চলে গেলেন ভারতের শাস্ত্রীয়সংগীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী বিদুষী কিশোরী আমানকর। গত সোমবার রাতে মুম্বাইয়ে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ও রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাও আমানকরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। কলাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ভারত সরকার ১৯৮৭ সালে তাকে ‘পদ্মভূষণ’ এবং ২০০২ সালে ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মানে সম্মানিত করেছে। ২০১০ সালে তিনি সংগীত নাটক একাডেমির ফেলো হন। ধ্রুপদী সংগীতের প্রখ্যাত গায়িকা মোগুবাই কুর্দিকরের মেয়ে কিশোরী আমানকরের জন্ম ১৯৩২ সালে ১০ এপ্রিল। মোগুবাই ছিলেন জয়পুর ঘরানার প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী আল্লাদিয়া খান সাহেবের শিষ্য। অসামান্য প্রতিভার কিশোরীও হিন্দুস্তানি সংগীত ঘরানার প্রথম সারির নাম। জয়পুর ঘরানায় তার অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কিশোরীর সংগীত শিক্ষার শুরু তার মায়ের কাছে। তাই তার গানের মধ্যে অন্যান্য ঘরানারও প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। পরে জয়পুর ঘরানার একটা নিজস্ব স্বতন্ত্রতা তৈরি করেন কিশোরী। হিন্দুস্তানি সংগীতের বিভিন্ন ঐতিহ্যগত রাগের ভিত্তিতে তৈরি খেয়াল গানে বেশি পারদর্শী ছিলেন তিনি। তবে ঠুমরি, ভজন আর ভক্তিমূলক গানও পরিবেশন করতেন।