ভিন্নমাত্রার উপস্থাপনা দিয়ে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন তার মধ্যে একজন ফারজানা ব্রাউনিয়া। মিডিয়ার প্রতি চিরন্তন আগ্রহের জায়গা থেকেই তিনি যুক্ত হন চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে। সম্প্রতি চ্যানেল আইয়ে স্বর্ণ কিশোরী শিরোনামের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন। সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে আজ তার ইন্টারভিউ—
স্বর্ণ কিশোরী অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা কী করে মাথায় এলো?
২০১১ সালের কথা। চ্যানেল আইয়ে ‘আমি মা হতে চলেছি’ শিরোনামের একটি অনুষ্ঠান শুরু করি। অনুষ্ঠানটি করার পর বুঝতে পারি, আসলে আরও অনেক আগে থেকেই মেয়েদের সচেতন করা যায়, এমন একটি অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। স্বর্ণ কিশোরীর পরিকল্পনা সেই থেকেই শুরু। আর ‘স্বর্ণ কিশোরী’ আমার একটি স্বপ্ন।
স্বর্ণ কিশোরীর চারটি শপথ আছে। তা নিয়ে কিছু বলুন?
চারটি শপথের মধ্যে রয়েছে— এক. আঠারো বছরের আগে বিয়ে নয়। দুই. বিশ বছরের আগে গর্ভধারণ নয়। তিন. ভাই আর বোন পুষ্টিকর খাবারে সমান দুজন। চার. বয়স ১৫ বছর যখন টিটি টিকার (ধনুষ্টঙ্কার) পাঁচ ডোজের শুরু তখন। মূল লক্ষ্য হলো নিরাপদ মাতৃত্ব।
শপথগুলো ব্যাখ্যা করেন
এসব শপথ একটি আরেকটির সঙ্গে জড়িত। সুস্থ জীবন হলে শিক্ষাজীবন সহজে আসবে। এরপর অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়ন শুরু হবে। শেষ ক্ষমতায়নটি হলো কোন বয়সে সন্তান নেবে সে বিষয়টি নিজেই ঠিক করতে পারবে। এটি যেদিন হবে সেদিন মাতৃমৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।
কিশোরীর নেটওয়ার্ক নিয়ে কিছু বলুন?
২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি অথবা প্রয়োজনবোধে একটু বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর ১৫ মিনিটের মধ্যে স্বাস্থ্যজ্ঞান সম্পর্কে প্রশিক্ষিত ১৫ হাজার মেয়ের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ করব। বাকি এক দিনের মধ্যে ২ কোটি মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে এ ১৫ হাজার মেয়ে। প্রথম বছরে আমরা সাতটি বিভাগে ২০টি স্বর্ণ কিশোরী বিদ্যালয় তৈরি করেছি। দ্বিতীয় বছর ৬৪টি জেলায় ৬৪টি বিদ্যালয় তৈরি করেছি। ভবিষ্যতে উপজেলা ও গ্রামপর্যায়েও বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। এ স্কুলগুলো এখন স্বর্ণ কিশোরীর নেটওয়ার্কভুক্ত বিদ্যালয়। এখান থেকে ওরা শিখবে সুস্বাস্থ্য এবং জীবনে ভালো থাকার উপায়।
নতুন আর কোনো অনুষ্ঠান করার চিন্তা আছে?
এখন ‘স্বর্ণ কিশোরীর’ অনুষ্ঠানটা নিয়েই আছি। যেহেতু আমি বলেছি এটি আমার স্বপ্ন। এ স্বপ্নটাকে যে করেই হোক সফল করতে হবে। এ অনুষ্ঠানটি এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। লাখো কিশোরীর স্বপ্ন এখন যোগ হয়েছে আমার সঙ্গে।