নুসরাত ফারিয়া অভিনীত ‘বাদশা’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ঈদে। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এ ছবিতে তার নায়ক কলকাতার জিৎ। এটি ফারিয়ার চলচ্চিত্র জীবনের তিন নম্বর ছবি। ঈদে নিজের ছবি মুক্তি পাওয়া ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এসব বিষয়ে আজ তার ইন্টারভিউ—
আবার ঈদের ছবি নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হওয়া, অনুভূতির কথাই শুনি।
হ্যাঁ, এর আগে গত বছর কোরবানির ঈদে আমার প্রথম ছবি ‘আশিকী’ মুক্তি পেয়েছিল। জীবনের সেরা ভালো লাগা এখন কাজ করছে আমার ভিতর। আমি খুবই এক্সাইটেড। ‘বাদশা’ ছবিতে একটি গান আছে। ‘ঈদ এসেছে...’। সত্যিই আগেভাগে ঈদ এসে গেছে আমার জীবনে। আমি এখন আনন্দের মুক্ত বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছি, হা...হা...হা...।
নায়িকা হওয়ার আগের ঈদ আর এখনকার ঈদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নিরূপণ করেন?
হ্যাঁ, অনেক পার্থক্য মনে হয়। এই যেমন আগের ঈদে কাপড় চোপড় নিয়ে টেনশন করতাম। আর এখন ঈদের দিন ছবির প্রমোশনে কি কাপড় পরব তাই নিয়ে টেনশনে ডুবে থাকি। এই টেনশন বড় ভালো লাগার। অনেক মজার।
নায়িকা ফারিয়াকে নিয়ে ঈদে পরিবারের উচ্ছ্বাস কেমন?
পরিবারের সবার মন খুব খারাপ থাকে। বিশেষ করে আম্মুর। কারণ নায়িকা হওয়ায় এখন আমার ব্যস্ততা বেড়েছে। ছবির কাজে দেশ-বিদেশে ছোটোছুটি করতে হয়। তাই সবাই আগের মতো আমাকে কাছে পায় না। তারপরও আমাকে নিয়ে পরিবারের সবাই গর্বিত। কারণ আমি চলচ্চিত্রের মতো একটি প্রধান গণমাধ্যমে কাজ করছি।
ঈদ এবার কেমন কাটবে?
‘বাদশা’ ছবির প্রমোশনে জুলাইয়ের প্রথম দিন মুম্বাই যাচ্ছি। ফিরব ঈদের আগের দিন। ঈদের সকালে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব আর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সময় কাটিয়ে সন্ধ্যায় লুকিয়ে ‘বাদশা’ ছবিটি দেখব।
লুকিয়ে বাদশা দেখা কেন?
আসলে লুকিয়ে দর্শকের রিঅ্যাকশন দেখার মজা আলাদা। তাছাড়া আমাকে কেউ দেখে ফেললে প্রপার রিঅ্যাক্ট তারা আর করবে না। আমার অভিনয় দেখে তাদের কেমন লাগছে, তারা কি বলছে। এসব জানব।
নিজেকে নায়িকা ভাবতে কেমন লাগে?
উফ্, কি যে বলেন, নিজেকে এখনো নায়িকা ভাবতে পারলাম কোথায়। সবে তো এলাম। এখনো মনে হয় আমি চঞ্চল একটি সাধারণ মেয়ে। বলতে পারেন অন্য দশটা মেয়ের মতো। অভিনয় নিয়ে যেন এখনো পরীক্ষা দিচ্ছি আর রেজাল্টের জন্য অধীর হয়ে অপেক্ষায় প্রহর গুনছি... হা... হা...হা... আমি এখনো নায়িকা হতে পারিনি।
বাদশা ছবিতে এসে শিল্পী হিসেবে নিজেকে কতটা পরিপূর্ণ মনে হচ্ছে?
এর আগে ‘আশিকী’ ও ‘হিরো ৪২০’। ‘বাদশা’ আমার তিন নম্বর ছবি। এখনো মনে হচ্ছে আমি গ্রাফ মেনটেইন করছি। উপরে উঠার মানে বেটার কিছু করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। সবাই বলছে ‘বাদশা’তে আমার লুক আরও ভালো হয়েছে।
‘বাদশা’ ছবির ক্যারেক্টর নিজেকে কতটা আপন করেছে?
পুরোপুরি নিজের সঙ্গে মিলে গেছে। আমার ক্যারেক্টরের নাম শ্রেয়া। একজন চঞ্চল মেয়ে। বলিউডের ছবি ‘কাভি খুশি কাভি গাম’-এর কারিনার ক্যারেক্টরের মতোই। আসলে আমি খুব চঞ্চল একটা মেয়ে। শ্রেয়াকে পেয়ে যেন আয়নায় নিজের ছবি দেখতে পেয়েছি। দুজনে মিলেমিশে এক হয়ে গেছি। আহ! কি মজাটাই না পেয়েছি।
বলিউডের ছবিতে ইমরান হাশমীর বিপরীতে অভিনয়ের কথা ছিল, কাজ কতটা এগুলো?
আমার ‘প্রেমী ও প্রেমী’ ছবির কাজ প্রায় শেষের পথে। সেপ্টেম্বরে এ ছবির কাজ শেষ হওয়ার পর মুম্বাই যাব। ইমরান হাশমীর সঙ্গে ‘গাওয়া দ্য উইটনেস’ ছবির কাজ শুরুর বিষয়ে মিটিং হবে। তারপর ইমরান হাশমীর সঙ্গে জুটি বেঁধে ক্যামেরার সামনে হেঁটে যাওয়া দেখবে সবাই। উহ! ভাবতেই কি যে ভালো লাগছে। বলে বোঝাতে পারব না।
ঈদে দর্শক ভক্তদের জন্য কি বলবেন?
সবাইকে বলব, সরি এখন কাউকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে পারছি না। শুভেচ্ছা পেতে হলে আগে ‘বাদশা’ দেখতে হবে। অন্তত নুসরাত ফারিয়া আর জিৎ-এর টগবগে পর্দা রসায়ন দেখতে সবাই সিনেমা হলে ছুটে যাবেন, আমাকে ভালোবাসবেন। তারপর চিৎকার করে বলব— ঈদ মোবারক।