শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

বহুরূপী নুসরাত

আলাউদ্দীন মাজিদ

বহুরূপী নুসরাত

অভিনেত্রী হিসেবেই নুসরাতের পরিচিতির পরিধিটা তরতরিয়ে লতিয়েছে। আর এ চরিত্রে সফলতা তাকে দ্রুত ছুঁয়েছে। সিনেমায় আসার আগেই কিন্তু মিডিয়ায় নুসরাত ফারিয়ার আঁটসাঁট উপস্থিতি ছিল। ডিজে, উপস্থাপিকা, মডেল এমন বহুরূপে দর্শকের সামনে হাজির হয়েছেন তিনি। মানে বহুরূপী ফারিয়া সমানে বিচরণ করেছেন দর্শক হৃদয়ের আঙিনায়। উপস্থাপিকা হিসেবেও দর্শক মন কেড়েছেন তিনি। আর এ ভূমিকায় কাজ করতে গিয়েই দেশীয় চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের শীর্ষ চলচ্চিত্র সংস্থা ‘জাজ মাল্টিমিডিয়া’র নজরে পড়েন তিনি। তারপর তো বড় পর্দার নায়িকা হিসেবে দর্শক পেলেন এ অনিন্দ্যসুন্দরীকে। পুরো নাম নুসরাত ফারিয়া মাজহার। চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া নুসরাতের ছোটবেলাটা প্রকৃতির লীলাভূমি চট্টলায় বেড়ে উঠলেও এক সময় ঢাকায় পাড়ি জমান। এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি মিডিয়ার রুপালি আলোয় নিজেকে আলোকিত করেন। শুধু এপার বাংলায় নয়, নিজের রূপ আর দক্ষতার আলো জ্বালিয়ে দেন ওপার বাংলাতেও।

ডিজে হিসেবে কাজের মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমে আগমন তার। আরটিভির ‘ঠিক বলছেন তো’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথম টিভি পর্দায় উপস্থাপনায় আসেন নুসরাত ফারিয়া। ২০১২ সালে এনটিভির ‘থার্টিফার্স্ট ধামাকা কক্সবাজার’ অনুষ্ঠানটি ফারিয়া সবার নজর কাড়েন। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে বলিউড প্লে-ব্যাক শিল্পী সুনিধি চৌহানের ‘সুনিধি লাইভ কনসার্ট’ শিরোনামের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে দারুণ প্রশংসিত হন তিনি। তার উপস্থাপিত বিভিন্ন জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে— আরটিভির ‘লেট নাইট কফি উইথ নুসরাত ফারিয়া’, এসএ টিভির ‘ক্লিয়ার এসএ লাইভ স্টুডিও’, এটিএন বাংলার ‘ট্রেন্ড’, জিটিভির ‘লাক্স ওয়ার্ল্ড অব গ্ল্যামার’, এনটিভির ‘স্টাইল অ্যান্ড ট্রেন্ড’ এবং রেডিও ফুর্তিতে ‘নাইট শিফট উইথ ফারিয়া’ ইত্যাদি। নুসরাত ‘ডোর’ নামে ফ্যাশন হাউসের ব্র্যান্ড মডেল এবং ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী, সিম্ফনি, সিটিসেল রিচার্জের বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন। এরপর বড় পর্দার ঝলমলে আলোতে ভাসেন অপরূপা নুসরাত। চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়া ২০১৫ সালে নায়িকা হিসেবে নুসরাত ফারিয়াকে চলচ্চিত্রে আনে। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘আশিকী’র নায়িকা হন তিনি। ‘আশিকী’ অবশ্য নুসরাতের প্রথম চলচ্চিত্র নয়। ২০১৪ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘মরীচিকা’ চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন নুসরাত। অজানা কারণে শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্রটির কাজ আর শুরু হয়নি। ‘আশিকী’ দিয়ে দুই বাংলার দর্শক হৃদয়ে ঘর বাঁধার পর ‘হিরো ৪২০’, ‘বাদশা দ্য ডন’, ‘প্রেমী ও প্রেমী’, ‘ধ্যাততেরিকি’ নিয়ে সরসর করে সাফল্যের পথে হাঁটতে থাকেন ফারিয়া। অভিনয় আর রূপের আলোয় জ্বলতে থাকা ফারিয়ার বড় পর্দায় এই হেঁটে চলা কখনো থমকে যাওয়ার নয়। বড় পর্দায় রূপের আলো জ্বাললেও অন্য মাধ্যম থেকে নিজেকে কখনো গুটিয়ে নেননি বুদ্ধিমতী ফারিয়া। ঈদে ছোট পর্দার নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে টিভি দর্শকদেরও মন নাচান তিনি।

নুসরাতের কথায়— ‘একজন শিল্পীর নির্দিষ্ট কোনো আঙিনা নেই, দর্শকের মনের মণিকোঠায় পৌঁছতে মিডিয়ার সর্বত্র সরব বিচরণ দরকার। আমি তাই করে যেতে চাই। আর দর্শক যখন আমাকে ভালোবেসেই ফেলেছে তাই তাদের মন ভরাতে নিজেকে আরও রূপের বন্যায় ভাসাতে হবে। দর্শক হৃদয়ে বহুরূপী ফারিয়া হয়ে চারদিকে আলো ছড়াতে চাই অনন্তকাল।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর