ছোটবেলায় স্কুলে পরীক্ষার খাতায় বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর শেষে পরীক্ষার খাতাতেই কনকচাঁপা ফুল, বিড়ালসহ নানান কিছুর ছবি এঁকে দিতেন। আর সেই ছবি দেখেই শিক্ষক বুঝে নিতেন এটা কনকচাঁপার খাতা। এতে বোঝা যায় ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি নেশা ছিল তার। কনকচাঁপার বাবা আজিজুল হক মোরশেদ সরাসরি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের ছাত্র ছিলেন। তাই বাবার রক্তে নীরবে বহমান আঁকাআঁকির প্রতি অদম্য নেশা কনকচাঁপার ওপরও ভর করেছিল ছোটবেলায়। কিন্তু দুই মাধ্যমে এক সঙ্গে পথচলা যায় না বিধায় কনকচাঁপাকে গানেই বেশি মনোযোগ দিতে হয়েছিল। কনকের বাবা আজ নেই। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে মেয়েকে সুপ্রতিষ্ঠিত হিসেবে দেখে গেছেন। কিন্তু কনকচাঁপা আজ যে একজন চিত্রশিল্পী হিসেবেও পরিচিত হতে যাচ্ছেন তা দেখে যেতে পারেননি। এই দুঃখবোধটা রয়ে যাবে কনকের সারা জীবন। কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা আজ থেকে নতুন পরিচয়ে পরিচিত হবেন সবার মাঝে। আজ বিকাল ৫টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার চার নম্বর গ্যালারিতে শুরু হচ্ছে কনকচাঁপার প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী ‘দ্বিধার দোলাচল’। এতে কনকচাঁপার স্কুলজীবনের আঁকা ছবি থেকে এই সময়ের আঁকা ১০০টিরও বেশি ছবি স্থান পাবে। আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইয়ীদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চিত্রকর আবদুস শাকুর শাহ, গীতিকবি রফিক-উজ-জামান এবং চিত্রশিল্পী কনকচাঁপা চাকমা। প্রদর্শনীটি উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্য প্রয়াত চিত্রশিল্পী ও পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠুকে।