সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার

আমি সাহয্যের ধার ধারি না

আমি সাহয্যের ধার ধারি না

ঢাকাই চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান। খল এবং কৌতুক, উভয় চরিত্রে সার্থক তিনি। পেয়েছেন দর্শকের ভালোবাসা এবং জাতীয় পুরস্কার। ছোট পর্দায়ও সমান জনপ্রিয় তিনি। শনিবার এফডিসিতে এসেছিলেন একটি ছবির শুটিংয়ে। কাজের ফাঁকে তার বলা কথা তুলে ধরেছেন— আলাউদ্দীন মাজিদ

 

অনেক দিন পর এফডিসিতে এলেন, এমনটিই বলছেন চলচ্চিত্রের মানুষেরা, সত্যি কি তাই?

এফডিসিতে এখন কাজ তেমন হয় না, তাই আসাও হয় না। কেউ মারা গেলে জানাজা পড়তে আসি। আর কখনো কাজ থাকলে তো আসতে হয়। এই যেমন দীর্ঘদিন পর আজ এলাম ‘পাঙ্কু জামাই’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নিতে। এফডিসিতে কাজ করতে ভালো লাগে। এফডিসি হলো শিল্পীদের প্রকৃত ঠিকানা। নিজের বাড়ির মতো। কিন্তু দুঃখ, এখন এমনিতেই ছবি নির্মাণ কমে গেছে। তার ওপর যা কাজ হয় সবই এফডিসির বাইরে। এভাবে চললে এফডিসি টিকে থাকবে কী করে।

 

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেছেন, আপনি দীর্ঘ ১৫ বছর পর আজ শিল্পী সমিতিতে এসেছেন, সত্যি কি তাই?

হ্যাঁ, ও সত্যি বলেছে। আসলে একদিকে কাজের অভাবে এফডিসিতে আসা হয় না। তার ওপর ফান্ডে অর্থ না থাকায় চলচ্চিত্র সমিতিগুলোর উন্নয়ন বা সংস্কার সম্ভব হয় না। তাই পরিবেশ ভালো না থাকাতে সমিতিগুলোতে আসতে মন চায় না। জায়েদ খান অক্লান্ত পরিশ্রম করে শিল্পী সমিতিকে নজরকাড়া রূপে সাজাচ্ছে, দেখে ভালো লাগল। মনে হচ্ছে এখন এখানে নিয়মিত আসা যায়। আরেকটি কথা বলি, এই প্রথম সমিতির কোনো কর্মকর্তা মানে জায়েদ খান আমাকে হাত ধরে টেনে সমিতিতে নিয়ে এসে কফি পান করাল। তার এই আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ।

 

গত ১১ সেপ্টেম্বর ছিল আপনার ৭৬তম জন্মদিন, দীর্ঘ এই জীবনে প্রাপ্তি কেমন?

প্রাপ্তির হিসাব তো কখনো মিলিয়ে দেখিনি, তবে আমি আমার জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট। সবচেয়ে বড় কথা হলো আমি কখনো কারও সাহায্যের ধার ধারিনি। আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে পথ চলেছি। আগামীতেও এই বিশ্বাসে ভর করে পথ চলব। আমার ভিতরে যত দিন বিশ্বাস থাকবে তত দিন অপ্রাপ্তি বলে কিছু থাকবে না।

 

আর চলচ্চিত্র আপনাকে কতটুকু পূর্ণতা দিয়েছে?

শতভাগ পূর্ণতা দিয়েছে। না হলে আজ আমি এ টি এম শামসুজ্জামান নামে দেশের মানুষের কাছে পরিচিত হতাম না। অভিনয়ের কারণেই মানুষ আজ আমাকে চেনে। আর আমার অভিনয় শুরু হয়েছে চলচ্চিত্র দিয়ে। তাই নিঃসন্দেহে চলচ্চিত্র আমাকে শতভাগ পূর্ণতা দিয়েছে।

 

কিছুদিন আগে একটি টিভি চ্যানেলে শীর্ষনায়ক শাকিব খানকে নিয়ে একটি পজিটিভ মন্তব্য করেছিলেন, এ বিষয়ে আবারও জানতে চাই।

এই ছেলেটি আমরা যা পারিনি তাই করে দেখিয়েছে। ও দেশের বাইরেও অভিনয় দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছে। আমরা অনেকেই কলকাতা বা বিদেশি ছবিতে অভিনয়ের স্বপ্ন দেখেছি, কিন্তু পারিনি। ও সফলভাবে তা করেছে, শুধু কলকাতা নয়, ইউরোপ, আমেরিকা এমনকি সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যেও তার ছবি সফলতা পেয়েছে। তাই শাকিবকে আমাদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা উচিত।

 

চলচ্চিত্রে যারা নতুন আসছে তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?

তাদের বলব অভিনয় শিখে আস, বাংলা ভাষাটা ঠিকভাবে শিখ। কারণ আমরা বাঙালি, আর আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। তাই নিজের ভাষাকে বিশ্বদরবারে যথার্থভাবে তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। নতুনদের বলব বিশেষ করে ধ্বনিতত্ত্বটার দিকে জোর দিতে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর