শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

নতুন বছর মাহি ফারিয়ার

আলাউদ্দীন মাজিদ

নতুন বছর মাহি ফারিয়ার

নতুন বছর শুধুই মাহিয়া মাহি আর নুসরাত ফারিয়ার। দর্শকের মন মাতাতে মাহি আসছেন প্রায় অর্ধ ডজন আলোচিত ছবি নিয়ে আর ফারিয়া ঝড় তুলবেন ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’ দিয়ে। এটি জাজ মাল্টিমিডিয়ার যৌথ আয়োজনের ছবি। জাজের ছবি আর শিল্পী মানেই সফলতার দরজায় কড়ানাড়া। ২০১২ সালে মাহিয়া মাহিকে চলচ্চিত্রে আনেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার চলচ্চিত্রের পাকা জহুরি-খ্যাত আবদুল আজিজ।

ওই বছর আজিজের প্রথম ছবি ‘ভালোবাসার রঙ’ দিয়ে চিত্রজগতে মাহি-বাপ্পীর আগমন। এই ছবি দিয়েই ঢাকাই চলচ্চিত্রে ডিজিটাল যুগের সূচনা। মানে আবদুল আজিজ দেশীয় চলচ্চিত্রকে আধুনিকতার পথে হাঁটানো শেখালেন। একদিকে জাজের প্রথম ছবি, অন্যদিকে নতুন শিল্পী-দুই-ই ব্যাপক হিট। দর্শক সাদরে গ্রহণ করলেন আবদুল আজিজের সময়োপযোগী কর্মযজ্ঞ। এরপর আরও সব নতুন ছবি এবং শিল্পী। কখনো স্থানীয় কখনোবা যৌথ প্রযোজনার উপহার। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও বাংলাদেশি ছবির জয়যাত্রার সূচনা করলেন আবদুল আজিজ। মাহি-বাপ্পীর পর নুসরাত ফারিয়া, পূজা চেরী, জলি, রোশনসহ অনেক নতুন মুখ আর শুধু মানসম্মত নয়, আন্তর্জাতিক মানের ছবি উপহার দিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রের বাঁকা হয়ে আসা মেরুদণ্ডকে অনেকটা সোজা করে দিলেন তিনি। ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক শাকিব খান যখন স্থানীয় ছবিতে একই ধাঁচের ছবি আর গেটআপে কাজ করতে করতে দর্শক মনে বিরক্তির জন্ম দিচ্ছিলেন, তখন গত বছর ‘শিকারি’ ছবিটি দিয়ে অন্যরকম এক শাকিবকে পর্দায় উপস্থাপন করলেন আজিজ। এ বছর ‘নবাব’ ছবিটি দিয়ে শাকিবকে আরও পূর্ণতা দিলেন এই দক্ষ নির্মাতা। ছবিটির সাফল্যে শাকিব রাতারাতি ‘ঢালিউডের নবাব’ খ্যাতি পেয়ে যান। চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢালিউডে আবদুল আজিজের জাজ মাল্টিমিডিয়ার অভিষেক না হলে অনেক আগেই সব সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যেত। কারণ দেশীয় ছবির মানহীনতায় দর্শক যখন সিনেমা হল-বিমুখ; তখন প্রদর্শকরা ভারতীয় হিন্দি আর বাংলা ছবি আমদানি করেও সিনেমা হলে দর্শক ফিরিয়ে আনতে পারছিলেন না। ঢাকাই ছবির এমনই ক্রান্তিকালে জাজ মাল্টিমিডিয়া নিয়ে আবদুল আজিজ ঢাকাই ছবির ত্রাণকর্তা রূপে হাজির হন। ধ্বংসের কবল থেকে উদ্ধার করেন দেশীয় চলচ্চিত্রকে। জাজের ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে ‘ভালোবাসার রঙ’ ছবি দিয়ে যাত্রা শুরু করা নায়িকা মাহি বলেন, নতুন বছর হবে শুধুই আমার। ওই বছর আমার অভিনীত ছবির মধ্যে মুক্তি পাবে—‘মনে রেখো’, ‘তুই শুধু আমার’, ‘জান্নাত’, ‘অবতার’ এবং ‘প্রেমের বাঁধন’। ছবিগুলোতে দর্শক নানারূপে খুঁজে পাবে আমাকে। ‘মনে রেখো’, ‘তুই শুধু আমার’ আর ‘প্রেমের বাঁধন’ নাম শুনলেই বোঝা যায় এগুলো রোমান্টিক গল্পের ছবি। এসব ছবিতে পারিবারিক আবহ আর সামাজিক নানা পারিপার্শ্বিকতা যুক্ত হয়েছে রোমান্টিকতার সঙ্গে। ‘জান্নাত’ ছবিতে অনবদ্য চরিত্রে আসছি। ‘অবতার’-এ প্রতিবাদী নারী হয়ে উঠছি। সব মিলিয়ে দর্শকের মনের ঘরে ভালোবাসার ঝড় তুলব। জাজের আরেক সফল আবিষ্কার নুসরাত ফারিয়া নতুন বছরে আসছেন সিআইডি অফিসার হয়ে। এমন চরিত্রে দেখা যাবে তাকে ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’ ছবিতে। ছবিটিতে ফারিয়ার চরিত্রে রোমান্সের পাশাপাশি কিছু অ্যাকশন দৃশ্যও আছে। ‘বাদশা’ আর ‘বস টু’র পর জিৎ-এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এতে অভিনয় করেছেন নুসরাত। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাজ সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জানুয়ারি ছবিটি মুক্তি পেতে পারে। এ ছাড়া ছবির প্রযোজক জিৎ তার ফেসবুক পেজে আপলোড করা এক ভিডিওতে বাংলাদেশের দর্শকদের ছবিটি দেখার আমন্ত্রণ ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কলকাতার অশোক পাতি পরিচালিত এ ছবির বেশির ভাগ শুটিং হয়েছে ইতালিতে। ভারতেও কিছু অংশের শুটিং হয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর এ সিনেমার টাইটেল গান ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়। যৌথ আয়োজনের ছবিটি প্রযোজনা করেছে ঢাকার জাজ মাল্টিমিডিয়া ও কলকাতার নায়ক জিৎ-এর জিৎস ফিল্মস।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর