‘ককটেল’ অ্যালবাসের রেসপন্স কেমন?
রেসপন্স ভালো পাছি। কারণ এটি একটি আন্তর্জাতিক মানের। অনেক দিন ধরেই এই অ্যালবাম নিয়ে কাজ করেছি। এর মিউজিক, কম্পোজিশন সবই আন্তর্জাতিক মানের। অ্যালবামের ৬টি গানের কথা ও সুর কিন্তু আমি নিজেই করেছি। এটি জিপি মিউজিক থেকে রিলিজ হয়েছে। আমি যখন আমেরিকায় যেতাম, থাকতাম তখন এই গানগুলো নিয়ে বসেছি, যত্ন করে কম্পোজ করেছি।
এই অ্যালবামের গান নিয়ে কোনো ভিডিও নির্মাণের পরিকল্পনা আছে?
হুমম ...মিউজিক ভিডিও হবে। তবে বাইরে করার পরিকল্পনা আছে। তাই একটু সময় নিচ্ছি।
গান ছাড়াও আপনি নাটকে অভিনয় করেছেন...
হুমম ... এবারের ঈদে একটি নাটকে অভিনয় করেছি। প্রসূন রহমানের লেখা আর তপু খানের পরিচালনায় নাটকটির নাম ছিল ‘অন্য প্রাণের সুর’। এই নাটকে আমার সঙ্গে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। গত ঈদে আমি আর ডলি সায়ন্তনী একসঙ্গে ‘শ্রাবণ এসেছিল গান নিয়ে’ শিরোনামের একটি নাটকে অভিনয় করেছিলাম। এর আগেও দুটি টেলিফিল্মে অভিনয় করেছি।
অডিও অ্যালবামের কাটতি নেই-কথাটা কতটুকু সমর্থনযোগ্য?
কাটতি নেই এটা বলা যাবে না। দুই- তিন বছর আগে আমার ২৬তম একক অ্যালবাম ‘জলছবি’ কিন্তু ভালো ব্যবসা করেছিল। এই অ্যালবামের ৫ হাজার ডিজিটাল সিডি কিন্তু তখন মার্কেটিং হয়। হ্যাঁ, মন্দা আছে, তবে বাজার তৈরি করতে হবে! আসলে শিল্পীরা অ্যালবাম বের করে কিন্তু এর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে না।
সবাই বলে গান এখন শোনা থেকে দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে...
এখন কিন্তু ভিডিও গানের খুব প্রভাব। কারণ দেখা যায়, প্রতিটি গানের ভিডিও এখন সেই গানের অডিওকেই সাপোর্ট করে। গান ভালো হলে, ভিডিও ভালো হলে তার ফিডব্যাক তো থাকবেই।
গান এখন অনলাইননির্ভর হয়ে যাচ্ছে। এটা কি পজিটিভ?
আমি সাপোর্ট করি এই বিষয়টা। আমার আইটিউনে গান আছে। অনলাইন সাইট ‘রিভার্ভনেশন’-এ আমার গান রয়েছে। বাংলাদেশের শীর্ষ দশ-এ কিন্তু আমি আছি। আমাদের লেভেলে আর কেউ কিন্তু নেই! আবার আন্তর্জাতিকভাবে কাউন্ট করলে ১০০০ জনের মধ্যে আমি আছি। এটা কিন্তু বিস্ময়ের। ‘ককটেল’ দিয়েও কিন্তু আমরা ডিজিটাল বাজারে ভালো করছি।
নতুন সংগীতশিল্পীরা কেমন করছে?
এখন যারা গান করে তাদের মধ্যে ন্যান্সির গান আমার খুব পছন্দের। এ ছাড়াও ঐশী অনেক ভালো গায়। চিরকুট ব্যান্ডের সুমি, শিরোনামহীনের তুহিন সত্যিই খুব সুন্দর গান গায়! আমি মনে করি, এখন গায়ক থেকে কম্পোজাররা ভালো করছে। তবে, মৌলিক চিন্তা করে গান কম্পোজ করাটাই ভালো।