বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

স্বপ্নজালে আচ্ছন্ন পরী

শামছুল হক রাসেল

স্বপ্নজালে আচ্ছন্ন পরী

‘আমার মনটাকে তোমার কাছে রেখে গেলাম। মনটাকে মোর বসতে দিও, মুড়ি মুড়কি খেতে দিও, জলের গ্লাস দেওয়ার ছলে একটু শুধু ছুঁয়ে দিও।’ কাব্যিক এ বাক্যগুলো ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে। মিডিয়াপাড়া এবং এ পাড়ার বাইরের অনেকে বাক্যগুলো ফেসবুকে শেয়ার করছেন। ‘স্বপ্নজাল’-এর ট্রেইলার প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই গুনগুনিয়ে বাজছে শব্দগুলো। গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন হালের সেনসেশন পরীমণি ও নবাগত রোহান। বেশ জোরেশোরেই চলছে ছবির প্রচারণার কাজ। ইতিমধ্যে ‘স্বপ্নজাল’ টিম চষে বেড়িয়েছে রাজধানীর কয়েকটি সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আগামীকাল মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবিটি। গিয়াস উদ্দিন সেলিমের এটি দ্বিতীয় ছবি। প্রায় ৯ বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল তার ‘মনপুরা’। বেশ আলোচিত হয়েছিল ছবিটি। কেউ কেউ বলছেন, স্বপ্নজালও কি দর্শকদের মাঝে জাল বুনতে পারবে? চলচ্চিত্রবোদ্ধারাও ইতিমধ্যে অঙ্ক কষা শুরু করেছেন ছবিটি কতদূর যাবে? সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী, স্বপ্নজাল বেশ সাড়া ফেলবে বলে মনে হয়। তাহলে অঙ্কটা একটু জেনে নেওয়া যাক: ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ৬ এপ্রিল, শুক্রবার। আর ৬ হলো প্রকৃতই শুক্রেরই সংখ্যা। এদিকে পরীর জন্মরাশি বৃশ্চিক। এ জাতিকার শুভ সংখ্যা ৫। সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী, ৬ এবং ৫ এর মিলন শুভ। এসব দিক থেকে ছবিটি বেশ ভালোভাবেই উতরে যাবে বলে মনে হচ্ছে। বাকিটা হয়তো দর্শকই বিচার করবে। অন্যদিকে, স্বপ্নজাল হতে যাচ্ছে পরীর ১৬তম ছবি। অর্থাৎ ১+৬=৭। এখানেও পরীর বৃহস্পতি তুঙ্গে (সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী)। এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে ‘এমন করে বলছি’ শিরোনামে ছবিটির একটি গান ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে। গত ৩৬ ঘণ্টায় বেশ সাড়া ফেলেছে গানটি। বিশেষ করে পরীমণির ভিন্ন লুক সবার প্রশংসা কুড়াচ্ছে। গানে তার পরিধেয় সাদামাটা সালোয়ার-কামিজ আর খোলা চুলের রসায়ন নজর কেড়েছে সবার। মেকআপহীন এ শুভ্রতার ছোঁয়া দেখা গেছে পরীর মাঝে। তাই তো কেউ কেউ বলছেন এবার সত্যি সত্যি পাকাপোক্তভাবে ডানা মেলবেন পরী। কেউ কেউ এটাও বলছেন, ‘ যে পাখি উড়তে জানে তার ডানা ঝাপটানো দেখলেই বোঝা যায়।’ যা ইতিমধ্যে প্রতীয়মান হয়েছে ছবির টিজার ও প্রথম গানে। সুতরাং এ ছবিটি পরীর ক্যারিয়ারে সফলতার চূড়ান্ত মোহর হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। 

স্বপ্নজাল নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী নির্মাতা। প্রচার-প্রচারণায় তার মুখ থেকে একটি কথাই বেশি শোনা যাচ্ছে। আর তা হলো, যারা মনপুরায় আস্থা রেখেছিলেন তারা স্বপ্নজাল দেখেও হতাশ হবেন না। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ‘স্বপ্নজাল’-এর শুটিং শুরু হয়। কলকাতায়ও কিছু অংশের দৃশ্যায়ন হয়।

স্বপ্নজাল শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে পরীমণি বলেন, ‘শুটিংয়ের প্রথম দুই দিন মানিয়ে নিতে পারিনি অনেক কিছু। আমার কাছে ছিল নতুন একটা টিম। তাদের অনেক কথাই আমি বুঝতে পারিনি। সিনেম্যাটিক পরিবেশ এফিডিসিতে আলাদা, অনেক কোলাহল। অথচ ‘স্বপ্নজাল’র ইউনিট অনেক কুল ছিল। প্রথম দুই দিন আমি আমার চরিত্র, পরিচালক, পুরো ইউনিট কারও সঙ্গেই নিজেকে যুক্ত করতে পারিনি। একটা পর্যায়ে সেই বহু আকাঙ্ক্ষিত শুভ্রা চরিত্রে নিজেকে জড়িয়ে ফেলি। এমনকি শুটিং শেষ হওয়ার পরও বেশ সময় লেগেছে এই চরিত্র থেকে বের হতে আমাকে। কেমন যেন নস্টালজিয়ায় ভুগতাম এ চরিত্রটির।’

পরিচালকের সঙ্গে কাজের ক্যামিস্ট্রি কেমন ছিল জানতে চাইলে পরী বলেন, ‘আমার কাছে সেলিম ভাই ম্যাজিকের মতো। তিনি সামনে দাঁড়িয়ে যা বুঝিয়ে দিতেন আমি তাই করতাম। তাই মঞ্চে কাজ করার অভিজ্ঞতা না থাকলেও ভালোভাবে কাজ করেছি। তার কাছ থেকে অভিনয়ের অনেক কিছু শিখেছি। সবচেয়ে বড় কথা, তিনি সঠিক অভিনয় সঠিক সময়ে বের করে আনতে পারেন।’ স্বপ্নজাল সিনেমায় দেখা যাবে, কঠোর বাস্তবতায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে অপু ও শুভ্রা। ছবিতে শুভ্রার চরিত্রে আছেন পরীমণি, আর অপু চরিত্রে ইয়াশ রোহান। কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম নিজেই। এ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুল আলম সাচ্চু, শিল্পী সরকার অপু, ফারহানা মিঠু, ইরেশ যাকের, মুনিয়া, শাহেদ আলীসহ আরও অনেকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর