শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

তিশার ডুব জার্নি

আলাউদ্দীন মাজিদ

তিশার ডুব জার্নি

তিশার নতুন ছবি ‘ডুব’। এ ছবিতে দর্শক তাকে রোমান্টিক বা গতানুগতিক ফর্মুলায় পাচ্ছে না। বলিউড অভিনেতা ইরফান খান, যিনি ডুব-এ একজন লেখকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তার কন্যা হয়েই এ ছবিতে তিশার উপস্থিতি। তিশার ঘুম কেড়ে নিয়েছে ছবিটি। কারণ নিজের কাছেই এটি একটি চ্যালেঞ্জিং ছবি এবং চরিত্র।

তিশার বড় পর্দার জার্নিটা শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’ দিয়ে। এরপর কাজ করেন রানওয়ে [২০১০], টেলিভিশন [২০১২], অস্তিত্ব ও মেন্টাল [২০১৬] এবং ডুব [২০১৭]। এ ছাড়া কাজ করছেন ৭২ ঘণ্টা, ডুবোশহর আর হালদা ছবিতে। এ দিক দিয়ে বড় পর্দায় তিশার বয়স এখনো কৈশোর পেরোয়নি। তারপরও স্বল্প সময়ে নিজেকে চলচ্চিত্রের অন্যতম অনুষঙ্গে পরিণত করেছেন এই নায়িকা।

১৯৯৫ সালে নতুন-কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান পাওয়া নুসরাত ইমরোজ তিশা শিশুশিল্পী হিসেবে মূলত গান করতেন। অনন্ত হীরার ‘সাতপেড়ে কাব্য’ নাটকে শিশুশিল্পী হিসেবে শখের বশে কাজের মাধ্যমে অভিনয় জগতে তার অভিষেক। ২০০৩ সাল থেকে অভিনয় ও মডেলিংয়ে পুরোদমে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। ২০০৩ সালে অ্যাঞ্জেল ফোর নামে একটি ব্যান্ডদল গঠন করেছিলেন তিশা, কণা, রুমানা ও নাফিজা। এর মধ্যে নাফিজা মৃত্যুর ওপারে চলে গেছেন। গান নিয়ে ব্যস্ত আছেন কণা। আর চলচ্চিত্র ও নাটকে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়েছেন রুমানা। অন্যদিকে গানে অনিয়মিত তিশার মিডিয়ায় জার্নি এখন অভিনয়কে ঘিরেই। টিভি বিজ্ঞাপন ও নাটকে নিয়মিত অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও যাত্রা শুরু হয়েছে তার। গতকাল মুক্তি পেল তিশা অভিনীত ডুব ছবিটি।

তিশার কথায়, ডুব চলচ্চিত্রটির গল্প মানুষের মানবিক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে এগিয়েছে। নির্মাণের শুরু থেকেই এ চলচ্চিত্র নিয়ে আমার প্রত্যাশা ছিল অনেক। সময় যত এগিয়েছে, প্রত্যাশাও  তত বেড়েছে। অবশেষে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেল। দর্শক কীভাবে নেন সেটিই দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। তবে ভীষণ ভালো লাগত এর প্রিমিয়ার শোটা ঢাকাতে হলে।

তিশা বলেন, ইরফান খান একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেতা। তার অভিনয় সম্পর্কে সবারই ধারণা আছে। আমি শুধু এটুকু বলব, ভীষণ বন্ধুসুলভ একজন মানুষ ইরফান খান। ভীষণ পেশাদারি একজন শিল্পী তিনি। শুটিংয়ের সময় তার কাছ থেকে অভিনয়ের অনেক কিছু শেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। তিশা বলেন, ডুব বাংলা ভাষার একটি চলচ্চিত্র। বিদেশে চলচ্চিত্রটি দেখার পর আমার ও ফারুকীর সঙ্গে অনেক দর্শক বেশ আগ্রহ নিয়ে কথা বলেছেন। তাই ডুব নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি।

ছবিতে নিজের চরিত্র নিয়ে তিশার উপলব্ধি হলো—ছোট কিংবা বড় পর্দা, যেখানেই হোক না কেন, আমি যে চরিত্রে অভিনয় করি সেই চরিত্রে আমার অভিনয়ের সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার চেষ্টা করি। ‘ডুব’-এ সাবেরী চরিত্রেও আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। দর্শকের কাছে কেমন লাগল তা দর্শকই ভালো বলতে পারবেন। ভবিষ্যতে আমি এ ধরনের আরও ভালো ভালো আন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্রে কাজ করতে চাই। বৈচিত্র্যময় কাজ দিয়ে নিজেকে বারবার ছাড়িয়ে যেতে চান তিশা। আর কাজ নিয়ে তার এ ভাবনার কারণেই এখন নাট্যকাররা তিশাকে ভেবে নানারকম চরিত্র তৈরি করেন। তিশাও চেষ্টা করেন নির্মাতাদের আস্থার পুরোটাই রিটার্ন দিতে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর