের মাঝে চিরদিন সবার মাঝে বেঁচে থাকবে।

রাজ্জাক : ‘জন্মিলে মরিতে হবে’- এটি পৃথিবীর সবচেয়ে অপ্রিয় সত্য। তাই বলে অসময়ে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। কি এমন বয়স হয়েছিলো ওর। কেন এমন দুরারোগ্য ব্যাধি তার শরীরে বাসা বাধলো। কোনোভাবেই নিজেকে প্রবোধ দিতে পারছিনা। আস্তে আস্তে আশে পাশের সব মানুষ চলে যাচ্ছে। সবাইকে হারিয়ে আমরা বড় একা হয়ে যাচ্ছি। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসীব করুন।

আমজাদ হোসেন : দিতি আমার হীরামতি ছবিতে অভিনয় করেছিলো। শুধু ভালো শিল্পীই নয়। অসাধারণ ভালো মেয়ে ছিলো ও। নিয়তির নিমর্ম বিধান। সে কেন এমন ঘাতক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে অকালে ঝরে যাবে। কোনোভাবেই বিশ্বাস করা যায়না দিতি আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। তার সন্তান আর স্বজনদের আল্লাহ তায়ালা এই শোক সইবার শক্তি দিন। এই দোয়াই করছি।

মৌসুমী : আমার প্রিয় বড় বোনটি আজ আর নেই। এই শোক সহ্য করার মত নয়। আমি তার অনেক পরে চলচ্চিত্রে আসি। কিন্তু কখনও বুঝতে দিতেন না যে আমি তার জুনিয়র। সব সময় আপন বোনের মত আগলে রাখতেন। কিভাবে কাজ করলে ভালো হবে পরামর্শ দিতেন। তার বিদায় কখনও মেনে নিতে পারবোনা।

 

ওমরসানি : এত বড় মাপের একজন শিল্পীর এভাবে অসময়ে চলে যাওয়া মানে পুরো শিল্প আর শিল্পীদের অসহায় করে যাওয়া। আমরা আজ বড় একা হয়ে গেলাম। তার মত শিল্পীর যুগ যুগ বেঁচে থাকা দরকার। এমন শিল্পীই পারেন এই শিল্পকে সহজে পূর্ণতা এনে দিতে।

তিনি আমার পথপ্রদর্শক ছিলেন, বড় বোন ছিলেন। তাকে হারানোর ব্যথা কখনই ভুলতে পারবোনা।

সর্বশেষ খবর