শিরোনাম
বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

খোকনের যত চলচ্চিত্র

শোবিজ প্রতিবেদক

খোকনের যত চলচ্চিত্র

শহীদুল ইসলাম খোকন [১৫ মে, ১৯৫৭—৪ এপ্রিল, ২০১৬]

শহীদুল ইসলাম খোকন আজ আর নেই। তিনি এ দেশের মানুষকে ছেড়ে যাননি। যাবেন না কখনো। তার অনন্য সৃষ্টিই তাকে বাঁচিয়ে রাখবে চিরকাল। খোকন ছিলেন বহুমাত্রিক গুণ আর বহুমুখী মেধার সমন্বিত নাম। তার নির্মিত ৩১টি ছবিই এর জ্বলজ্বলে প্রমাণ। তার নির্মিত ছবিগুলো হলো— রক্তের বন্দী, পদ্মগোখরা, বিশ্ব প্রেমিক, বীরপুরুষ, বজ্র মুষ্টি, বিপ্লব, উত্থানপতন, সন্ত্রাস, টপ রংবাজ, শত্রু ভয়ংকর, অপহরণ, সতর্ক শয়তান, দুঃসাহস, লম্পট, রাক্ষস, ম্যাডাম ফুলি, যোদ্ধা, ঘাতক, ভণ্ড, বিশ্ব বাটপার, নরপিশাচ, পাগলা ঘণ্টা, পালাবি কোথায়, টাকা, লড়াকু, লালসবুজ, বিষদাঁত, বাঙলা, অকর্মা, স্বপ্ন পূরণ এবং চেহারা।

বাণিজ্যিক ছবিকে অনন্য উচ্চতায় আসীন করেন তিনি। বাংলা ছবিতে মার্শাল আর্টের প্রবর্তক হয়ে এ ধারায় পরিমিত বোধের মুন্সিয়ানাও দেখিয়েছেন তিনি। ১৯৮৬ সালে মার্শাল আর্টভিত্তিক ‘লড়াকু’ ছবিটি তৈরি করে দর্শকের আস্থা অর্জন করেন। এ ধারার বেশকটি নির্মাণ তাকে মার্শাল আর্ট ছবির কারিগরে পরিণত করে। ‘ভণ্ড’ ছবিটি নির্মাণের মাধ্যমে গতানুগতিক কমেডি ছবির ধারাকে ভেঙে দর্শকের মন জয় করেন। যুদ্ধাপরাধীদের কুকীর্তি তুলে ধরে ‘ঘাতক’ নির্মাণের মাধ্যমেও সফল হন তিনি। নারী জাগরণের চালচিত্র সার্থক হয় তার সুনির্মিত ‘পালাবি কোথায়’ ছবিতে। মুক্তিযুদ্ধ আর ভাষা আন্দোলনের সময়কালকে সফলভাবে তুলে ধরেন ‘বাঙলা’য়। জঙ্গি বাংলা ভাইয়ের অপকর্মকে সেলুলয়েডের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেন ‘লালসবুজ’ ছবির মাধ্যমে। নানা আঙ্গিকে তার বক্তব্যপ্রধান ও বিনোদনধর্মী সহজ সরল নির্মাণ দর্শকের মনে অসাধারণ ছবি হয়ে ওঠে।

সময়ের পথে হেঁটে দ্রুত জনপ্রিয়তা পান খোকন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর