আবারও একই মঞ্চে গান পরিবেশন করলেন উপমহাদেশের দুই কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমিন। স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়কের্র জ্যামাইকা ইয়র্ক কলেজের সুবিশাল অডিটরিয়ামে এই দুই শিল্পী প্রায় তিন ঘণ্টা সংগীত পরিবেশন করেন। আর তাই ইয়র্ক কলেজ অডিটরিয়ামে সন্ধ্যা থেকেই প্রবাসী বাঙালিদের অপেক্ষা চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠানটি দ্বিতীয় বারের মতো আয়োজন করে উত্তর আমেরিকার জনপ্রিয় এন্টারটেইনমেন্ট প্রতিষ্ঠান শোটাইম মিউজিক। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী প্রধান আলমগীর খান জানান, রুনা লায়লা এবং সাবিনা ইয়াসমিনের কনসার্ট করা সত্যিই কঠিন ব্যাপার। তাদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্যই আমরা ২য় বারের মতো এ আয়োজন করতে পারছি। কৃতজ্ঞতা জানাই কিংবদন্তি দুই শিল্পীকে। এ ছাড়া আমি আরও কৃতজ্ঞতা জানাই, আমার এই আয়োজনের সঙ্গে যারা যারা যুক্ত ছিলেন।
রাত ৮টায় প্রথমে মঞ্চে আসেন সাবিনা ইয়াসমিন। মঞ্চে এসে তিনি
বলেন, ‘আবারও আমরা দুজন এসেছি আপনাদের গান শোনাতে। এ জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই আয়োজক প্রতিষ্ঠানকে। তাদের কারণে আমরা আবারও আপনাদের গান শোনাতে পারছি। আমি চেষ্টা করব আপনাদের পছন্দের গানগুলো শোনাতে।’ তারপর তিনি একে একে গাইতে থাকেন অশ্রু দিয়ে লেখা এই নাম, অবাক জুঝনা, একি সোনার আলো, এই প্রেম তোমাকে দিলামসহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গান । তারপর মঞ্চে আসেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় বারের মতো আমরা দুজন আবারও আপনাদের সামনে গান পরিবেশন করতে এসেছি। আমি ধন্যবাদ জানাই অয়োজক প্রতিষ্ঠানকে। আর যারা অনেক কষ্ট করে আমাদের গান শুনতে এসেছেন, তাদের জানাই অনেক ভালোবাসা।’ স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের স্মরণে তিনটি দেশাত্মবোধক গান দিয়ে শুরু করেন তার পরিবেশনা। বাংলা গানের পাশাপাশি তিনি নিজের জনপ্রিয় কয়েকটি উর্দু গান পরিবেশন করেন। গানে গানে আনন্দ ভাগাভাগি করতে রুনা লায়লা মাঝে মধ্যে মঞ্চ থেকে ডেকে নিয়েছেন কিছু প্রবাসী বাঙালিদের। তারা রুনা লায়লার সঙ্গে নেচে, গেয়ে আনন্দ করেন। গত বছর মঞ্চে একসঙ্গে গান পরিবেশন করলেও এবার কোনো গান করেননি তারা।
সাবিনা ইয়াসমিন বলেছেন, গতবারের অনুষ্ঠান ভালো হয়েছিল, এবারের অনুষ্ঠানও ভালো হবে বলে আশা করছি।’ রুনা লায়লাও সবার সহযোগিতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এই অনুষ্ঠানে।