সোমবার, ৩০ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা
চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির নির্বাচন

মুখোমুুখি অবস্থানে দুই প্যানেল

শোবিজ প্রতিবেদক

চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২৮ মে। আদালত ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে এ নির্বাচন। সমিতির সদস্য মো. নাসিরউদ্দিন নির্বাচনী তফসিল ও চার প্রার্থী খোরশেদ আলম খসরু, মনতাজুর রহমান আকবর, শরীফউদ্দিন খান দীপু এবং শামসুল আলমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করলে হাইকোর্ট এ স্থগিতাদেশ দেয়। বিষয়টি নিয়ে এখন এক প্যানেল অন্য প্যানেলকে দোষারোপ করছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরছে তাদের অভিযোগ।

শনিবার সকালে এফডিসিতে সংবাদ সম্মেলন করে খসরু-আলম প্যানেল। লিখিত বক্তব্যে খসরু বলেন, উল্লিখিত চারজনের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নাসিরউদ্দিন রিট করলেও আজিজ-লিটন প্যানেলের প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন, কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া লিপু, জাহিদ হোসেন ও আতিকুর রহমান  লিটন একই দোষে দুষ্ট হওয়া সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে রিট করেননি। তিনি এর জন্য আবদুল আজিজকে দায়ী করেন এবং নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানান।

অন্যদিকে সন্ধ্যায় আজিজ-লিটন প্যানেলের সংবাদ সম্মেলনে আবদুল আজিজ বলেন, নাসিরউদ্দিন টিও রুলের বিধি মোতাবেক যে চার প্রার্থীকে অবৈধ বলে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন তা যথাযথ হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগে ২০১৪-২০১৬ সালের নির্বাচনী তফসিল একই কারণে স্থগিত হয়। আজিজ প্রশ্ন রেখে বলেন, মাত্র চারজন প্রার্থীর জন্য বার বার কেন নির্বাচন স্থগিত হবে। তার প্যানেল এ জটিলতার অবসান চায়। তিনি আইনানুযায়ী দ্রুত বৈধ নির্বাচন দাবি করেন এবং বলেন আমার প্যানেলে যদি কোনো অবৈধ প্রার্থী থাকেন তাহলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তিনি সমঝোতার মাধ্যমে নয়, ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি প্রত্যাশা করেন।

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরশাদ আদনান বলেন, চলচ্চিত্রকে মন্দাবস্থা থেকে উদ্ধারের জন্যই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনকে ঘিরে নানা নোংরামি তাকে হতবাক করেছে। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রের বৃহত্তর স্বার্থেই আবদুল আজিজের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলাম। এ ধরনের অবস্থা চলতে থাকলে চলচ্চিত্র জগৎ ত্যাগ করে ব্যাংকিং পেশায় ফিরে যাবেন তিনি। আদনান আরও বলেন, আমি চাই সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। এতে আজিজ ও আমি দুজনই প্যানেল দেব। সমিতির সদস্যরা যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে তারাই সমিতি পরিচালনা করবে।

সর্বশেষ খবর