সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ : নুসরাত ইমরোজ তিশা, অভিনেত্রী

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া গর্বের ও সম্মানের

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া গর্বের ও সম্মানের

টিভি ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। ‘ডুব’ ও ‘হালদা’ চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দর্শকপ্রশংসিত হয়েছে। সম্প্রতি ‘অস্তিত্ব’ ছবির জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৬ তে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পাচ্ছেন। জনপ্রিয় ও প্রতিভাময়ী এই অভিনেত্রীর সঙ্গে জানা-অজানা নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন— পান্থ আফজাল

 

শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর স্বীকৃতি পেয়ে কেমন লাগছে?

অনুভূতি অবশ্যই ভালো। আসলে যেকোনো পুরস্কার পাওয়াটাই বিশেষ কিছু। তার ওপর সেরা অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া নিঃসন্দেহে গর্বের ও সম্মানের বিষয়। এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে একজন অভিনেতা-অভিনেত্রী অনেক বেশি ইন্সপায়ার হয়, তার দায়িত্বশীলতা বেড়ে যায়।

 

তৌকীর আহমেদের ‘ফাগুন হাওয়ায়’ কেন যুক্ত হলেন?

ফাগুন হাওয়ার চিত্রনাট্য থেকে শুরু করে গল্পটা অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে আমার। তাছাড়া ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটের ওপর তেমন কোনো পূর্ণাঙ্গ ছবি এর আগে হয়নি। তৌকীর ভাই একজন গুণী নির্মাতা। তার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারব এটাও একটা বড় ব্যাপার। এত সুন্দর চিত্রনাট্য, এত ভালো গল্প, ভালো পরিচালক, ভাষা আন্দোলনের মতো একটি বড় ঘটনা নিয়ে সিনেমা হচ্ছে এবং আমি তার অংশ হতে পেরে খুবই আনন্দিত।

 

সহশিল্পীদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

অভিজ্ঞতা অনেক ভালো। আমার সহশিল্পী সিয়াম, রওনক, হায়াত কাকা, বাবু ভাই, সাজু খাদেমসহ যশপালের সঙ্গে অভিনয়টা আমি বেশ উপভোগ করেছি। আমাদের একটাই পরিচয়, আমরা শিল্পী।   এর আগেও আমি বলিউডের ইরফান খানের সঙ্গে কাজ করেছি, পরমব্রতের সঙ্গে কাজ করেছি, ইয়াদ হুরানির সঙ্গে কাজ করেছি।

 

ছবিটির কাজ কোন পর্যায়ে এখন?

তৌকির ভাইয়ের ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ছবির কাজ শেষ হয়েছে। আশা করি, ভালো একটি ছবি দর্শকরা দেখতে পাবে।

 

‘ডুব’ ও ‘হালদা’তে সাড়া কেমন ছিল? 

দেশ ও দেশের বাইরে থেকে এই দুটি চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক সাড়া পেয়েছি, এখনও পাই।  

চরিত্রগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে বেশি পছন্দের?

কোনো ‘চরিত্রের’ মতো জীবন আমি চাই না। তবে আমি অনেক অনেক চরিত্রে অভিনয় করতে চাই।

 

দুটি ছবির পরিচালক তৌকীর আর দুটি ফারুকীর। কোন পরিচালক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যের?

দুজনই একই রকম। গুড ডিরেক্টর আমার কাছে অলওয়েজ গুড ডিরেক্টরই। এই দুজন পরিচালকই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এবং সিনেমাটা নিজে বোঝে এবং বোঝাতে পারে। পড়াশোনা করে কাজ করে। দুজনই আমার কাছে সমান, একই গতিতে তারা দৌড়াচ্ছে।

 

‘শনিবার বিকেল’ ছবিটি কেমন?

বলতে গেলে এটি একটি ভালো গল্পের ছবি। এতগুলো আর্টিস্ট মিলিতভাবে একটা সুন্দর কাজ করছে এবং সেই কাজে অংশ নিতে পেরে ভালো লাগছে।

 

ভালো স্ক্রিপ্ট কতটুকু গুরুত্ব বহন করে?

একটা ভালো স্ক্রিপ্ট হলে বড় পর্দা, ছোট পর্দা কিংবা যে পর্দায়ই হোক না কেন আমি ফুল অ্যাফোডে কাজ করতে পারব। প্রত্যেকটা নাটকই ওয়ান কাইন্ড অব স্মল ফিল্মস।

 

‘অ্যাঞ্জেল ফোর’র কী খবর?

চার বন্ধু রুমানা, নাফিজা, কণা ও আমি মিলে আগে গঠন করেছিলাম ব্যান্ডদল ‘অ্যাঞ্জেল ফোর’। তবে আমার অভিনয়ের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় এবং অন্য সদস্যরাও যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ার কারণে দলটি ভেঙে যায়।

 

ভবিষ্যতে গান করার প্লান আছে কি?

আমি নতুনকুঁড়িতে ব্যাসিক্যালি গোল্ডকাপ পাইছি গানে। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে কোনোভাবেই আমি ওটাতে ইনভলব হতে পারি নাই। আমার ইচ্ছা আছে, ভবিষ্যতে হয়তোবা আমি গান গাইতে পারি। হয়তোবা আমি কোনো অ্যালবাম বের করতেও পারি। তবে কবে, কখন তা ঠিক বলতে পারছি না।

সর্বশেষ খবর