শিরোনাম
রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ফরিদুর রেজা সাগর

যা কিছু নতুন, যা কিছু প্রথম তাই করেছে চ্যানেল আই

আলী আফতাব

যা কিছু নতুন, যা কিছু প্রথম তাই করেছে চ্যানেল আই

উনিশে উচ্ছ্বাস স্লোগানকে সামনে নিয়ে বিশ্বময় বাংলা ভাষাভাষীর স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা আর জীবনধারার প্রিয় সঙ্গী চ্যানেল আই এবার পা রাখছে উনিশ বছরে। চ্যানেল আইয়ের নতুন বছরে পদার্পণ উপলক্ষে কথা হয় ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরের সঙ্গে 

 

এবারের স্লোগান উনিশের উচ্ছ্বাস, মনের ভিতরের উচ্ছ্বাসটা কেমন?

অবশ্যই অনেক অ...নে....ক। চ্যানেল আই শুরু থেকেই যে স্বপ্নটা দেখে আসছিল, তার অনেকটাই বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছে। দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক সব শাখাকে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে সব শ্রেণির বাংলাভাষাভাষী মানুষের কাছে আরও বেশি জোরালোভাবে তুলে ধরতে পেরেছে বলে এই মুহূর্তে আমরা  তা বিশ্বাস করি।

 

১৮ বছরের পথচলায় চ্যানেল আইয়ের ভূমিকা কেমন ছিল?

বিশ্বময় বাংলা ভাষাভাষীর স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা আর জীবনধারার প্রিয় সারথি চ্যানেল আই পথচলার আঠারো বছর পার করে এবার পা রাখছে উনিশ বছরে। শতভাগ পেশাদারিত্ব, নতুনত্ব, সৃজনশীলতা ও তারুণ্যের জয়গান গেয়ে দেড় যুগ পার করা এই অধ্যায়। মানুষ যা দেখতে চায়, যা শুনতে চায়, যা উপলব্ধি করতে চায় তা নিয়েই চ্যানেল আই-এর পথচলা। এর সঙ্গে জীবনকে এগিয়ে নেওয়া, রুদ্ধ দুয়ারকে খুলে দেওয়া, সত্যকে শানিত করার পথেও থাকতে হয়েছে অবিচল। টেলিভিশন কিংবা গণমাধ্যম নিয়ে মানুষের তৃষ্ণা ও প্রত্যাশাগুলো পূরণ করে এগিয়ে চলেছে চ্যানেল আই। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ও আকাশ সংস্কৃতির নতুন নতুন অগ্রযাত্রার মধ্যে চ্যানেল আই-এর পথচলা নতুন নতুন উদ্ভাবনের ভিতর দিয়ে। প্রথম দিন যে নতুনত্বের মালা গেঁথেছিল, আজও তা গেঁথে চলেছে। এদেশে টেলিভিশনের ইতিহাস যখন পঁয়ত্রিশ বছরের, তখন ১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর পথচলা শুরু হয় চ্যানেল আই-এর। সেদিন বুকভরা স্বপ্ন আর দেশ ও জনগণের কল্যাণে শতভাগ দায়বদ্ধতার এক নতুন প্রত্যয় ছিল চ্যানেল আই-এর পরিচালনা পর্ষদের। একটি আধুনিক টেলিভিশন, যা মানুষের তথ্যের তৃষ্ণা মেটাবে, মানুষের মূল্যবোধ জাগ্রত করবে, তার বন্ধ চোখ খুলে দেবে, তার জীবনের প্রয়োজনের সঙ্গে মিশে যাবে— এই ছিল স্বপ্ন। তা পূরণ করা গেছে দিনে দিনে। শুরু থেকে চ্যানেল আই দেশের শিল্প-সংস্কৃতির সব গুণী মানুষদেরকে যুক্ত করেছে তার পথচলার বিশাল মিছিলে। দিনে দিনে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে ছড়িয়ে পড়েছে বিশাল বিশাল ইভেন্ট নিয়ে। পৃথিবীর ছয়টি মহাদেশের বাংলা ভাষাভাষীরা দিনে দিনে যুক্ত হয়েছেন চ্যানেল আই-এর লাল সবুজ রঙে। যুক্ত হয়েছেন হৃদয়ে বাংলাদেশ চেতনায়।

আগামী দিনগুলোর জন্য কী কী ভেবেছেন?

জন্মের পর থেকেই  বাংলাদেশের গণমাধ্যমের যা কিছু নতুন, যা কিছু প্রথম তাই করেছে চ্যানেল আই। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অনেক নতুনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে চ্যানেল আইয়ের নাম। বিগত আঠারো বছরে চ্যানেল আই অনেক নতুন ধারণার নতুন অনুষ্ঠানের জন্ম দিয়েছে।

 

অভিযোগ আছে. বাংলাদেশের টিভির দর্শক কমে যাচ্ছে। এটা আপনি কীভাবে দেখেন?

কথাটি সত্য নয়। কারণ কোনো অনুষ্ঠান খারাপ গেলে কিংবা অনুষ্ঠান ভালো না লাগলে দর্শক যেভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া দেন তাতে মনে হয় না দর্শক কমে যাচ্ছে। দর্শক বেড়েছে বলেই আমার মনে হয়।

 

টিভি অনুষ্ঠানের মান বাড়াতে হলে কী কী করা প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?

টিভি অনুষ্ঠানের মান নিয়ে কথা বলতে হলে ভাবতে হবে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার কথা। আমি মনে করি না যে আমাদের দেশের টিভি অনুষ্ঠানের মান অন্য দেশের তুলনায় কোনো অংশে কম। তবে কিছু কিছু অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে হয়তো ব্যতিক্রম আছে। তবে ঢালাও মন্তব্য যারা করছেন তাদের ভাবতে হবে।         

 

সর্বশেষ খবর