বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা শিখতে হয়েছে

পান্থ আফজাল

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা শিখতে হয়েছে

টিভি ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। সম্প্রতি ‘ডুব’ চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দর্শক প্রশংসিত হয়েছে। বিজয়ের প্রথম দিনে তার অভিনীত ‘হালদা’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে। এই চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয় আর তার ব্যস্ততা নিয়ে আজকের আলাপন—

 

‘ডুব’ নিয়ে দর্শক সাড়া কেমন পেয়েছেন?

দেশ ও দেশের বাইরে থেকে এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে অনেক সাড়া পাচ্ছি। বেশির ভাগ দর্শকই ‘ডুব’ নিয়ে পজেটিভ বলেছেন। যখন অনেকেই প্রশংসা করে বলছেন, ‘তিশা তুমি যখন গ্লাস হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলে, তোমার চোখ দিয়ে যখন পানি ঝরছিল, আমরাও সঙ্গে সঙ্গে কেঁদেছি।’ —এ কথাটি আমার জন্য সত্যিই বিশাল বড় অর্জন।

 

‘হালদা’ চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হলেন কীভাবে?

এক দিন আমাকে তৌকীর ভাই বললেন, তিনি একটি চলচ্চিত্র বানাবেন। আমার সঙ্গে যেহেতু তার কোনো চলচ্চিত্রে কাজ করা হয়নি, তাই তিনি আমাকে নিয়ে এটি করতে চান। বিপাশা আপুরও এ ব্যাপারে সম্মতি ছিল। এরপর আমি গল্পটা শুনি। গল্প শোনার পর আমি কাজটি করছি বলে সাফ জানিয়ে দিলাম। কারণ, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গল্পটি আমার ভীষণ ভীষণ ভালো লেগেছে।

 

হালদায় আপনার চরিত্র, ভাষা সম্পর্কে জানতে চাই...

গল্পটি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী নদী হালদাকে নিয়ে। তবে ‘হালদা’ নদী কিন্তু প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। এই নদীকে ঘিরেই আমার চরিত্র। আমার চরিত্রের নাম হাসু। একটি ভিন্ন চরিত্রে দর্শক আমাকে এখানে দেখতে পাবেন। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে আমাদের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাই ব্যবহার করতে হয়েছে।

 

এটিতে অভিনয় করতে কেমন লেগেছে?

ভালোই। তবে, অভিনয় কতটুকু করেছি বা কেমন করেছি, তার বিচারের দায়িত্ব দর্শকদের ওপরই ছেড়ে দিলাম। অভিনয়ের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি আমাকে সাহায্য করেছেন তৌকীর ভাই। বিপাশা আপুও যথেষ্ট করেছেন। প্রত্যেককে চট্টগ্রামের ভাষা শিখতে হয়েছে।

 

বিশেষ কোনো ঘটনা মনে পড়ে?

একটি সিক্যুয়েন্স ছিল, আমি আমার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করব। ঠিক এমন সময় হঠাৎ দেখি পেছনদিকে আকাশটা কেমন মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেছে। শুরু হয় মেঘের গর্জন। আসলে আমরা অনেক সৌভাগ্যবান যে, শুটিংয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। বলতে গেলে আবহাওয়া আমাদের অনেক সাপোর্ট দিয়েছে।

 

পরিচিত সহশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতে কেমন লেগেছে?

এই চলচ্চিত্রে মোশারফ ভাই, জাহিদ ভাই, বাবু ভাই, নির্মাতা তৌকীর ভাইসহ বলতে গেলে পুরো টিমই ছিল একটি পরিবারের মতো। যে কয়টা দিন শুটিং করেছি, বলা যায় আনন্দঘন পরিবেশেই কাজ করেছি। সবাই আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন।

 

নতুন আরেকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কথা শোনা যাচ্ছে...

চলচ্চিত্রের নাম ‘শনিবার বিকেলে’। এই চলচ্চিত্র নিয়ে এখনো বলার মতো সময় হয়নি। তবে এই মুহূর্তে এটুকু বলতে পারি, আমি এটিতে কাজ করছি। গল্প রেডি হয়েছে। কিছু শিল্পীও নির্বাচন করা হয়েছে। আর সবকিছু ঠিক হলে অবশ্যই জানব।

সর্বশেষ খবর