সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। একাধিক পরিচয়ে পরিচিত যিনি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক, অভিনেতা, আবৃত্তিকার, পরিচালক এবং স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব। ৮২ বছরের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এখনো যিনি তরুণ। আজ তাকে নিয়ে থাকছে আলাপন—
কেমন আছেন?
আছি ...অনেক ভালো আছি।
আপনি মনে হয় এখন শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ...
হুম... ঈদের জন্য একটি নাটকের শুটিং করছি। জাহিদ হাসানের একটি নাটকের শুটিং চলছে। সেটাতেই কাজ করছি আজ।
ঈদের কাজের ব্যস্ততা একটু জানতে চাই...
ঈদের জন্য এই পর্যন্ত ৫-৬টি সিঙ্গেল নাটকে অভিনয় করেছি। তার মধ্যে হিমেল আশরাফের ১টি, জাহিদ হাসানের ১টি নাটকে কাজ করেছি।
সিরিয়ালে তো নিয়মিত কাজ করছেন ...
কয়েকটি সিরিয়ালে কাজ করেছি, আরও কিছু সামনে করব। ৪টি সিরিয়াল প্রচার হচ্ছে আর বাকি ২টি কিছুদিনের মধ্যেই আরম্ভ হবে।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ে ব্যস্ততা...
গত বছর তো ৪টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলাম কিন্তু এবার এখনো তেমন করে কাজ শুরু করিনি। কাজের কথা চলছে।
গুণীজন সংবর্ধনা পাওয়ায় কেমন লাগছে?
সম্মাননা তো ভালোই লাগে। বিশেষ করে নিজেদের প্রিয় অঙ্গন থেকে। এখন তো পরিচালনা করি না, আগে পরিচালনা করেছি অনেক। ধন্যবাদ জানাচ্ছি ডিরেক্টরস গিল্ডকে আমার আগের কাজকে মনে রাখার জন্য, আমাকে সম্মাননা জানানোর জন্য। আগের প্রজন্মের সঙ্গে এখনকার প্রজন্মকে পরিচয় করে দেওয়ার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
এত নাটক, চলচ্চিত্রের কাজ হওয়া সত্ত্বেও আমরা কেন উত্তরণ করতে পারছি না?
আসলে উত্তরণের জন্য আগে বিজ্ঞাপনদাতাকে বুঝতে হবে। বিজ্ঞাপন দেখানোর সময় কমাতে হবে। কারণ, বিজ্ঞাপন তো কেউ ঠিকমতো দেখেই না উপরন্তু ভালো নাটক-চলচ্চিত্র দেখা থেকে অনেকেই বিরত থাকে। আমাদের আরও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হবে। যেমন ভারত বিষয়ভিত্তিকভাবে কিছু চ্যানেলে অনুষ্ঠান দেখায়। আমাদের নাটক, চলচ্চিত্র দেখার আগ্রহ জাগাতে হবে; নেশা ধরাতে হবে। সপ্তাহে চার দিন ধারাবাহিকভাবে সিরিয়াল, নাটক দেখাতে হবে। নাটকের জন্য যেমন আলাদা চ্যানেল লাগবে তেমনি খেলার জন্য, গানের জন্য, সংবাদ কিংবা চলচ্চিত্রের জন্য আলাদা আলাদা চ্যানেল দরকার। এতে সবার আগ্রহ বাড়বে। তখন সবাই নাটক, সিনেমা দেখবে।