শনিবার, ৭ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

‘অস্তিত্ব শুধুই নাচে-গানে ভরপুর নয়’

তিশাকে ভিন্নস্বাদের সিনেমায় অনেকে দেখেছেন। কিন্তু গতকাল থেকে তাকে দেখা যাচ্ছে মসালাদার ছবিতে। একেবারে নাচে-গানে ভরপুর। অনন্য মামুন নির্মিত এ ছবির নাম ‘অস্তিত্ব’। নতুন ধারার যাত্রায় তিশাকে স্বাগতমও জানাচ্ছেন সবাই। কিন্তু তিশা নিজে কি ভাবছেন! তার সঙ্গে কথা বলেছেন— আলী আফতাব

‘অস্তিত্ব শুধুই নাচে-গানে ভরপুর নয়’

প্রথমেই জানতে চাই, প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?

মাশাল্লাহ, খুব ভালো। সবাই কল করে, টেক্সট পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। আজ [গতকাল] যারা ‘অস্তিত্ব’ দেখেছেন তারা আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। এত কষ্ট করে ছবিটি করেছি আমরা, তাই প্রশংসা শুনে পরিশ্রম সার্থক মনে হচ্ছে।

 

নাচে-গানে ভরপুর ছবি। এ ধারায় আপনি প্রথম।

দেখুন, আমি এ ধরনের ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব বহু আগে থেকেই পাচ্ছি। কিন্তু নিজেরও তো একটা পছন্দ-অপছন্দ বলতে বিষয় আছে। তাই হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ‘মেন্টাল’ ছবির প্রস্তাব পছন্দ হয়েছিল। তাই অভিনয় করেছি। এরপর অনন্য মামুন ‘অস্তিত্ব’র জন্য প্রস্তাব করে। এটিও পছন্দ হয়ে যায়। ‘মেন্টাল’ এখনো মুক্তি পায়নি, ‘অস্তিত্ব’ দ্বিতীয় হলেও প্রথমেই মুক্তি পেল। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, ‘অস্তিত্ব’ শুধুই নাচে-গানে ভরপুর নয়, এতে সুন্দর একটি গল্প আছে। এ ধরনের গল্প আমাদের দেশের মাসালাদার ছবিতে খুব একটা পাওয়া যায় না। মূলত গল্প এবং আমার চরিত্রটির জন্য আমি অভিনয় করেছি। 

 

আপনি তো এ ছবিতে একটি প্রতিবন্ধী মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাহলে ঝলমলে নাচ-গান এলো কীভাবে?

ওটা মেয়েটির ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ড। সে প্রতিবন্ধী হতে পারে, কিন্তু কল্পনায় তো সে রঙিন। সেই রঙিন দুনিয়াটাতে সে নিজের মতো স্বাধীন।

 

চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটিয়েছেন বলে শুনেছি।

ওরে বাবা, ব্যাপক কষ্ট করতে হয়েছে। কারণ চরিত্রটি স্বাভাবিক নয়। তাই আমি প্রতিবন্ধী মানুষের সঙ্গে দিনের পর দিন মিশেছি। তাদের আবেগ-অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যখন আমি দেখি, ওরা পরিচয়ে প্রতিবন্ধী হলেও, কিছু কিছু বিষয়ে এতটাই মেধাবী যে, কল্পনারও বাইরে। এই যে বিষয়টি, এটা ফুটিয়ে তুলতে আমাকে বেশ চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে।

 

তার মানে, শুধু নামকাওয়াস্তে নায়িকা শুধু নন আপনি, অভিনয়ের ক্যারিশমাও আছে।

হ্যাঁ, এ জন্যই তো মামুনের প্রস্তাব পেয়ে, স্ক্রিপ্ট পড়ে রাজি হয়েছি। যদি করার মতো কিছু না থাকে, তবে কেন শুধু শুধু অভিনয় করব।

 

নাটকের অভিনেত্রীরা যখন মাসালাদার ছবিতে অভিনয় করে, তখন বেশির ভাগকেই বেমানান লাগে। কিন্তু আপনার ব্যাপারে খুব প্রশংসা চারদিকে, খুব সাবলীল ছিলেন।

আসলে এটা সম্পূর্ণই দর্শকের ব্যাপার। আমি শুধু বলতে চাই, আমি চেষ্টা করেছি।

 

এ ধরনের ছবিতে নিয়মিত হবেন?

বিষয়টি নির্ভর করছে গল্পের ওপর। আমি নিয়মিতই অভিনয় করতে চাই, যদি গল্প ভালো হয়। আর আপনি প্রশ্ন করার আগেই আমি আরেকটা বিষয় ক্লিয়ার করে দিচ্ছি, নাটক ছাড়ছি না। ওটা আমার মূল ভিত্তি।

 

ভক্তদের জন্য কোন মেসেজ?

হ্যাঁ... আপনারা সবাই হলে গিয়ে ছবিটি দেখবেন প্লিজ। আর আমার জন্য মন খুলে দোয়া করবেন।

সর্বশেষ খবর